জশ হ্যাজেলউডের একটি বক্তব্য নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ান পেসার ইঙ্গিত করেছিলেন, গ্রুপ পর্ব থেকে ইংল্যান্ডকে বিদায় করতে স্কটল্যান্ড ম্যাচের ফল প্রভাবক হিসেবে কাজ করতে পারে। অর্থাৎ, নেট রানরেটে যাতে ইংল্যান্ডকে পিছিয়ে রাখা যায়, সেই উদ্দেশ্য স্পষ্ট হয়েছিল তার কথায়। বিষয়টি সমালোচিত হওয়ার পর প্যাট কামিন্সের কথায় এখন ভিন্ন সুর।
আইসিসির আচরণবিধির ধারাতে বলা আছে, তৃতীয় কোনও দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করার ভাবনায় উদ্দেশ্যমূলক ক্রিকেট খেললে নিষিদ্ধ হবেন অধিনায়ক। একদিকে আইসিসির নিয়ম, অন্যদিকে সমালোচনা। পিঠ বাঁচাতে কামিন্স জানালেন, স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে আক্রমণাত্মক ক্রিকেটই খেলবে অস্ট্রেলিয়া।
রবিবার (১৬ জুন) স্কটল্যান্ডের মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া। এই ম্যাচের আগে সংবাদ মাধ্যমকে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ও ওয়ানডে অধিনায়ক বলেছেন, “খেলার মাঠে নেমে সবসময় নিজের সেরাটা দিতে হয়। সেটা না করলে সম্ভবত খেলার চেতনাবিরোধী হয়। যদিও এটা (ইচ্ছা করে ইংল্যান্ডকে বিদায় করা) নিয়ে খুব বেশি ভাবিনি। কারণ ব্যাপারটা মাথায় আসেনি।”
তাহলে হ্যাজেলউড কেন এমন কথা বললেন? সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন কামিন্স, “জশির (হ্যাজেলউড) সঙ্গে কথা হলো। সেদিন সে মজা করেছে। ব্যাপারটা একটু অপ্রাসঙ্গিকও হয়েছে বটে।”
এরপর জানালেন, স্কটল্যান্ডকে এতটুকু ছাড় দেবে না অস্ট্রেলিয়া, “আমরা স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জেতার চেষ্টা করব। অবশ্যই। স্কটল্যান্ড এখন পর্যন্ত দারুণ একটি টুর্নামেন্ট কাটাচ্ছে। তাদের বিপক্ষে কাজটা কঠিন হবে।”
সঙ্গে যোগ করেছেন, “দলের অংশ হিসেবে আপনি এটা (নেট রানরেট) নিয়ে মজা করতে পারেন। কিন্তু যদি বলেন তাতে আমাদের খেলার ধারা বদলাবে কিনা, সেটা অবশ্যই নয়। অন্যদের মতো আমিও কখনও জেতার লক্ষ্য ও আক্রমণাত্মক মানসিকতা ছাড়া মাঠে নামিনি।”
নামিবিয়াকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সুপার এইট নিশ্চিত হয়। এরপর হ্যাজেলউড বলেছিলেন, “এই টুর্নামেন্টে হয়তো (আবার) ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হতে হবে। নিজেদের দিনে তারা সেরা দলগুলোর একটি। টি-টোয়েন্টিতে তাদের বিপক্ষে আমরা ভুগেছি। তাই টুর্নামেন্ট থেকে তাদের বিদায় করাটা আমাদের জন্য তো বটেই, সম্ভবত অন্যদের জন্যও ভালো।”