টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টিকে থাকতে জয়ের বিকল্প নেই ইংল্যান্ডের। কিন্তু সেজন্য তো মাঠে নামা চাই! বৃষ্টির কারণে সেই সুযোগটাই হারাতে বসেছিল জস বাটলাররা।
অনেক শঙ্কা-উৎকণ্ঠার পর খেলা শুরু হয় ওভার কমিয়ে। টি-টোয়েন্টি ম্যাচ নেমে আসে টি-টেনে! অর্থাৎ, অনেকটা সময় পেরিয়ে যাওয়ায় ম্যাচের দৈর্ঘ্য হয় ১০ ওভারের। নামিবিয়ার বিপক্ষে বৃষ্টিবিঘ্নিত এই ম্যাচ জিতে কুড়ি ওভারের বিশ্ব আসরে টিকে থাকতে নিজেদের কাজ সেরে রাখল ইংল্যান্ড।
অ্যান্টিগার স্যার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে নামিবিয়াকে ৪১ রানে হারিয়েছে ইংলিশরা। নির্ধারিত ১০ ওভারে ৫ উইকেটে ১২২ রান করে ইংল্যান্ড। এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নামিবিয়া করেছে ৩ উইকেটে ৮৪ রান।
এই জয়ে ৪ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ইংল্যান্ড। তাদের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলা স্কটল্যান্ডের পয়েন্টও ৫। তবে নেট রানরেটে পিছিয়ে আছে স্কটিশরা। স্কটল্যান্ড শেষ ম্যাচ খেলবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া জিতলে সুপার এইট নিশ্চিত করবে ইংল্যান্ড। তবে হেরে গেলে সুপার এইটে চলে যাবে স্কটল্যান্ড।
নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে অ্যান্টিগায় ম্যাচ শুরু হয়েছে। ওভার কমে আসা ম্যাচ শুরু করে বেশিক্ষণ চালানো যায়নি। আবারও নামে বৃষ্টি। তবে বেশিক্ষণ স্থায়ী ছিল না। এরপর আবার খেলা শুরু। বারবার বৃষ্টিতে বিদায়ের শঙ্কা জাগা ইংলিশদের শুরুটাও ছিল নড়বড়ে। অধিনায়ক বাটলার শূন্য রানে বিদায় নেন। আরেক ওপেনার ফিল সল্ট করেন ৮ বলে ১১ রান।
তাদের ব্যর্থতার দিনে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন হ্যারি ব্রুক। প্রয়োজনের সময় ২০ বলে খেলেছেন অপরাজিত ৪৭ রানের ইনিংস। ৪ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় সাজানো ইনিংসটির কল্যাণে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন তিনি।
এছাড়া গুরুতপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে জনি বেয়ারস্টোর ১৮ বলে ৩১ রানের ইনিংসটি। এছাড়া অবদান আছে মঈন আলী (৬ বলে ১৬*) ও লিয়াম লিভিংস্টোনের (৪ বলে ১৩*) ।
১০ ওভারে ১২২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি নামিবিয়া। ওপেনার মাইকেল ফন লিঙ্গেন খেলেছেন সর্বোচ্চ ৩৩ রানের ইনিংস। এছাড়া ডেভিড ভিসা ১২ বলে ২৭ রান করলেও জেতাতে পারেননি দলকে।