Beta
শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Beta
শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

চাপ সামলে রোমাঞ্চকর জয় প্রোটিয়াদের

ডডডডডডডড১১১
Picture of ক্রীড়া ডেস্ক

ক্রীড়া ডেস্ক

দক্ষিণ আফ্রিকা নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ‘চোকার’ শব্দটি। বারবার চাপের মুখে ভেঙে পড়াতেই এমন বদনাম। তবে সেন্ট লুসিয়ায় চাপ সামলে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর ৭ রানের জয় পেল তারা। দ.আফ্রিকার ৬ উইকেটে ১৬৩ রানের জবাবে ৬ উইকেটে ১৫৬ রানে থামে ইংল্যান্ড। টানা দ্বিতীয় জয়ে সেমিফাইনালের পথেও একধাপ এগিয়ে গেল প্রোটিয়ারা।

সেন্ট লুসিয়ার গ্রস আইসলেটে শুরুতে ব্যাট করে এবারের বিশ্বকাপে প্রোটিয়াদের ১৬৩ রানই ছিল সর্বনিম্ন স্কোর। বোলারদের দৃঢ়তায় জয়ের জন্য যথেষ্ট হলো সেটাই।

১৬৪ রানের লক্ষ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় ফিল সল্ট ঝড় তুলতে পারেনি আজ। ১১ করা সল্টকে ফেরান কাগিসো রাবাদা। ১ রানে রাবাদার বলে জীবন পাওয়া জনি বেয়ারস্টো ১৬ রানে ফিরেন কেশব মহারাজের বলে আনরিখ নরকিয়াকে ক্যাচ দিয়ে। এই ব্যাটিং উইকেটেও পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেটে কেবল ৪১ রান করেছিল ইংল্যান্ড।

বিধ্বংসী জস বাটলারের ব্যাটেও ঝড় উঠেনি। মহারাজের বলে ১৭ করা ইংলিশ অধিনায়ক ফিরেন হেনরিখ ক্লাসেনকে ক্যাচ দিয়ে।

জয়ের জন্য শেষ ৩৬ বলে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ৭৭ রান, হাতে ৪ উইকেট।  ওভার প্রতি আসকিং রেট ১২.৮৩। কাগিসো রাবাদার করা ১৫তম ওভারে চড়াও হন লিয়াম লিভিংস্টোন ও হ্যারি ব্রুক। একটি ছক্কা দুটি বাউন্ডারিসহ সেই ওভারে আসে ১৮ রান। ওটেনিল বার্টম্যানের করা ১৭তম ওভারে এই দুজন নেন ২১ রান। তাতে শেষ ১৮ বলে লক্ষ্যটা কমে আসে ২৫ রানে। কঠিন হয়ে পড়া ম্যাচে ভালোভাবে ফিরে ইংল্যান্ড।  

১৮তম ওভারে কাগিসো রাবাদা লিভিংস্টোনকে ফেরান স্টাবসের ক্যাচ বানিয়ে। ১৭ বলে ৩৩ করেছিলেন তিনি। তাতে ভাঙে ব্রুকের সঙ্গে তার পঞ্চম উইকেটে ৭৮ রানের জুটিটি। এরপরই ম্যাচ থেকে লাগাম হাতছাড়া হতে থাকে ইংল্যান্ডের।

শেষ ওভারে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ১৪ রান। প্রথম বলেই আনরিখ নরকিয়া ফেরান ৩৭ বলে ৫৩ করা হ্যারি ব্রুককে। মিড অন থেকে দৌড়ে অসাধারণ ক্যাচ নিয়েছিলেন এইডেন মারক্রাম। তৃতীয় বলে স্যাম কারান বাউন্ডারি মারলে শেষ ৩ বলে দরকার ছিল ৯ রান। কিন্তু তারা নিতে পারে আর ১ রানই। ৭ রানের রুদ্ধশ্বাস জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

রাবাদা ৪ ওভারে ৩২ রানে নেন ২ উইকেট। কেশব মহারাজ ৪ ওভারে ২৫ রানে ২ উইকেট নিয়ে অবদান রাখেন দারুন এই জয়ে।

বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ৪ ম্যাচ মিলিয়ে পাওয়ার প্লেতে ১০৬ রান করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখানে সুপার এইটের দুই ম্যাচেই করল ১২৭ রান। আজ কুইন্টন ডি কক ও রেজা হেনড্রিকস পাওয়ার প্লেতে করেছিলেন ৬৩। উদ্বোধনী এই জুটি ভাঙে ৮৬ রানে। ১৯ করা রেজাকে মিডঅনে হ্যারি ব্রুকের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান মঈন আলী।

বিশ্বকাপে বিবর্ণই ছিলেন কুইন্টন ডি কক। প্রথম চার ম্যাচে তার ইনিংসগুলো ২০,০, ১৮ ও ১০। সুপার এইটের প্রথম ম্যাচেই খোলস ছেড়ে বেড়িয়ে আসেন ডি কক। ম্যাচ সেরা হন ঝড়ো ৭৪ রানের ইনিংসে। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে যেখান থেকে শেষ করেছিলেন আজ ইংল্যান্ডের সঙ্গে শুরু করেছেন সেখান থেকেই।

ডি কক ফিফটি করেছেন ২২ বলে, যা এই বিশ্বকাপে অ্যারন জোন্সের সঙ্গে যৌথ দ্রুততম। জোফরা আর্চারের করা প্রথম ওভারেই তিনি ও রেজা হেনড্রিকস নেন ২১ রান। জস বাটলারের অসাধারণ ক্যাচে শেষ পর্যন্ত থামেন ৩৮ বলে ৪ বাউন্ডারি ৪ ছক্কায় ৬৫ রানে। আর্চারই ফেরান ডি কককে।

ডি কক অবশ্য ৫৮ রানে আদিল রশিদের বলে ক্যাচ দিয়েছিলেন মার্ক উডকে। সেই ক্যাচ তালুবন্দি করার সময় মাটি স্পর্শ করায় সে যাত্রা বেঁচে যান তিনি।

ডি কক ফিরতেই ১ উইকেটে ৯২ থেকে ৪ উইকেটে ১১৩ রানে পরিণত হয় প্রোটিয়ারা। আর্চার নেন ৪০ রানে ৩ উইকেট। তবে শেষ দিকে ডেভিড মিলারের ২৮ বলে ৪৩-এ স্কোরটা ১৬৩তে পৌঁছে দক্ষিণ আফ্রিকার।

টার্নিং পয়েন্ট

জয়ের জন্য শেষ ১৮ বলে মাত্র ২৫ রান লাগত ইংল্যান্ডের। হাতে ৬ উইকেট। ১৮তম ওভারে ম্যাচের রঙ বদলে দেন কাগিসো রাবাদা। সেই ওভারে মাত্র ৪ রান দেন তিনি। ফেরান ১৭ বলে ৩৩ করা লিয়াম লিভিংস্টোনেকে। তাতে ভাঙে পঞ্চম উইকেটে হ্যারি ব্রুকের সঙ্গে তার ৭৮ রানের জুটিটি। ১৯তম ওভারে মার্কো ইয়ানসেন দেন ৭ রান। এজন্য শেষ ওভারে লক্ষ্য বেড়ে দাঁড়ায় ১৪। সেটা আর নিতে পারেনি ইংল্যান্ড।

সেরা খেলোয়াড়

অবশ্যই কুইন্টন ডি কক। তিনি ফিফটি করেছেন ২২ বলে, যা এই বিশ্বকাপে অ্যারন জোন্সের সঙ্গে যৌথ দ্রুততম। শুরুতে তিনি এই ঝড় না তুললে স্কোরটা আরও কম হতে পারত প্রোটিয়াদের। ৩৮ বলে ৬৫ রানের সুবাদে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতলেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত