ইংল্যান্ড ১ (৫) : ১ (৩) সুইজারল্যান্ড
নকআউট ম্যাচ মানেই বাড়তি সতর্কতা। ঝুঁকি নিতে চায় না কেউ। এজন্যই আগের দুটি কোয়ার্টার ফাইনালই গড়িয়েছিল অতিরক্ত সময়ে। আজ ইংল্যান্ড-সুইজারল্যান্ডেন ম্যাচও গড়াল অতিরিক্ত সময়ে। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে সমতা ছিল ১-১ গোলে।
অতিরিক্ত সময়ে আর গোলের তালা না খোলায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। অতীতে অনেকবারই টাইব্রেকার কাঁদিয়েছে ইংলিশদের। গত ইউরোর ফাইনালেও টাইব্রেকারে ইতালির কাছে হেরেছিল তারা। তবে আজ টাইব্রেকারে ৫-৩ ব্যবধানে জিতে সেমিফাইনালের টিকিট পেল গ্যারেথ সাউথগেটের দল।
সুইজারল্যান্ডের নেওয়া মানুয়েল আকাঞ্জির প্রথম শট ঠেকিয়ে ইংল্যান্ডের নায়ক গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড। তবে ইংল্যান্ডের কেউ মিস করেননি স্পট কিক।
ইংল্যান্ডের নেওয়া ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার–আর্নল্ডের শট জালে জড়াতেই উল্লাসে মেতে উঠে গ্যারেথ সাউথগেটের দল। বলটা জালে জড়িয়ে আসতেই হাতে তুলে নিয়ে এক কিকে গ্যালারিতে উড়িয়ে উদযাপন করেন আর্নল্ড।
এই ম্যাচে শাপমোচন হয়েছে বুয়াকো সাকার। গত ইউরোর ফাইনালে ইতালির বিপক্ষে ইংল্যান্ডের শেষ পেনাল্টিটা মিস করেছিলেন তিনি। আজ টাইব্রেকারে তো গোল করেছেনই, সে সঙ্গে তার ৮০ মিনিটে তার গোলেই সমতা ফিরিয়ে ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে নিয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড।
ইংল্যান্ড ইউরোতে খেলছে ঘুমপাড়ানি ফুটবল। আজও তাদের ফুটবলে ধার ছিল না। অধিনায়ক হ্যারি কেইন এতটাই বিবর্ণ ছিলেন যে গ্যালারি থেকে তাকে তুলে নেওয়ার স্লোগানও শুরু হয়ে যায়।
৭৫ মিনিটে ব্রেল এমবোলো এগিয়ে নিয়েছিলেন সুইসদের। এর ৫ মিনিট পর সমতা ফেরান বুয়াকো সাকা। সেটাই ছিল আবার ম্যাচে ইংল্যান্ডের প্রথম লক্ষ্যে থাকা শট! এই পরিসংখ্যানই বলছে কতটা বিবর্ণ ছিল ইংলিশরা।
নকআউট ফল নির্ভর হওয়ায়, মন ভরানো ফুটবল নিয়ে মাথা ব্যথাও থাকে না কোচদের। গ্যারেথ সাউথগেটও চাইছিলেন যে কোনও ভাবে জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকার লটারি জিতে শেষ চারে তারা।
বিরতির আগে গোল পায়নি কোনও দল। ৭৫ মিনিটে প্রথমে এগিয়ে যায় সুইসরা। ভারগাসের বক্সের পাশ থেকে বাড়ানো নিচু ক্রসে জন স্টোনস পা লাগালেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি। কাছ থেকে করা টোকায় বল জালে জড়ান ব্রেল এমবোলো।
শেষ ষোলোয় জুড বেলিংহামের শেষবেলার গোলে সমতা ফিরিয়েছিল ইংল্যান্ড। এবার সেই কাজটা করলেন বুয়াকো সাকা। আর্সেনাল সতীর্থ ডেকলাইন রাইসের বাড়ানো বলে ইনসাইড কাট করে এগিয়ে বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া বাঁ পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করে ম্যাচে সমতা ফেরান তিনি। সাকার শটের গতিতেই পরাস্ত হন গোলরক্ষক ইয়ান সোমার।
আর্সেনালের তৃতীয় ইংলিশ খেলোয়াড় হিসেবে ইউরোয় গোল করলেন সাকা। ১৯৮৮ ইউরোয় টনি অ্যাডামস আর ২০১২ ইউরোয় গোল করেছিলেন থিও ওয়ালকট।
এই সাকার গোলে সমতা ফেরানোতেই ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময় আর টাইব্রেকারে। সেখানে শেষ হাসিটা ইংল্যান্ডের।