বৃষ্টি, বৃষ্টি আর বৃষ্টি। প্রবল বৃষ্টিতে খেলা শুরু হতে দেরি হল ইংল্যান্ড-স্কটল্যান্ডের। এরপর বল মাঠে গড়ালেও আবার বৃষ্টি। ৬.২ ওভারে ততক্ষণে ৫১ রান তুলে ফেলেছিলেন স্কটল্যান্ডের দুই ওপেনার মাইকেল জোনস ও জর্জ মানসি। শুরু দীর্ঘ অপেক্ষার।
বৃষ্টি থামে। মাঠকর্মীরা প্রাণান্ত চেষ্টায় মাঠ প্রস্তুত করেন, এরপর আবার নামে বৃষ্টি! খেলা ৫ ওভার বা ৬ ওভারের হয়ে গেলে ইংল্যান্ডের কত রান লাগবে এ নিয়ে চলছিল হিসেব-নিকেশ। তবে শেষ পর্যন্ত খেলা হয় ১০ ওভারের।
এই ১০ ওভারে কোন উইকেট না হারিয়ে স্কটল্যান্ড করে ৯০ রান। ডিএলএসে ইংল্যান্ডের জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১০ ওভারে ১০৯ রান। ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা যখন ব্যাটিংয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তখন আবারও নামে ঝুম বৃষ্টি। ধারাভাষ্যকাররা হতাশ হয়ে বলছিলেন, ‘‘মনে হয় না আর খেলা শুরু হবে।’’
শেষ পর্যন্ত আর খেলা শুরু করা যায়নি। তাই বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়ে যায় ম্যাচটা, যা বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের জন্য বড় ধাক্কা।
ইংল্যান্ড দুইবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হলেও, একটা আক্ষেপ আছে তাদের। এই বিশ্বকাপে ইউরোপের কোনও দলকে হারাতে পারেনি তারা। ২০০৯ সালে নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরেছিল ৪ উইকেটে। ২০১০ সালে আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে ম্যাচটা ভেসে যায় বৃষ্টিতে।
২০১৪ বিশ্বকাপে আবারও নেদারল্যান্ডসের কাছে ইংল্যান্ড হারে ৪৫ রানে। গত বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হলেও আয়ারল্যান্ড তাদের হারিয়ে দেয় ৫ রানে! এবারও রইল আক্ষেপটা। নিজেদের মহাদেশের আরেক দল স্কটল্যান্ডের সঙ্গে করতে হল পয়েন্ট ভাগাভাগি।
স্কটল্যান্ডের হয়ে দুই ওপেনার অবিচ্ছিন্ন ছিলেন শেষ পর্যন্ত। মাইকেল জোনস ৩০ বলে ৪ বাউন্ডারি ২ ছক্কায় করেছিলেন ৪৫*। আর জর্জ মানসি অপরাজিত ছিলেন ৩১ বলে ৪ বাউন্ডারি ২ ছক্কায় ৪১ রানে।
দুজনের ৯০ রানের জুটি বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের যে কোনও উইকেটে দ্বিতীয় সেরা। ২০২১ বিশ্বকাপে রিচি বেরিংটন ও ম্যাথু ক্রসের ৯২ রান তাদের সেরা পার্টনারশিপ।
চোট কাটিয়ে এই ম্যাচে ফিরেছেন জোফ্রা আরচার। ২ ওভারে কেবল ১২ রান দিয়েছিলেন তিনি। এছাড়া আদিল রশিদ ২ ওভারে ২৬, মার্ক উড ২ ওভারে দেন ১১ রান।