কোনোমতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে জায়গা পেয়েছে ইংল্যান্ড। গ্রুপ পর্বে তাদের অবস্থা ছিল শোচনীয়। বিপরীতে দাপট দেখিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে নাম লেখায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সব ম্যাচ জিতে অপ্রতিরোধ্য তাদের যাত্রা। কিন্তু সুপার এইটে সম্পূর্ণ আলাদা চিত্র দুই দলের। এখানে ইংল্যান্ডের বিধ্বংসী রূপে কুপোকাত ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি স্টেডিয়ামে ক্যারিবিয়ানদের উড়িয়ে দিয়েছে ইংলিশরা। ফিল সল্ট ও জনি বেয়ারস্টোর তাণ্ডবে ইংল্যান্ড পেয়েছে ৮ উইকেটের বড় জয়। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে করে ১৮০ রান। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৫ বল আগে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সামনে পেলেই জ্বলে ওঠেন সল্ট। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তার যে দুটি সেঞ্চুরি, দুটিই এসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে ২৫ ইনিংসে ৭৫৭ রান ডানহাতি ওপেনারের। সেখানে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ৯ ইনিংসেই পেয়েছেন ৪৭৮ রান।
‘প্রিয়’ প্রতিপক্ষকে সামনে পেয়ে আরেক দফা তাণ্ডব চালিয়েছেন তিনি। ১৮১ রানের লক্ষ্যে সল্ট খেলেছেন ৪৭ বলে অপরাজিত ৮৭ রানের ইনিংস। দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ার আগে মেরেছেন ৭ বাউন্ডারির সঙ্গে ৪ ছক্কা। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে তারই হাতে।
এবারের বিশ্বকাপে ব্যাটারদের অবস্থা বিবেচনা করলে ১৮১ রানের লক্ষ্য অনেক কঠিন ছিল। তবে ইংলিশরা ওপেনিংয়ে ৬৭ রান যোগ করে কাজ অনেকটাই সহজ করে নেয়। অধিনায়ক জস বাটলার ২২ বলে করেন ২৫ রান। এরপর মঈন আলী ১০ বলে ১৩ রানে বিদায় নিয়ে কিছুটা চাপ তৈরি হয় ইংলিশদের ওপর।
তবে বেয়ারস্টো ক্রিজে এসে যোগ দেন সল্টের আগ্রাসী মনোভাবের সঙ্গে। দুই প্রান্তে সমান তালে ঝড় তোলেন তারা। বেয়ারস্টো ২৬ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় হার না মানা ৪৮ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে রাসেল ও রোস্টন চেস নেন একটি করে উইকেট।
এর আগে ব্রেন্ডন কিং ও জনসন চার্লসের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পায়ে আঘাত পেয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়ার আগে কিং করেন ১৩ বলে ২৩ রান। চার্লসের ব্যাট থেকে আসে ৩৪ বলে ৩৮ রান। ক্যারিবিয়ানদের আগের ম্যাচের নায়ক নিকোলাস পুরান ৩২ বলে করেন ৩৬।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান দ্রুত বাড়ে রোভম্যান পাওয়েল ও শেরফান রাদারফোর্ডের ঝড়ে। অধিনায়ক রোভম্যান ১৭ বলে ৫ ছক্কায় করেন ৩৬ রান। অন্যদিকে রাদারফোর্ড ১৫ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ২৮ রানে।
ইংল্যান্ডের জোফরা আর্চার, আদিল রশিদ, মঈন আলী ও লিয়াম লিভিংস্টোন প্রত্যেকে পেয়েছেন একটি করে উইকেট।