ভারতের সহজ জয়ের অঙ্কটা কঠিন করে ফেলেছিলেন ওলি পোপ। তার ১৯৬ রানের ইনিংসে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪২০ রানের পুঁজি পায় ইংল্যান্ড। নিজেদের মাঠে তাই চাপে পড়ে রোহিত শর্মার দল।
পোপ বীরত্বের পর হার্টলির ঘূর্ণিতে ভারত রীতিমতো দিশেহারা। অভিষিক্ত বাঁ-হাতি এই স্পিনারকে সামলাতে না পেরে নিজেদের মাটিতেই ২৮ রানে হারল ভারত। ‘হিটম্যান’ হার্টলি নেন ৭ উইকেট। চতুর্থ দিনের শেষ বেলায় ভারত গুটিয়ে যায় ২০২ রানে।
রবিবার ব্রিসবেনে ঘরের মাঠে টেস্ট হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। একই দিনে হারল ভারতও। একই দিনে দুই দল এর আগে ঘরের মাঠে টেস্ট হেরেছিল ১৯৭৭ সালের ১৪ জানুয়ারি।
‘বাজবল’ ক্রিকেট নিয়ে যে সমালোচনা, ইংল্যান্ড এর জবাবও দিল এই জয়ে। ম্যাচ জুড়েই তারা স্পিনারদের সামলেছেন সুইপ, রিভার্স সুইপ আর স্কুপের পসরায়।
হায়দরাবাদ টেস্ট জিততে ভারতের লক্ষ্য ছিল ২৩১ রান। জবাবে ইংলিশ বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১১৯ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে পরাজয়ের শঙ্কা জাগে ভারতের। বিপর্যয়ের মুখে দলের হাল শক্ত করে ধরেন শ্রীকর ভরত ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন। অষ্টম উইকেটে দুজন গড়েন ৫৭ রানের জুটি। ২৮ করা ভরতকে বোল্ড করে জুটিটা ভাঙেন টম হার্টলি।
বাঁ-হাতি এই স্পিনারকেই দ্বিতীয় ইনিংসে সামলাতে পারেনি ভারত। হার্টলির অভিষেক হয়েছে এই টেস্টেই। প্রথম ইনিংসে ২ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি নেন ৭ উইকেট।
ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে রোহিত শর্মা ৩৯, লোকেশ রাহুল ২২, অক্ষর প্যাটেল ১৭ আর শ্রেয়াস আয়ার আউট হন ১৩ রানে। ২ রান করা রবীন্দ্র জাদেজাকে সরাসরি থ্রোতে রান আউট করে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন বেন স্টোকস।
ভারতের মাটিতে ২৩০ বা এর চেয়ে বেশি রান তাড়া জয়ের অতীত আছে ৫টি। এর ৪টি জিতেছে ভারত, ১ টি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১২ বছর আগে বেঙ্গালুরুতে শেষবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৬১ রান তাড়া করে জিতেছিল ভারত। তবে এবার হারল লড়াই করেও।
ওলি পোপ আগের দিন অপরাজিত ছিলেন ১৪৮ রানে। রবিবার ডাবল সেঞ্চুরির হাতছানি ছিল তার সামনে। পোপকে সেই কীর্তি গড়তে দিতে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে নেমেছিলেন চোট পাওয়া জ্যাক লিচ। তবে পোপ পারেননি ডাবল করতে। ১৯৬ রানের সময় জাসপ্রিত বুমরাহর বলে বোল্ড হন রিভার্স স্কুপ খেলতে যেয়ে।
দ্বিতীয় ইনিংসে ১৯৬ রান ভারতের মাটিতে সফরকারী ব্যাটারদের চতুর্থ সর্বোচ্চ স্কোর। সর্বশেষ ২০১০ সালে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন করেছিলেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। কোচ হয়ে ইংল্যান্ডে ‘বাজবল’ চালু করা এই কিংবদন্তির পাশে বসা হয়নি পোপের।
জাসপ্রিত বুমরাহ ৪টি আর রবিচন্দ্রন অশ্বিন নেন ৩ উইকেট।