Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪

জুলাই-সেপ্টেম্বরে বিদেশি ঋণ ছাড় কমেছে ৩৪ শতাংশ

ss-dollar-counting-2024
[publishpress_authors_box]

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকে দাতাদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের অনুকূলে বৈদেশিক সহায়তা ছাড় প্রায় ৩৪ শতাংশ কমে গেছে।

অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সব দাতা সংস্থা মিলে বাংলাদেশের অনুকূলে বিভিন্ন চলমান প্রকল্পের বিপরীতে ছাড় করেছে মাত্র ৮৪ কোটি ৬১ লাখ ডলার।

প্রথম তিন মাসের এই ছাড় গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৩৪ শতাংশ কম। গত অর্থবছরের একই সময় পর্যন্ত ১২৮ কোটি ১৭ লাখ ডলার সমপরিমাণ অর্থ ছাড় হয়েছিল।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইআরডির বৈদেশিক সাহায্যের বাজেট ও হিসাব (ফাবা) অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব নূর আহমদ সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক ও দ্বিতীয় প্রান্তিকে বৈদেশিক ঋণের ছাড়ের গতি একটু কমই থাকে। তবে এবার দেশে চলমান পরিস্থিতির কারণে প্রকল্প বাস্তবায়নও একটু কম হয়েছে বলেই হয় তো বৈদেশিক ঋণের ছাড় কিছুটা কম হয়েছে।”

অর্থবছরের বাকি সময়ে ঠিক মতো উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারলে বৈদেশিক সহায়তা ছাড়ের গতি বাড়বে বলে আশা করছেন তিনি।

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, অর্থবছরের প্রথম তিন মাস পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ২১ কোটি ডলার ছাড় করেছে জাপান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫ কোটি ৬৭ ডলার ছাড় করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৪ কোটি ৯৩ লাখ ডলার সমপরিমাণ অর্থছাড় করেছে রাশিয়া।

এছাড়া বিশ্বব্যাংক ৭ কোটি ৮৪ লাখ ডলার, ভারত ৪ কোটি ৫২ লাখ এবং এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি) ৬৬ লাখ ডলার ছাড় করেছে।

‘পরিশোধ করতে হয়েছে প্রায় ২৯ শতাংশ বেশি’

ইআরডির প্রতিবেদন বলছে, অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে বৈদেশিক ঋণ ছাড় কমলেও ঋণ দাতাগোষ্ঠীর কাছে পুঞ্জীভূত পাওনা থেকে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ২৯ শতাংশ বেশি পরিশোধ করতে হয়েছে।

এ বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর তিন মাসে ঋণ দাতাদের কাছে পাওনা পরিশোধ করতে হয়েছে ১২৮ কোটি ১৭ লাখ ডলার। এই পরিশোধ গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৯ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে পাওনা পরিশোধ করা হয় ৮৭ কোটি ৪ লাখ ডলার।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত সচিব নূর আহমেদ বলেন, “বিগত কয়েক বছরে আমরা যেসব মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছিলাম সেসব প্রকল্পের কয়েকটার ঋণ পরিশোধ চলতি অর্থবছর থেকে শুরু হয়েছে। তাই এবার ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বেড়েছে। তবে দাতাদের কাছ থেকে ঋণের ছাড় বেড়ে গেলে এই পরিশোধ আমাদের সমস্যা হবে না।”

ইআরডির প্রতিবেদন অনুযায়ী, অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে নতুন ঋণের চুক্তিতে ধস নেমেছে। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে বাংলাদেশ ঋণ দাতাদের কাছ থেকে নতুন ঋণের প্রতিশ্রুতি নিতে পেরেছে মাত্র ২ কোটি ৭০ লাখ ডলারের। অথচ গত অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে নতুন ঋণের চুক্তি হয়েছিল প্রায় ২৮৮ কোটি ডলারের।

এ বিষয়ে ইআরডির সংশ্লিষ্ট একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, বিশ্বব্যাংক ও এডিবির সঙ্গে বেশ কয়েকটি বড় ঋণ চুক্তি হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। চুক্তিগুলো হয়ে গেলে নতুন ঋণের চুক্তিও আশানুরূপ হবে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত