ছোট ছোট পাসে ফুল ফোটানো। বলের দখল নিজেদের কাছে রেখে প্রতিপক্ষকে বিপর্যস্ত করা। এই ‘তিকিতাকা’ ছন্দই স্প্যানিশ ফুটবলের ব্র্যান্ড।
লুইস দি লা ফুয়েন্তে কোচ হওয়ার পর এবারের ইউরোয় দেখা মিলল নতুন স্পেনের। ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে ইউরো শুরু করেছে তারা। তবে তিকিতাকার বদলে ইউরোপিয়ান পরিচিতি ফুটবল ঘরানায়। তাই স্পেনের বলের পজেশন ছিল ৪৬.৭ শতাংশ আর ক্রোয়েশিয়ার ৫৩.৩ শতাংশ।
প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে স্পেনের সঙ্গে বিপক্ষ দলের বেশি বল দখল ছিল সবশেষ ২০০৮ সাল ও ১৩৬ ম্যাচ আগে । সেবার ইউরো ফাইনালে স্পেনের চেয়ে বল পজিশনে এগিয়ে ছিল জার্মানি। ১৬ বছর পরও আবার প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে কম বলের পজেশন নিয়ে খেলল স্পেন।
প্রীতি ম্যাচের হিসেব করলে ২০১৪ সালের পর প্রথমবার বলের পজেশন কম থাকল স্পেনের। সেবারও তারা খেলেছিল জার্মানির বিপক্ষে। বলের দখল কম রেখে খেলায় কোনও অনুশোচনা নেই কোচ লুইস দি লা ফুয়েন্তের, ‘‘আমরা সন্তুষ্ট। এভাবে ফুটবল খেলেও চমকে দিতে পারি বিপক্ষকে। হয়তো অন্য কোনও সময় প্রতিপক্ষকে হারাতে বেশি সময় বলের দখল রাখতে হবে আমাদের। এই কৃতিত্বটা পাওনা খেলোয়াড়দের।’’
শুধু বলের দখলই নয়, পাসের ক্ষেত্রেও পিছিয়ে ছিল স্পেন। ম্যাচ জুড়ে স্পেনের পাস ৪৫৭টি আর ক্রোয়েশিয়ার ৫১৮টি। স্পেনের খেলোয়াড়রা মাঠে গড়ে দৌড়েছে ১১.২৭ কিলোমিটার আর ক্রোয়েশিয়ানরা ১১.৩৮ কিলোমিটার। তাই বলাই যায়, আপাতত তিকিতাকার সমাপ্তি।
এই ম্যাচে ১৬ বছর ৩৩৮ দিন বয়সে অভিষেক স্পেনের লামিনে ইয়ামালের। ইউরোর ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী ফুটবলার এখন তিনিই। ইয়ামাল অভিষেকটা স্মরণীয় করেছেন অসাধারণ পাসে দলের তৃতীয় গোলের অ্যাসিস্ট করে (গোল করেছেন কারভাহাল)।