Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

৫৩ বছরেও স্বীকৃতি পাননি মিরনজুল্লাহর ১০ শহীদ

নিজেদের উদ্যোগেই এই শহীদ মিনার তৈরি করেছেন মিরনজুল্লাহ হরিজন কলোনির বাসিন্দারা। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
নিজেদের উদ্যোগেই এই শহীদ মিনার তৈরি করেছেন মিরনজুল্লাহ হরিজন কলোনির বাসিন্দারা। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
Picture of অনিক রায়

অনিক রায়

১৯৭১ সালের নভেম্বর। মুক্তিযুদ্ধ তখন প্রায় শেষ দিকে। পুরান ঢাকার বংশালের মিরনজুল্লাহ হরিজন কলোনিতে পরিবার নিয়ে থাকেন পরিচ্ছন্নতাকর্মী রামচরণ। স্ত্রী রাণী দেবী তখন আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এ অবস্থায় দেশের কী হবে, বিপদ-আপদে স্ত্রীকে নিয়ে কীভাবে কোথায় যাবেন, সেসব ভেবে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছিলেন রামচরণ।

২২ নভেম্বর রাত। হঠাৎ করেই রামচরণের বাসার দরজায় জোরে জোরে কড়া নাড়ছে কেউ। দরজা খুলে দিতেই ঘরে ঢুকে পড়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশি দোসররা। অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে করতে রামচরণকে ধরে নিয়ে যায় তারা।

রাণী দেবী বাধা দিতে চেষ্টা করেন। রাইফেল দিয়ে তার কোমরে করা হয় আঘাত। পড়ে যান তিনি। আর উঠে বাধা দিতে পারেননি।

সেই রাতে শুধু রামচরণ নয়, একে একে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় আনবার লাল, মহাবীর লাল সামুন্দ, ঈশ্বর লাল, লাল্লু দামানকার, ঘাশিটা দাস, নান্দা লাল, শংকর দাস, নান্দু লাল ও খালবাল দাসকে।

এদের প্রত্যেকেরই লাশ পাওয়া গিয়েছিল রায়েরবাজারে। সেখানে পড়ে থাকা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের লাশের সঙ্গেই পড়ে ছিল শহর পরিচ্ছন্নতাকারীদের ক্ষতবিক্ষত লাশগুলো।

মুক্তিযুদ্ধের শেষ সময়ে কেন সমাজের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির সদস্যদের ধরে নিয়ে হত্যা করা হলো?

এই প্রশ্নের উত্তর মেলে ২০২০ সালে প্রকাশিত অনুসন্ধানমূলক গবেষণাপত্র ‘মুক্তিযুদ্ধে ঢাকার হরিজনদের অভিজ্ঞতা ও সাক্ষ্য : কেস স্টাডি মিরনজুল্লাহ’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেজবাহ কামাল ও গবেষক জান্নাত-এ-ফেরদৌসী করেন এই গবেষণা।

গবেষণার প্রয়োজনে সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছিল শহীদ রামচরণের স্ত্রী রাণী দেবীর। ২২ নভেম্বর রাতের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, “ওরা ভিতরে আসল এবং বলল, আমাদের কাছে তোমার সম্পর্কে খবর আছে। তোমরা মুক্তি, আমাদের সাথে চল।”

প্রায় একই রকম বর্ণনা শহীদ আনবার লালের স্ত্রী বনো দেবীরও। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তার স্বামীকে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় হানাদার বাহিনীর সদস্যরা বলছিল, “মুক্তি হ্যায়, মুক্তি হ্যায়”।

সঙ্গে থাকা বাঙালি কয়েকজন গালি দিয়ে বলেছিল, “মুক্তিযুদ্ধ করস। তোর সব খবর আমরা জানি।”

এরা সবাই ঢাকা শহর পরিচ্ছন্নতার কাজে জড়িত ছিলেন। তাদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া বাসাতেই থাকতেন।

তাহলে কেন তাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চিহ্নিত করে তুলে নিয়ে যাওয়া হলো—সে বিষয়টি খোলাসা হয় আনবার লালের স্ত্রীর বর্ণনাতে।

বনো দেবী বলেন, “তিনি (আনবার লাল) পাউরুটি-চিড়া-গুড় বস্তা ভরে নিয়ে আসতেন। আমাদের বেশি টাকা ছিল না। আমি ভাবতাম এত খাবার কেন কিনে আনে সে? এসব খাবারের বস্তার মধ্যে রাইফেল ঢুকায়ে নিয়ে যেত। আমি জিজ্ঞাসা করলে বলত, ‘কাজ আছে। তুমি বুঝবা না’। (মাঝে মাঝে) যখন রাত হতো, তখন ময়লার গাড়ি, আমরা যাকে বইল গাড়ি বলি, সেই গাড়িতে অস্ত্রগুলো রেখে খেড় দিয়ে ঢেকে রাখত। সকালবেলা নিয়ে যেত।

“আমি তখনও কিছু জানতাম না। কখনও দুপুর আড়াইটা-তিনটার মধ্যে মালগুলো নিয়ে আসতেন, সন্ধ্যায় বের হয়ে যেতেন। যেগুলো ফিরিয়ে নিয়ে আসতেন, সেগুলো বাড়িতে নিয়ে এসে খেড় দিয়ে ঢেকে রাখতেন।”  

গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, শ্রমজীবী এই মানুষরা যুদ্ধের সময় ঢাকায় বিভিন্ন জায়গায় মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র-গোলাবারুদ পরিবহন করতেন। এদের অনেকেই কাজ করতেন পাক বাহিনীর ক্যাম্পগুলোয়। এরা সবাই অল্প-বিস্তর উর্দু ভাষা বুঝতে পারতেন। ফলে ক্যাম্পগুলোয় কী হচ্ছে, তারা কী আলোচনা করছে, সেই খবর শুনে জানাতেন মুক্তিযোদ্ধাদের। অনেক গেরিলা যোদ্ধাকে ঢাকায় গোপনে লুকিয়ে রাখার জন্যও সাহায্য করতেন তারা।

কখনও ফলের ঝুড়িতে, কখনও ময়লার বস্তায় লুকিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যেতেন অস্ত্রগুলো। পরিচ্ছন্নতাকর্মী বলে এদের ‘মানুষ’ হিসেবে গণ্য করত না পাক বাহিনী। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই মূলত তারা সাহায্য করতেন মুক্তিযোদ্ধাদের।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত স্থানীয় রাজাকাররা বুঝে যায় যে, কীভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে অস্ত্র যাচ্ছে। তারাই মিরনজুল্লাহর ১০ জনকে চিহ্নিত করে। তারপর পাক বাহিনীর হাতে তুলে দেয় এই সাহসী মানুষগুলোকে।

২২ নভেম্বর রাতে এদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ঢাকার বিভিন্ন টর্চার সেলে। সেখানে তাদের উপর চালানো হয় নিষ্ঠুরতম অত্যাচার। রায়েরবাজারে যেসব লাশ পাওয়া গিয়েছিল তার সবগুলোর মাথা ছিল ফাটা, চেহারা বিকৃত হয়ে গিয়েছিল। পরনের পোশাক, পকেটের কাগজ, দেহের গড়ন দেখে স্বজনরা কিছু লাশের পরিচয় নিশ্চিত করেন। অনেকের লাশ পাওয়াও যায়নি।

মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হরিজনদের স্মৃতি নিয়ে মিরনজুল্লাহ কলোনিতে নির্মাণ করা হয়েছে একটি শহীদ মিনার। যেটি নিজেদের অর্থায়নেরেই তৈরি করেছিলেন কলোনির বাসিন্দারা। এর জন্য পাওয়া যায়নি সিটি করপোরেশন বা কোনও সরকারি সংস্থার সহায়তা।

নেই কোনও স্বীকৃতি

১৯৭২ সাল থেকে প্রতিবছর ২২ নভেম্বর শহীদদের জন্য শোক পালন করেন মিরনজুল্লাহর বাসিন্দারা। তবে মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ ভূমিকা রাখার পরও গত ৫৩ বছরে এই মানুষগুলো পাননি কোনও স্বীকৃতি।

মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা পরিবর্তন করে অনেক মানুষকেই স্বীকৃতি দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। কিন্তু সেই সংজ্ঞায় এখনও পড়েননি মিরনজুল্লাহর শহীদরা।

১৯৭২ সালে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট গঠনের সময় মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় বলা হয়েছিল, “মুক্তিযোদ্ধা বলতে সেইসব ব্যক্তিকে বোঝায়, যারা মুক্তিযুদ্ধের কোনও বাহিনীতে সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।”

দীর্ঘদিন ধরে এ সংজ্ঞা অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচয় নিশ্চিত করা হতো। তবে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে নতুন করে সংজ্ঞায়ন করে।

২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর প্রকাশিত গেজেটে মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা নতুন করে নির্ধারণ করা হয়। সে অনুযায়ী ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ‘১৯৭২-এর মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট আইন’ যুগোপযোগী করতে জাতীয় সংসদ সংশোধন আনে।

২০১৮ সালের ৮ অক্টোবর বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট আইন-২০১৮ এর গেজেট প্রকাশ করা হয়।

সেখানে বলা হয়, বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তারা গণ্য হবেন, যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করে ভারতের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে নিজেদের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন, যেসব বাংলাদেশি পেশাজীবী মুক্তিযুদ্ধের সময় বিদেশে অবস্থানকালে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশেষ অবদান রেখেছেন, যেসব বাংলাদেশি নাগরিক বিশ্ব জনমত গঠনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় গঠিত মুজিবনগর সরকারের অধীন কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ও মুজিবনগর সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব এমএনএ বা এমপিএ, যারা পরবর্তীকালে গণপরিষদের সদস্য হিসেবে গণ্য হয়েছিলেন।

এছাড়া, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের সহযোগীদের দ্বারা নির্যাতিত সব নারী বা বীরাঙ্গনা, স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের সব শিল্পী ও কলা-কুশলী এবং দেশ ও দেশের বাইরে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে দায়িত্ব পালনকারী সব বাংলাদেশি সাংবাদিক।

স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সব খেলোয়াড়, মুক্তিযুদ্ধে আহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী মেডিকেল টিমের সব ডাক্তার, নার্স ও চিকিৎসা সহকারী।

নতুন এই সংজ্ঞার আওতায় পড়েন না মিরনজুল্লাহর বাসিন্দারা।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদের মহাসচিব নির্মল দাশের সঙ্গে কথা হয় সকাল সন্ধ্যার।

তিনি বলেন, “তাদের (মিরনজুল্লাহর ১০ শহীদ) কথা কেউ কোথাও রাখেনি। আমরা অনেকবার আবেদন করেছি। আমাদের শুধু বলেছে দেখা হবে। কিন্তু কেউ কোনও দিন কখনও কিছুই দেখে নাই। এসবে বিরক্ত হয়ে এখন নিজেরাই এই দিনটি নিজেদের মতো করে পালন করি।”

স্বীকৃতি তো দূরে থাক স্বাধীনতার প্রথম তিন দশকে কলোনির বাইরের কেউ কখনও যায়নি মিরনজুল্লাহর শহীদ মিনারে। প্রথম বাইরের কেউ হিসেবে সেখানে গিয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মেজবাহ কামাল।

তিনি সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “আমরাই প্রথম গেলাম সেখানে। সব জেনে তৎকালীন বাংলাদেশ টেলিভিশনে একটা নিউজও করালাম। মন্ত্রীকেও জানালাম। কিন্তু কোনও ব্যবস্থাই হলো না।”



“এরা তো টার্গেট কিলিংয়ের শিকার। এখানেই তো বোঝা যায় তাদের কেন টার্গেট করা হলো। তাদের নিশ্চয়ই এই যুদ্ধে কোনও না কোনও কন্ট্রিবিউশন ছিল। এই বিষয়টি মনে হয় হিসাবের মধ্যে নেওয়া দরকার।”

মেজবাহ কামাল
অধ্যাপক, ইতিহাস বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

“সব কিছুই তো ধনিক শ্রেণির হাতে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাও আজ তাদের হাতে। ফলে, এখানে যে শ্রেণি বৈষম্য হবে, তাই তো স্বাভাবিক। তাই এই সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষগুলোর ঠাঁই হয়নি কোথাও।”

তারাও মুক্তিযোদ্ধা

মিরনজুল্লাহ কলোনির শহীদদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবেই স্বীকৃতি দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন অধ্যাপক মেজবাহ কামাল।

সকাল সন্ধ্যার সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “যারা মুক্তিযোদ্ধাদের বা মুক্তিযুদ্ধকে সহযোগিতা করতে গিয়ে জীবন দিয়েছেন, তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা। কারণ, এদের এই অপরাধেই চিহ্নিত করা হয়েছিল এবং তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এদের নিশ্চয়ই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সম্মান পাওয়া উচিত।

“এরা তো টার্গেট কিলিংয়ের শিকার। এখানেই তো বোঝা যায় তাদের কেন টার্গেট করা হলো। তাদের নিশ্চয়ই এই যুদ্ধে কোনও না কোনও কন্ট্রিবিউশন ছিল। এই বিষয়টি মনে হয় হিসাবের মধ্যে নেওয়া দরকার।”

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের যে সংজ্ঞায়ন করা হয়েছে, সেখানে সেব পেশাজীবীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলো হলো- শিক্ষক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, আইনজীবী, সংগীতশিল্পী, চিকিৎসক ও প্রকৌশলী।

এ বিষয়ে অধ্যাপক মেজবাহ বলেন, “টার্গেট কিলিংয়ের স্বীকার বুদ্ধিজীবীরা হয়েছেন। কিন্তু বুদ্ধিজীবীদের যে সংজ্ঞা ঠিক করা হয়েছে তাদের মধ্যে পড়েন না সমাজের এমন অনেক নিচের তলার মানুষও তো আছেন, যারা টার্গেট কিলিংয়ের শিকার। তাদের জন্য প্রয়োজনে আলাদা করে স্বীকৃতির ব্যবস্থা করা দরকার।”

এতদিনেও কেন এই হরিজনরা স্বীকৃতির আওতায় এলেন না, তা জানতে চাইলে এই অধ্যাপক বলেন, “সব কিছুই তো ধনিক শ্রেণির হাতে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাও আজ তাদের হাতে। ফলে, এখানে যে শ্রেণি বৈষম্য হবে, তাই তো স্বাভাবিক। তাই এই সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষগুলোর ঠাঁই হয়নি কোথাও।”

স্বীকৃতির উদ্যোগ কি আছে

যথাযথভাবে আবেদন করা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সকাল সন্ধ্যাকে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

তিনি বলেন, “এখন তো একেবারে মুখস্ত বলতে পারব না। আবেদন এলে আমরা নিশ্চয়ই দেখব কী করা যায়।”  

মুক্তিযোদ্ধাদের সংজ্ঞার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এখানে দুই ধরনের শহীদ আছে। এক হলো, যারা বিভিন্নভাবে পাক বাহিনীর হামলায় গণশহীদ হয়েছেন। যে সংখ্যাটা ৩০ লাখ। আরেক দিকে যারা মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছেন বা নানান কাজে সম্পক্ত ছিলেন তারা আলাদা।”  

কিন্তু এই ১০ হরিজন কোন ভাগে পড়বেন, তার উত্তর দিতে পারেননি মন্ত্রী। বিষয়টি তিনি ভেবে দেখবেন বলে জানান।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত