বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ঢাকার চানখারপুলে গুলিতে এক যুবক নিহতের ঘটনায় করা মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের চার দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত। এর আগে চলতি মাসের শুরুতে আরেক মামলায় ৮ দিন রিমান্ডে ছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার সকালে চানখারপুলে যুবক নিহতের মামলার শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজ্জামানের আদালত সাবেক আইজিপিকে দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেয়।
এদিন সকাল ৮টার দিকে চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক মাইনুল ইসলাম খান পুলক তাকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোসহ ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট চানখারপুল এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেন মোহাম্মদ ইসমামুল হক।
সেসময় আন্দোলন দমানোর উদ্দেশে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ অন্যান্য আসামিদের নির্দেশে গুলি চালানো হয়।
অভিযোগে বলা হয়, গুলি চালানোর পর ঘটনাস্থলে ইসমামুল হক গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের নামে নিহতের বড় ভাই মোহাম্মদ মহিবুল হক শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরদিনই আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়।
জনরোষ থেকে বাঁচতে রাজনৈতিক দলের নেতা, বিচারক, সরকারি আমলা, পুলিশ কর্মকর্তাসহ প্রায় ৬২৬ জন ব্যক্তিকে সেসময় বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রয় দেয় সেনাবাহিনী। এ তথ্য আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর)।
সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনও ছিলেন সেনা হেফাজতে। আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলিবর্ষণে ঢাকার মোহাম্মদপুরে মুদি দোকানি আবু সায়েদ হত্যা মামলায় তাকে আসামি করা হলে আত্মসমর্পণ করেন তিনি।
ঢাকার তেজগাঁও থেকে ৩ সেপ্টেম্বর রাতে গ্রেপ্তার হন চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
পরদিন সকালে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। শুনানি শেষে ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।