২৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও মানব পাচারের অভিযোগে করা মামলায় সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক নাজমুল হাচান।
আওয়ামী লীগ নেতা ইমরান আহমদের পক্ষে আইনজীবী তার জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলামের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
সিলেট-৪ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্যকে গত ২০ অক্টোবর রাতে বনানী থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পরদিন তাকে তিন দিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশকে অনুমতি দেয় আদালত।
ইমরান আহমদসহ ১০৩ জনকে আসামি গত ৩ সেপ্টেম্বর পল্টন থানায় মামলাটি করেন আফিয়া ওভারসিজের প্রোপাইটর আলতাব খান।
মামলায় বলা হয়েছে, জনশক্তি রপ্তানিতে দুই হাজারের বেশি রিক্রুটিং এজেন্ট থাকলেও আসামিরা মাফিয়া সিন্ডিকেট চক্র ব্যবসায়ীদের মধ্যে বৈষম্য তৈরি করে সংবিধানের মূলনীতি পরিপন্থী জঘন্য অপরাধ করেছেন। আসামি সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন সরকারি চাকরিরত অবস্থায় নিজ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ছেলেকে সিন্ডিকেট চক্রের সদস্য হিসেবে ব্যবহার করেছেন।
সাবেক প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদ তার পরিবারের সদস্য অর্থাৎ তাহার স্ত্রীর বড় ভাইয়ের ছেলেকে বিধিবহির্ভূতভাবে একটি প্রবাসী নামক অ্যাপ চালু করার অনুমোদন দিয়ে চক্রকে সহযোগিতা করেছেন।
বাদী আরও অভিযোগ করেছেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে তার সরলতার সুযোগে ভয়ভীতি ও বলপ্রয়োগ করে মানবপাচারের উদ্দেশ্যে জোর করে অতিরিক্ত চাঁদা হিসেবে প্রত্যেকের দেড় লাখ টাকা হারে ৮৪১ জনের ১২ কোটি ৫৬ লাখ এক হাজার টাকা আদায় করেছেন। এছাড়া তারা সঙ্ঘবদ্ধভাবে অন্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকা চাঁদা আদায় করে আত্মসাৎ করেছেন।