Beta
মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
Beta
মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল প্রধানকে প্রবাসীদের স্মারকলিপি

জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সদর দপ্তরে এক কর্মকর্তার হাতে স্মারকলিপি তুলে দিচ্ছেন কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশি।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সদর দপ্তরে এক কর্মকর্তার হাতে স্মারকলিপি তুলে দিচ্ছেন কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশি।
[publishpress_authors_box]

বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন, সংখ্যালঘু ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের উপর নির্যাতন-নিপীড়ন হত্যা বন্ধ করতে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের প্রধানের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন ইউরোপ প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সদর দপ্তরে এক কর্মকর্তার মাধ্যমে মানবাধিকার কাউন্সিল প্রধান ভলকার টুর্ক বরাবর এই স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

স্মারকলিপিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারে সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ এবং অন্তর্বর্তী সরকারের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানানো হয়।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন, সর্ব ইউরোপীয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি, অস্ট্রিয়া প্রবাসী মানবাধিকারকর্মী এম. নজরুল ইসলাম। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন, সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জমাদার নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল খানসহ অন্যরা।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, “সাম্প্রদায়িক শক্তি জামায়াত-শিবির-বিএনপি সারা দেশে হত্যা, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ, লুটতরাজ, মন্দির-গির্জা ভাঙচুর, সংখ্যালঘুদের হত্যা, পুলিশ-আনসার হত্যা, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হত্যা, সংসদ ভবন, গণভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বিটিভিসহ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা করে ব্যাপক ক্ষতিসাধনের মধ্য দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলে। এরপর ৫ আগস্ট নির্বাচিত সরকারপ্রধান শেখ হাসিনাকে জোর করে দেশত্যাগ করতে বাধ্য করে।”

শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর ‘অবৈধ সরকারের দোসররা’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বাড়িটি পুড়িয়ে দেয় বলেও সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে।

দেশে এখন মানুষের জানমালের কোনও নিরাপত্তা নেই দাবি করে স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, “আমরা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বসবাস করি। কিন্তু আমাদের পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশে আছেন, ওখানে আমাদের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি আছে। বাংলাদেশে আমাদের পরিবারের অনেক সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের সম্পত্তি লুট করা হচ্ছে। আমরা খুবই উদ্বিগ্ন।

“আপনাদের কাছে আমাদের বিনীত অনুরোধ, সংখ্যালঘুদের ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের নির্যাতন, হত্যা বন্ধ করার জন্য এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাসহ নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে করা সকল মিথ্যা মামলা অভিলম্বে প্রত্যাহার করার জন্য বাংলাদেশে  সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করুন।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত