Beta
শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Beta
শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

রাখাইনে বিস্ফোরণ, কেঁপে উঠছে টেকনাফ

টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটি থেকে নাফ নদী। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটি থেকে নাফ নদী। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
Picture of আঞ্চলিক প্রতিবেদক, কক্সবাজার

আঞ্চলিক প্রতিবেদক, কক্সবাজার

মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান সংঘাতের জেরে আবার কাঁপছে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী উপজেলা টেকনাফ।

দুদিন বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার সকাল থেকে আবারও এপারে ভেসে আসতে থাকে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ। সন্ধ্যা ৭টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দ শুনছিলেন টেকনাফের বাসিন্দারা। কোথাও কোথাও বিস্ফোরণের কারণে ভূমিকম্পের মতো কাঁপুনি অনুভূত হচ্ছিল।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সবশেষ শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ছয় বার এবং রাত সাড়ে ১২টার দিকে থেমে থেমে কয়েকবার বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছিল। এরপর রবি ও সোমবার কোনও শব্দ শোনা যায়নি।

এরপর মঙ্গলবার সকাল আটটার পর থেকে আবারও কিছুক্ষণ পর পর বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন টেকনাফ পৌরসভা, সদর ও সাবরাং এলাকার বাসিন্দারা।

সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর হোসেন বলেন, “ঈদের দিন পুরো এলাকার শান্ত থাকলেও দ্বিতীয় দিন কিছুক্ষণ পর পর থেমে থেমে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। এতে করে এলাকার ঘরবাড়ি কেঁপে উঠছে এবং মনে হয় ভূমিকম্প হচ্ছে। যেভাবে বাড়িঘর কেঁপেছে, মনে হচ্ছে যেন ধসে পড়বে।”

মিয়ানমারের ওপারের বিস্ফোরণে এপারের নাইট্যংপাড়া, চৌধুরীপাড়া, জালিয়াপাড়া, কায়ুকখালীয়পাড়া, পল্লানপাড়া, কুলালপাড়া, খানকার ডেইলসহ কয়েকটি গ্রাম কেঁপে ওঠে বলে জানান টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান।

রাখাইনে বিস্ফোরণের ঘটনায় টেকনাফ সীমান্তের প্রতিটি গ্রামে বিশেষ নজর রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফের ইউএনও মো. আদনান চৌধুরী।

টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, “রাখাইনের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদী ও সীমান্তে বিজিবির টহল বাড়ানো হয়েছে।”

অন্যদিকে সেন্ট মার্টিন থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেলেও দ্বীপে বসবাসকারীদের আতঙ্ক কাটেনি বলে জানালেন ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান।

তিনি বলেন, টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে মানুষ যাতায়াত করতে পারছেন না। নৌপথটি বন্ধ থাকায় দ্বীপের সাড়ে ১০ হাজার মানুষ চিন্তিত। কারণ বর্তমানে ঝুঁকি নিয়ে সাগরপথে চলাচল করতে হচ্ছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত