Beta
শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
Beta
শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

শিল্প এলাকায় চাঁদাবাজি হচ্ছে, উপদেষ্টাকে জানালেন আজাদ

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন এ কে আজাদ। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি এ কে আজাদ। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
[publishpress_authors_box]

রাজনৈতিক সরকারের পর নির্দলীয় সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিলেও পোশাক শিল্প কারখানাগুলোয় চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি বলে অভিযোগ এনেছেন ব্যবসায়ী নেতা এ কে আজাদ। এই সমস্যার সমাধানে সরকারের সহায়তা চেয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে রপ্তানিমুখি পোশাক কারখানাগুলো ব্যাপক চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কে আজাদ বলেন, “কিছু কিছু জায়গায় চাঁদাবাজি হচ্ছে, প্রচুর চাঁদাবাজি হচ্ছে। সেই বিষয়গুলো আমরা উপদেষ্টাকে জানিয়েছি। উনি বলেছেন, এসব বিষয়ে উন্নতির চেষ্টা করছেন।”

ঢাকার শেরে বাংলা নগরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) উপদেষ্টার দপ্তরে তার সঙ্গে দেখা করেছিলেন ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (আইসিসি) সদস্যরা। আইসিসির প্রতিনিধি হিসেবেই শিল্প এলাকায় চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে ধরেন পোশাক শিল্প খাতের গুরুত্বপূর্ণ এই ব্যবসায়ী।

এ কে আজাদ হা-মীম গ্রুপের চেয়ারম্যান। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। সবশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়ান এবং ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

তবে ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর দ্বাদশ সংসদ বিলুপ্ত করেন রাষ্ট্রপতি। ফলে অন্যান্য সংসদ সদস্যদের মতো পদ হারান তিনিও।

দেশের শিল্প কারখানা এলাকাগুলোয় নিরাপত্তাহীনতার কারণে ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা উদ্বেগের মধ্যে পড়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ থেকে যেসব বড় বড় কাস্টমার পোশাক নেয় যেমন- এইচ অ্যান্ড এম, ইন্ডিটেক্স, মার্ক অ্যান্ড স্পেন্সার এসেছিল। এছাড়া অন্য সব বায়ার অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে আজকে জুম মিটিং হবে। তাদের মেইন কনসার্ন (মূল চিন্তা) আইনশৃঙ্খলার উন্নয়ন ঘটানো।”

এ মুহূর্তে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নের দিকে সরকারের নজর দেওয়া উচিত বলে করেন এই ব্যবসায়ী। সেই সঙ্গে স্যাম্পল কালেকশন ক্লিয়ারেন্স এবং চট্টগ্রাম বন্দরের সমস্যাগুলোরও যত দ্রুত সম্ভব উন্নয়নের কথাও উপদেষ্টাকে বলেছেন।

অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা এসব বিষয়ে সহায়তার নিশ্চয়তা নিয়েছেন বলেও জানান এ কে আজাদ।

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে শিল্প এলাকায় কীভাবে কারখানার নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এখন সেনাবাহিনী অঞ্চল ভাগ করে কাজ করছে। শিল্প পুলিশও আস্তে আস্তে ইফেক্টিভ হচ্ছে। উপদেষ্টা জানিয়েছেন, র‌্যাবকেও কাজে লাগিয়ে সমন্বিতভাবে নিরাপত্তার ব্যবস্থার ব্যবস্থা করা হবে।”

বিশ্বের অনেক বড় বড় কোম্পানি বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা করে জানিয়ে এ কে আজাদ বলেন, “বাংলাদেশ সরকার তাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হলে তারা অন্য দেশে চলে যেতে পারে।”

এছাড়াও বিমান বন্দর এবং সমুদ্র বন্দরে রপ্তানিকারকরা নানা ধরনের সমস্যায় পড়ে উল্লেখ করে এসব সমস্যা দ্রুত সমাধানের দাবিও তিনি শিল্প উপদেষ্টার কাছে জানিয়েছেন।

আজাদ বলেন, “আমাদের কাউন্টার পার্ট যেমন সুইডেন বা আমেরিকা জিজ্ঞাসা করে যে, তুমি যদি বিপদে পড় তোমার ওখানে যদি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগ, তাহলে তুমি তার সঙ্গে যোগাযোগ করবে? কে তোমাকে উদ্ধার করবে? পুলিশ তো এখনও স্থিতিশীল হয়নি।”

ক্রেতাদের আস্থা দ্রুত ফিরিয়ে আনা উচিত বলেও মনে করেন এই ব্যবসায়ী।

এসময় রপ্তানি খাতে জিএসপি সুবিধা প্রাপ্তি কমপক্ষে তিন বছর বাড়িয়ে ২০২৯ সাল পর্যন্ত অব্যাহত রাখতে কাজ করার অনুরোধও জানান তিনি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত