Beta
মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
Beta
মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

ভোট কেন দ্রুত চান, জানালেন ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
[publishpress_authors_box]

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্কার শেষে নির্বাচন আয়োজনে দেড় থেকে দুই বছর সময় নিতে চাইলেও বিএনপি তার আগেই নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে।

সম্প্রতি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেনও, আগামী জুলাই-আগস্টের মধ্যে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সম্ভব বলে তারা মনে করেন।

শনিবার ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘শ্বেতপত্র এবং অতঃপর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা সংস্কার ও জাতীয় বাজেট’ শীর্ষক আলোচনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যেও নির্বাচনের ঘোষণাটি দ্রুত দেওয়ার ওপর জোর দেন তিনি।

ফখরুল বলেন, “আপনারা যেসব সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছেন, সেসব সংস্কার নিয়ে আমরাও একমত। তবে নির্বাচনের ঘোষণাটা তাড়াতাড়ি হওয়া উচিৎ।”

কেন দ্রুত নির্বাচন হওয়া দরকা, তার ব্যাখ্যায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমাদের অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি যে নির্বাচনটা তাড়াতাড়ি হওয়া উচিৎ এজন্য যে, নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা জনগণের কাছে যেতে পারব। জনগণকে সম্পৃক্ত করতে পারব এবং জনগণের মধ্য দিয়ে আমরা একটি পার্লামেন্ট নিয়ে আসতে পারব। সেই পার্লামেন্টে আমরা এই সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করতে পারব।”

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান মির্জা ফখরুলের জানতে চান, ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচনের দাবিটা একটু বেশি কম সময় হয়ে যাচ্ছে কি না?

মির্জা ফখরুল তখন বলেন, “এটা আমাদের স্ট্র্যাটেজি বা ট্যাকটিকস দুটোই বলতে পারেন।”

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত আগস্টে পতন ঘটে দেড় দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের। এরপর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়।

অন্তর্বর্তী সরকার সংবিধানসহ নানা ক্ষেত্রে সংস্কারের পর নির্বাচন দিতে চাইছে। সেজন্য সময় প্রয়োজন বলেও সরকারের পক্ষ থেকে যুক্তি দেখানো হচ্ছে।

এই নির্বাচনের মাধ্যমে দেড় যুগ পর ক্ষমতায় যাওয়া প্রত্যাশী বিএনপি সরকার গঠন করলে কী কী করবে, সেই সম্পর্কেও শনিবারের অনুষ্ঠানে ধারণা দেন দলটির মহাসচিব ফখরুল।

তিনি বলেন, “নির্বাচনে যদি আমরা জয়ী হতে পারি, তাহলে আমরা জাতীয় সরকার গঠনের কথা বলেছি। ইলেকশনে যারা আসবেন এবং যারা আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিলেন, তাদের সকলকে নিয়ে আমরা একটি সরকার গঠনের কথা বলেছি।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট গঠনের চিন্তা-ভাবনা করছি। যেখানে আপার হাউজে রাষ্ট্র নিয়ে যারা চিন্তা করেন, যারা অর্থনীতি নিয়ে কাজ করেন, তাদেরকেও আমরা নিয়ে আসতে চাই।”

ভঙ্গুর প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠনের কাজও করতে চান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে চাই গত ১৫ বছরে আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোকে একেবারে ভেঙে ফেলা হয়েছে, সে প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার ওপর।

“আমাদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হচ্ছে, আমাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধংস করা হয়েছে, যা গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে বেশি দরকার, রাষ্ট্রের জন্য দরকার, অর্থনীতির জন্য দরকার। এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করাকে আমরা গুরুত্ব দিতে চাই।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত