Beta
বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫

আসাদ পরিবারের উত্থান-পতন

হাফিজ আল-আসাদ ও তার পরিবার। ছবি: এএফপি।
হাফিজ আল-আসাদ ও তার পরিবার। ছবি: এএফপি।
[publishpress_authors_box]

সিরিয়ার সদ্যপতিত স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদের পরিবার অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে দেশটিকে শাসন করে আসছিল। আসাদের পরিবার আলাবি শিয়া মুসলমান। অন্যদিকে সিরিয়ার বেশিরভাগ মানুষ সুন্নি মুসলমান।

তার মানে, একটি শিয়া পরিবার একটি সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতিকে পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে শাসন করছিল।

রবিবার সিরিয়ার বিদ্রোহী বাহিনী আসাদ পরিবারের ক্ষমতার কেন্দ্র দেশটির রাজধানী দামেস্কে প্রবেশ করে। প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ পালিয়ে আশ্রয় নেন রাশিয়ায়।

এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে আসাদ পরিবারের ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে চলা স্বৈরশাসনের অবসান ঘটেছে।

১৯৭০ সালে হাফিজ আল-আসাদ দেশটিতে আসাদ পরিবারের শাসন শুরু করেছিলেন। তাদের দীর্ঘ শাসনের ইতি ঘটেছে নাটকীয়ভাবে।

হাফিজ আল-আসাদ : আধুনিক সিরিয়ার স্থপতি

১৯৭০ সালের ১৩ নভেম্বর হাফিজ আল-আসাদ এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সিরিয়ার ক্ষমতায় আসেন। এই ঘটনা সিরিয়ার জন্য একটি নতুন যুগের সূচনা করে। সে সময় দেশটি ছিল রাজনৈতিক অস্থিরতায় ভরা। ১৯৪৬ সালে স্বাধীনতার পর থেকেই একের পর এক সেনা অভ্যুত্থান ঘটছিল দেশটিতে।

আলাবি শিয়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্য হাফিজ আল-আসাদ প্রথমে সিরিয়ার বিমান বাহিনীর কমান্ডার এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসাবে নিজের ক্ষমতার ভিত্তি গড়ে তোলেন। ক্ষমতা দখলের আগেই তিনি সামরিক বাহিনী ও বাথ পার্টির ভেতরে তার অনুগতদের একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিলেন।

হাফিজ আল-আসাদের শাসন কৌশল ছিল বিভাজন ও শাসন। তিনি সিরিয়ার জাতিগত, ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক বিভেদগুলোকে কাজে লাগিয়ে ক্ষমতায় নিজের অবস্থান দৃঢ় করেন। তার শাসনব্যবস্থার মাধ্যমে তিনি রাষ্ট্রের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন।

তবে, তার তৈরি দুর্বল প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ভবিষ্যতে তার উত্তরসূরিদের জন্য ভঙ্গুর একটি ভিত্তি রেখে যায়।

নিজের শাসন দৃঢ় করতে হাফিজ আল-আসাদ আলাবি শিয়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে সামরিক বাহিনী ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেন। ঐতিহ্যগতভাবে উপেক্ষিত এই গোষ্ঠী তার শাসনামলে ক্ষমতার কেন্দ্রে উঠে আসে।

একই সঙ্গে তিনি সিরিয়ার ধর্মীয় ও গোত্রীয় বিভেদগুলোকে কাজে লাগিয়ে সম্ভাব্য হুমকি মোকাবেলা করেন। এর ফলে কোনও একক গোষ্ঠী তার কর্তৃত্বের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়তে পারেনি।

হাফিজ আল-আসাদ।

১৯৪৬ সালে সিরিয়ার স্বাধীনতার পর থেকেই আলাবি শিয়া সম্প্রদায় দুটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে— রাজনৈতিক আন্দোলন ও সশস্ত্র বাহিনী— উল্লেখযোগ্য শক্তি হিসাবে আবির্ভূত হয়। এটি তাদের ঐতিহাসিকভাবে অবহেলিত অবস্থান থেকে একটি প্রভাবশালী অবস্থানে উত্তরণের সূচনা করে। তারা সিরিয়ার নতুন ক্ষমতার কাঠামোয় প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে।

সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ-পূর্ব জনগোষ্ঠীর প্রায় ১২-১৫ শতাংশ ছিল আলাবি শিয়া, যারা বাশার আল-আসাদ সরকারের প্রধান সমর্থক। তাদের এই আনুগত্যের মূল কারণ ছিল ঐতিহাসিকভাবে প্রান্তিক অবস্থান এবং আসাদ শাসনের অধীনে বিশেষ করে সামরিক ও নিরাপত্তা খাতে পাওয়া সুযোগ-সুবিধা।

আলাবিরা পুরোপুরি শিয়া মতবাদ অনুসরণ করেন না। তবে তারা শিয়া ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হজরত আলি ইবনে আবি তালিবকে (রা.) গভীরভাবে সম্মান করে।

১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত বাথ পার্টি আরব জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সাম্রাজ্যবাদ বিরোধিতার মিশ্রণ নিয়ে গড়ে ওঠে। আলাবিদের জন্য এই পার্টির ধর্মনিরপেক্ষ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক মতাদর্শ ছিল বিশেষ আকর্ষণীয়। এটি সিরিয়ায় ব্যাপক প্রভাবশালী সুন্নি ইসলামি সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুডের বিকল্প হিসাবে আলাবিদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠে।

রাজবংশীয় শাসনব্যবস্থা

হাফিজ আল-আসাদ যে শাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলেন তাকে বলা হয় ‘অ্যা ডাইন্যাস্টি বাই ডিজাইন’, যা সরাসরি রাজতন্ত্র না হলেও রাজবংশীয় শাসনের মতোই। অর্থাৎ পরিকল্পিতভাবে নির্মিত এমন একটি শাসনব্যবস্থা, যেখানে ক্ষমতা একটি পরিবারের ভেতরেই কেন্দ্রীভূত থাকবে এবং প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে স্থানান্তরিত হবে।

এই প্রক্রিয়া শুধু পারিবারিক সিদ্ধান্ত ছিল না; বরং এটি শাসনব্যবস্থার সঙ্গে গভীরভাবে সংযুক্ত ছিল। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, সামরিক বাহিনী এবং শাসক দলের ভেতরে আনুগত্যের নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হয়েছিল, যা এই পারিবারিক শাসনব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করেছে।

এই ধারাবাহিকতায়, আসাদ পরিবার একটি রাজবংশ হিসাবে গড়ে ওঠে, যা ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য কৌশলগতভাবে পরিকল্পিত ছিল। শাসনকালের শুরু থেকেই হাফিজ আল-আসাদ এই পরিকল্পনা করেছিলেন। তিনি তার শাসনের উত্তরাধিকার তার সন্তানদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য তাদের প্রস্তুত করা শুরু করেন।

আসাদ পরিবার।

প্রথমে হাফিজ আল-আসাদ তার শাসনের উত্তরাধিকার বড় ছেলে বাসেল আল-আসাদের হাতে তুলে দিতে চেয়েছিলেন। বাসেলকে ভবিষ্যৎ নেতা হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছিল। কিন্তু ১৯৯৪ সালে এক গাড়ি দুর্ঘটনায় বাসেলের অকালমৃত্যু হাফিজকে তার দ্বিতীয় ছেলে বাশার আল-আসাদের দিকে মনোনিবেশ করতে বাধ্য করে। বাশার তখন তুলনামূলক অপ্রস্তুত একজন চক্ষু চিকিৎসক ছিলেন।

যাইহোক, এরপর হাফিজ তার ছোট ছেলে বাশারকে ভবিষ্যৎ নেতা হিসাবে প্রস্তুত করেন। ২০০০ সালে হাফিজ আল-আসাদের মৃত্যুর পর বাশার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন। এক গণভোটে ৯৭ শতাংশ ভোটের মাধ্যমে তার ক্ষমতা নিশ্চিত হয়, যা পূর্ব নির্ধারিত ছিল।

বাশারের ক্ষমতায় আসার পর শুরুতে অনেকেই আশাবাদী হয়েছিলেন। অনেক সিরীয় এবং বিদেশি পর্যবেক্ষক মনে করেছিলেন, তিনি সংস্কার ও উন্মুক্ততা নিয়ে আসবেন, যা দীর্ঘদিনের কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসান ঘটাবে। কিন্তু সেই আশা দ্রুতই মিলিয়ে যায়।

বাশার আল-আসাদের ক্ষমতা সুসংহতকরণ

বাশার শুধু তার বাবার শাসনব্যবস্থাই নয় বরং তার ঘনিষ্ঠ সার্কেলকেও উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছিলেন। এই সার্কেলে ছিলেন ১৯৭০-এর দশক থেকে গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণে থাকা বয়স্ক বিপ্লবী নেতারা।

কিন্তু বাশার তার বাবার মিত্রদের সরিয়ে নিজের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসান। তার গড়ে তোলা এই নতুন ঘনিষ্ঠ সার্কেলের বেশিরভাগ সদস্যই সিরিয়ার শহুরে অভিজাত শ্রেণি থেকে আসা। তবে, এদের আগের নেতাদের মতো তৃণমূল পর্যায়ে কোনও যোগাযোগ ছিল না। ফলে শাসনব্যবস্থা দেশের গ্রামীণ জনগোষ্ঠী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

বাশারের শাসনামলে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল হতে থাকে। এরই মধ্যে তার পরিবারকেন্দ্রিক একটি ছোট অভিজাত গোষ্ঠী ক্ষমতার কেন্দ্রে উঠে আসে। তার ভাই মাহের আল-আসাদ, বোন বুশরা, এবং বুশরার স্বামী আসেফ শওকত নিরাপত্তা ও সামরিক ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতেন।

অর্থনৈতিক ক্ষমতাও শাসকগোষ্ঠীর ঘনিষ্ঠদের হাতেই কেন্দ্রীভূত ছিল। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন বাশারের চাচাতো ভাই রামি মাখলুফ, যিনি সিরিয়ার অর্থনীতির ৬০ শতাংশেরও বেশি নিয়ন্ত্রণ করতেন বলে ধারণা করা হয়। এই কাঠামো বাশারের শাসনকে একটি সংকীর্ণ অভিজাত গোষ্ঠীর উপর নির্ভরশীল করে তোলে।

ভোট দিচ্ছেন বাশার আল-আসাদ।

বাশারের বাবা হাফিজ আল-আসাদের শাসন নির্মম দমননীতির জন্য পরিচিত ছিল। এর সবচেয়ে কুখ্যাত উদাহরণ ১৯৮২ সালে হামা শহরে মুসলিম ব্রাদারহুডের সশস্ত্র বিদ্রোহ দমনে সিরিয়ার সামরিক বাহিনীর অভিযান। ওই অভিযানে ১০ হাজার থেকে ৪০ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে বলে ধারণা করা হয়। এটি আধুনিক মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাসে অন্যতম নৃশংস দমন অভিযান।

এই দমননীতি বাশার আল-আসাদের শাসনামলেও অব্যাহত থাকে। এর চরম প্রকাশ ঘটে ২০১১ সালের বিদ্রোহে, যখন আরব বসন্তের প্রভাব সিরিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। দেরা শহরে শুরু হওয়া শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে সরকারের সহিংস দমননীতির কারণে একটি পূর্ণাঙ্গ সশস্ত্র গৃহযুদ্ধ শুরু হয়।

এই সংঘাত কয়েক লাখ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এবং লাখ লাখ মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে। সিরিয়ার এই গৃহযুদ্ধ শুধু দেশটির ভেতরেই নয় বরং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পরিসরেও গভীর সংকট তৈরি করে।

অর্থনৈতিক ব্যর্থতা ও অসমতা

বাশার আল-আসাদের শাসনকাল অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা ও ক্রমবর্ধমান বৈষম্যের জন্য কুখ্যাত। ২০০০ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে মাথাপিছু জিডিপি দ্বিগুণ হলেও এই উন্নতির সুফল মূলত একটি ছোট অভিজাত শ্রেণির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। এর ফলে ব্যাপক দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও দুর্নীতি জনগণের অসন্তোষ বাড়িয়ে তোলে।

২০০০-এর দশকের শেষের দিকে ভয়াবহ খরা, যার সঙ্গে যুক্ত ছিল সম্পদের দুর্বল ব্যবস্থাপনা, গ্রামীণ এলাকা থেকে লাখ লাখ মানুষকে শহরে অভিবাসনে বাধ্য করে। এতে শহুরে এলাকায় জনসংখ্যার চাপ এবং সামাজিক সমস্যা আরও বেড়ে যায়।

দামেস্কে প্রবেশ করেছে বিদ্রোহীরা।

‘শ্যাডো স্টেট’ মডেল ও শাসনব্যবস্থা

আসাদ সরকারের টিকে থাকার কৌশল ছিল তথাকথিত ‘শ্যাডো স্টেট’ মডেলে। এখানে প্রকৃত ক্ষমতা আনুষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠানের বাইরে অবস্থিত। এই ব্যবস্থা অভ্যুত্থান ঠেকানোর জন্য ডিজাইন করা হয় এবং পরস্পর সংযুক্ত নিরাপত্তা সংস্থা, পৃষ্ঠপোষকতার নেটওয়ার্ক এবং পারস্পরিক নজরদারির সংস্কৃতির ওপর নির্ভরশীল।

এটি সরকারের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে কার্যকর হলেও এই মডেল সিরিয়ার শাসনব্যবস্থাকে অস্বচ্ছ ও দায়বদ্ধতাহীন করে তোলে।

নির্বাচন ও সাংবিধানিক সংস্কারের ছদ্মাবরণে দেশটি কার্যত একটি একনায়কতন্ত্র হিসাবেই রয়ে যায়। জনগণের ওপর সরকারের ক্ষমতা ছিল সর্বাত্মক, কিন্তু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার কোনো প্রকৃত চর্চা সেখানে হয়নি।

বিদ্রোহীদের স্বাগত জান্নাচ্ছে দামেস্কের জনসাধারণ।

২০১১ ও পরবর্তী সময়

সিরিয়ায় ২০১১ সালে শুরু হওয়া বিদ্রোহ ১৩ বছরেরও বেশি সময় পরও এক অনিশ্চিত বিপর্যয় হয়ে রয়ে গেছে। দেরা শহর থেকে শান্তিপূর্ণ সংস্কারের আহ্বান নিয়ে শুরু হওয়া বিক্ষোভ সরকারি বাহিনীর সহিংস দমনের কারণে দ্রুত গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়।

এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত কয়েক লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং লাখ লাখ মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছাড়া হয়েছে। প্রথমদিকে সীমিত সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলন একটি সর্বাত্মক সংকটে পরিণত হয়।

তবে গৃহযুদ্ধ চলতে থাকলেও দেশের বেশিরভাগ অংশের নিয়ন্ত্রণ রেখে ক্ষমতায় টিকে থাকেন বাশার। মাঝে চরমপন্থী ইসলামি গোষ্ঠী আলকায়েদা ও আইএসের হ্যাপাও সামলাতে হয় তাকে। আইএসকে দমনে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যও সিরিয়ায় নিয়মিত বিমান হামলা চালিয়েছিল।

২০১৬ সালের মধ্যে আসাদ সরকারও বিদ্রোহীদের ইদলিব শহরে কোণঠাসা করে ফেলেন। সে বছরই আল-কায়েদা থেকে বেরিয়ে আসেন বর্তমান বিজয়ী বিদ্রোহী জোটের নেতা আবু মোহাম্মদ আল-জুলানি। তিনিও ইদলিবে গিয়ে ঘাঁটি গাড়েন।

আসাদের পতনে কুর্দি বিদ্রোহীর উল্লাস।

২০১৭ সালের শুরুতে তিনি ইদলিবে আশ্রয় নেওয়া সব বিদ্রোহীদের নিয়ে হায়াত তাহরির আল শাম (এইচটিএস) নামের একটি নতুন সংগঠন গড়ে তোলন। ইদলিবে নিজস্ব সরকার ব্যবস্থাও প্রতিষ্ঠা করে এইচটিএস। ওই সরকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিচারব্যবস্থার পাশাপাশি আর্থিক কর্মকাণ্ডও পরিচালনা করে।

২০২০ সালে তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যস্থতায় আসাদ সরকারের সঙ্গে ইদলিবের বিদ্রোহীদের একটি সমঝোতা চুক্তি হয়। ওই চুক্তির ফলে আসাদ বাহিনী ইদলিবে আর হামলা চালায়নি।

এরপর মাঝখানে কয়েক বছর শান্ত থাকে সিরিয়া। কিন্তু গত ২৭ নভেম্বর থেকে এইচটিএস নতুন করে অভিযান শুরু করে। এক নজিরবিহীন দ্রুততায় মাত্র ১২ দিনের মধ্যেই তারা আসাদ সরকারের পতন ঘটিয়ে রাজধানী দামেস্ক দখল করে নেয়।

তথ্যসূত্র : এনডিটিভি

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত