ম্যাচ খেলায় দেড়শ পার করেছেন কিন্তু রানের হিসেবে ১০ হাজারের আক্ষেপটা থেকেই যাবে ফরহাদ হোসেনের। ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত মুখ রাজশাহীর এই ক্রিকেটার সবধরণের ক্রিকেটকে গুডবাই জানালেন মঙ্গলবার।
চলমান জাতীয় লিগে রংপুরের বিপক্ষে জন্মস্থান রাজশাহীর শেখ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে শেষ ম্যাচ খেললেন ফরহাদ। ২০০৫ সালের মার্চে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া ফরহাদ এতদিনে খেলেছেন ১৬১ ম্যাচ। ১৯ বছর আগে রাজশাহীতেই অভিষেক হয়েছিল তার।
৩৭ বছর বয়সী ফরহাদের ক্যারিয়ারে ১৮ সেঞ্চুরিতে আছে ৯০৬৫ রান। নিয়েছেন ১৬৫ উইকেট। বিদায়ী ম্যাচে রাজশাহী বিভাগ দলের পক্ষ থেকে ফরহাদকে সতীর্থরা স্বাক্ষরিত জার্সি উপহার দেন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে নির্বাচক হান্নান সরকার স্মারক ক্রেস্ট তুলে দেন ফরহাদকে। ফরহাদের বিদায় অনুষ্ঠানে রাজশাহীর সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদও উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলা হয়নি ফরহাদের। তবে “এ” দলে দুটি ম্যাচ খেলেছিলেন। বাংলাদেশের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে ৭ হাজারের বেশি রান করা আট ব্যাটারের মধ্যে একমাত্র ফরহাদের জাতীয় দলে খেলার সুযোগ হয়নি।
ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করলেও বড় পর্যায়ে উজ্জ্বল ছিলেন না এই ব্যাটার। বরিশাল বার্নার্স ও দুরন্ত রাজশাহীর দুবার বিপিএলে মোট ১৩ ম্যাচের ৮ ইনিংসে মাত্র ৫০ রান করেছেন তিনি।
শেষটাও ভালো হয়নি ফরহাদের। রংপুরে বিপক্ষে দুই ইনিংসে করেছেন ২৬ ও ৯ রান। হেরেছে তাঁর দলও। ৬ উইকেটে ৬২ রান নিয়ে চতুর্থ রাউন্ডের শেষ দিন শুরু করা রাজশাহী দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬১ রানে অলআউট হয়ে হেরেছে ১০১ রানে। চার ম্যাচে দ্বিতীয় জয় পেল রংপুর, রাজশাহী পেয়েছে দ্বিতীয় হারের স্বাদ।
ড্র ম্যাচে মিঠুনের সেঞ্চুরি
কক্সবাজার একাডেমি গ্রাউন্ডে সিলেট-খুলনা ম্যাচ ড্র হয়েছে। প্রথম ইনিংসে ২২৩ রানে পিছিয়ে পড়ে ফলোঅন করে খুলনা। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেটে ২৯৬ রান করার পর সিলেট ও খুলনা ড্র মেনে নেয়। খুলনার মোহাম্মদ মিঠুন ১০২ রানে অপরাজিত ছিলেন। মিথুনের সেঞ্চুরি পূর্ণ হওয়ার পর ড্র হয় ম্যাচ।
নাটক শেষে ড্র দুই ঢাকার ম্যাচ
সিলেট একাডেমি মাঠে ঢাকা বিভাগকে ২৫৭ রানের লক্ষ্য দিয়ে জয় দেখছিল ঢাকা মেট্রোপলিস। রান তাড়ায় ঢাকা বিভাগ ৮ উইকেটে ১৪৮ রান তোলার পর আলোকস্বল্পতায় খেলা আর চালানো সম্ভব হয়নি। অথচ জয় থেকে মাত্র দুই উইকেট দূরে ছিল ঢাকা মেট্রোা।
এর আগে ৬ উইকেটে ১৮৬ রান নিয়ে দিন শুরু করা মেট্রো অলআউট হয় ২৬৭ রানে। ঢাকা বিভাগের পেসার এনামুল হক ৮১ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন। এনামুল প্রথম ইনিংসেও নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। ২১ ম্যাচের ক্যারিয়ারে এটাই ২৪ বছর বয়সী এনামুলের ইনিংস ও ম্যাচসেরা বোলিং।