সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে ঘাস কাটতে গিয়ে বন্যার পানিতে ডুবে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের সাতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত রুহুল আমিন (৩৭) সাতা গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আলিম উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রামের হাওরে ছেলে ইয়াছিনকে নিয়ে নৌকায় করে গরুর জন্য ঘাস কাটতে যান কৃষক রুহুল আমিন। ঘাস কাটার সময় হঠাৎ নৌকা থেকে পড়ে বন্যার পানির স্রোতে তলিয়ে যান ওই কৃষক।
এসময় ছেলে ইয়াছিনের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ওই কৃষককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে পরীক্ষার পর মৃত ঘোষণা করেন।
জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, “রুহুল আমিন শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় পানি থেকে উঠতে পারেননি। পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”
সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলায় বন্যার পানিতে ডুবে গত দুই দিনে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে সিলেট জেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে তিনজন।
অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত সিলেট অঞ্চলের কিছু জায়গা থেকে পানি নামলেও বন্যা কবলিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। সবমিলিয়ে সিলেট বিভাগে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় ২২ লাখ মানুষ।
এর মধ্যে সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের তথ্য বলছে, জেলার ১২টি উপজেলার ১১টি প্লাবিত হয়ে পড়েছে। জেলার ৮০টি ইউনিয়ন ও ৩টি পৌরসভায় বন্যা আক্রান্তের সংখ্যা ৮ লাখ ৪২ হাজার ৫৯৬ জন। জেলায় মোট ৬৯৪টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এরই মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছেন ২৩ হাজার ৮৪৯ জন।
সুনামগঞ্জে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ছাতক উপজেলা। এই উপজেলার ৩ লাখ ৯৭ হাজার মানুষ বন্যা আক্রান্ত হয়েছেন। আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন ১০ হাজার ৫১১ জন।