মিরপুরে খেলে টেস্টকে বিদায় বলতে পারেননি সাকিব আল হাসান। টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়া বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়কের স্বপ্ন, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার। সেই সুযোগ কী তিনি পাবেন?
এ নিয়ে বিপিএলের মাসকট উন্মোচন অনুষ্ঠানে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ জানালেন, ‘‘সাকিব আল হাসানের বিষয়টা আমি খুব বেশি উত্তর দিতে পারি না। আপনি আমাকে বারবার প্রশ্ন করেন, আমি বিব্রত না। আমি চাই সাকিব আল হাসান খেলুক, কিন্তু ওর যে ব্যাপারটা পুরোপুরি আসলে…ও যে কারণে দেশে আসতে পারছে না। এটার সঙ্গে ক্রিকেট বোর্ড কোনোভাবেই সম্পৃক্ত না। এর উত্তর দেওয়া আমার পক্ষে সহজ না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী যেখানে আছেন তাদের এই ব্যাপারটা মীমাংসা করতে হবে।’’
শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারি, খুনের মামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলা আছে সাকিবের বিরুদ্ধে। জব্দ করা হয়েছে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। তাই দেশে ফিরে বিপিএল খেলাও অনিশ্চিত সাকিবের। নিজেকে তৈরি রাখতে ভরসা বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ।
এই বাস্তবতায় ফারুক আহমেদ জানালেন, ‘‘ও তো এখনও তালিকায় আছে। আশা করি ও যেভাবে চাচ্ছে বা এটার সমাধান হলে সাকিব এখনও জাতীয় দলে খেলার সামর্থ্য রাখে। এভাবে একজন খেলোয়াড় শুধু বাইরের টুর্নামেন্ট খেলবে, তাকে মানসিকভাবে খুব শক্ত হতে হবে। ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আর জাতীয় দল এক কথা না। দলের সাথে একটা প্রস্তুতিরও দরকার আছে। সেটা যেহেতু করতে পারছে না, আমার মনে হয় ও খেলার মতো অবস্থায় খুব একটা নেই। এ বিষয়টা আমরা ওর ওপর ছেড়ে দিয়েছি যে ও কী চিন্তা করছে।’’
বিপিএলের বর্তমান চক্রে অংশ নেওয়া ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর কাছে বড় অঙ্কের টাকা পাওনা আছে বিসিবির। বকেয়া টাকা দিতে গড়িমসি করছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। অংশগ্রহণ ফি বাবদ নির্ধারিত গ্যারান্টি মানি জমা দিতেও গড়িমসি করছে দলগুলো।
তাই বিসিবির আইনি পথে হাঁটার কথা জানালেন ফারুক আহমেদ, ‘‘আমরা বিপিএলের দলগুলোর কর্ণধারদের কাছে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছি টাকা জমা দিতে। আমরা যে টাকা পাওয়ার কথা, তার সামান্যই পেয়েছি। তবে নিয়ম অনুযায়ী তাদের এই টাকা দিতেই হবে।’’