Beta
বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

বিসিবির নতুন সভাপতি হচ্ছেন ফারুক আহমেদ

faruq1
Picture of শিহাব উদ্দিন

শিহাব উদ্দিন

[publishpress_authors_box]

রূপরেখা প্রস্তুত, শুধু ঘোষণাটাই বাকি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অন্তর্বর্তী কমিটি গঠনের কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। বিসিবির নতুন সভাপতি হতে যাচ্ছেন সাবেক অধিনায়ক ও প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ। এখন তা বাস্তবায়নের কাজ চলছে।

সূত্র মাধ্যমে সকাল সন্ধ্যা জানতে পেরেছে শনিবার রাতে ফারুক আহমেদের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনাও করেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বৈঠকে বিসিবির গঠনতন্ত্রসহ আইসিসির বাধ্যবাধকতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

সভাপতি পদের জন্য সৈয়দ আশরাফুল হক ও নাজমুল আবেদীন ফাহিমের নামও আলোচনায় ছিল। তবে ফারুক আহমেদের উপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আস্থা রাখছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফারুক আহমেদ সকাল সন্ধ্যাকে ইতিবাচক উত্তর দিয়েছেন, “সুখবর একটা শুনেছ (হাসি), সম্ভাবনা আছে কিন্তু এখনও তো হয়নি (আনুষ্ঠানিক ঘোষণা), দেখা যাক।”

বিসিবির গঠনতন্ত্রে স্পষ্ট করে লেখা আছে পরিচালকদের মধ্য থেকে নির্বাচিত হবে প্রেসিডেন্ট। কিন্তু ফারুক আহমেদ বিসিবির পরিচালক পদে নেই। তাহলে বিসিবি পরিচালক হিসেবে কিভাবে যুক্ত হবেন তিনি?

প্রক্রিয়া খুব সোজা। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মাধ্যমে মনোনীত করে পরিচালক হিসেবে বিসিবিতে আনা হবে ফারুক আহমেদ ও অপর একজনকে। কারণ ক্রীড়া পরিষদের কোটায় দুজন বিসিবি পরিচালক হতে পারেন। বর্তমানে এই দুজন পরিচালক হলেন জালাল ইউনুস ও সাজ্জাদুল আলম ববি।

ফারুক এই কোটায় বিসিবি পরিচালক হওয়ার পর বাকি পরিচালকদের ভোটে তাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হবে। পরিচালকদের ভোটের জন্য যে কোরাম (এক তৃতীয়াংশ পরিচালকের উপস্থিতি) প্রয়োজন সেটিও প্রস্তুত আছে।

এক্ষেত্রে নিশ্চিত ভাবেই ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক কোটায় বাদ পড়তে যাচ্ছেন জালাল ইউনুস ও সাজ্জাদুল আলম ববি। জালাল ইউনুস পরিচালক ছাড়াও বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির দায়িত্বে আছেন, আর সাজ্জাদুল আলম আছেন টুর্নামেন্ট কমিটির দায়িত্বে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফারুক সকাল সন্ধ্যাকে আরও বলেছেন, “বিসিবির যে গঠনতন্ত্র আছে সে অনুযায়ীই সব হচ্ছে।” সভাপতি হতে প্রস্তুতি কেমন জানতে চাইলে সাবেক অধিনায়ক ও প্রধান নির্বাচক বলেছেন, “আমাকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আমি তো একটা নির্দিষ্ট কারণে বিসিবি থেকে সরে গিয়েছিলাম, সেই কারণটা তো এখন আর নাই। আর স্বাধীন ভাবে যদি কাজ করার সুযোগ পাই তাহলে কেন নয়?”

ফারুক আহমেদের বিশ্বাস নির্বাচক হিসেবে যেমন সফল ছিলেন সভাপতি হিসেবেও সফল হবেন, “আমি দেশের ক্রিকেটকে ভালোবাসি। ২৩ বছর খেলোয়াড় ছিলাম এরপর ৭ বছর সংগঠক। ৩০ বছরের মতো ক্রিকেটের সঙ্গেই ছিলাম। তাহলে পারব না কেন? আর আমি যখন তিন দফায় নির্বাচক ছিলাম। ২০১৩ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত ছিলাম প্রধান নির্বাচক। সাকিব-তামিম-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহরা আমার সময়ে উঠে আসা ক্রিকেটার।”

সাবেক ক্রিকেটার ফারুক আহমেদ এর আগে দুই মেয়াদে বিসিবির প্রধান নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রথম মেয়াদে ২০০৩ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত, আর দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন ২০১৩ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত। দ্বিতীয় মেয়াদে তার দায়িত্ব পালন সুখকর ছিল না। পদত্যাগ করে বিদায় নিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত