Beta
শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
Beta
শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

ফ্যাশন: পেটিকোট ক্যান্সার ও অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকি

peticoat-cancer
[publishpress_authors_box]

চিকিৎসকের কাছে গিয়ে যদি হঠাৎ শোনেন কেবল আটোসাটো পোশাক পরার কারণেই আপনার ক্যান্সার হয়েছে! কিংবা প্রস্রাবে জ্বালাপোড়ার রোগটি হয়েছে টাইট করে বেল্ট বাঁধার কারণে! অনেক সময় ফ্যাশনের কারণে আমরা এমন কিছু ভুল করি যা দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। জেনে নেওয়া যাক কিছু সাধারণ ফ্যাশন-ভুল এবং তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে।

উঁচু হিল ও জুতা

উঁচু হিল পায়ের পাতার স্বাভাবিক গঠন নষ্ট করে এবং শরীরের ভরসাম্য পরিবর্তন করে। এর ফলে মেরুদণ্ডের স্বাভাবিক বক্রতা পরিবর্তিত হয়, যা পিঠ ও কোমরে ব্যথার সৃষ্টি হতে পারে। তাছাড়া হাঁটুতে অতিরিক্ত চাপ পড়ার কারণে হাঁটুর কার্টিলেজ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং অস্টিওআর্থারাইটিসের ঝুঁকি বাড়ে।

হিল পরায় পায়ের আঙ্গুল সংকুচিত হয়ে থাকার কারণে পায়ের পাতার সমস্যা হতে পারে। পায়ের বড় আঙুলের গোড়ায় অস্থি বা টিস্যুর অস্বাভাবিক বৃদ্ধি হয়ে সৃষ্টি হতে পারে ‘বুনিয়ন’ রোগের। এতে বুড়ো আঙুল ধীরে ধীরে পাশের দিকে বাঁকা হয়ে যায় এবং পায়ের অন্য আঙুলগুলোর সঙ্গে ঘেঁষে থাকে। এছাড়া আরামপ্রদ জুতা না পরার কারণে অনেক সময় পায়ে কড়া পড়ে, নখ আঙ্গুলের ভেতরে ঢুকে যেতে এবং পায়ের পাতার সমস্যাও হতে পারে।

পায়ের পেশি ও লিগামেন্টে অতিরিক্ত চাপ পড়লে তাদের স্থিতিস্থাপকতা কমে যেতে পারে এবং আঘাতের ঝুঁকি বাড়ে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিনের ব্যবহারের জন্য আরামদায়ক, সহায়ক এবং সঠিক মাপের জুতা নির্বাচন করা উচিত। শক শোষণকারী সোল, আর্চ সাপোর্ট এবং পায়ের আঙ্গুলের জন্য যথেষ্ট জায়গা আছে এমন জুতা বেছে নেওয়া উচিত। সামান্য উঁচু (১-২ সেমি) হিলযুক্ত এবং হালকা ও নমনীয় উপাদানে তৈরি জুতা শরীরের সঠিক অঙ্গবিন্যাস বজায় রাখতে সাহায্য করে।

ভারী ব্যাগ

কাঁধে বা হাতে অতিরিক্ত ওজনের ব্যাগ বহন করা শরীরের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। এক কাঁধে ভারী ব্যাগ বহন করলে কাঁধ ও ঘাড়ের পেশিতে টান পড়ে এবং ব্যথা হয়। মেরুদণ্ডের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়লে ডিস্ক প্রলাপস বা অন্যান্য মেরুদণ্ডের সমস্যা হতে পারে।শরীরের একপাশে অতিরিক্ত ভার বহন পেশির ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। কনুই বা কবজিতে ব্যাগ বহন করলে স্নায়ু সংকুচিত হয়ে ব্যথা ও অসাড়তা সৃষ্টি করতে পারে।

এই সমস্যা এড়াতে ব্যাগে শুধু প্রয়োজনীয় জিনিস রাখতে হবে। সম্ভব হলে প্যাডেড স্ট্র্যাপযুক্ত ব্যাকপ্যাক ব্যবহার করতে হবে। নিয়মিত স্ট্রেচিংও এই সমস্যা কমাতে সহায়ক।

আঁটসাঁট পোশাক

টাইট পোশাক, যেমন স্কিনি জিনস, করসেট বা টাইট পেটিকোট, শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্ত সঞ্চালনে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। এর কারণে মেরালজিয়া প্যারেস্টেটিকা বা উরুর স্নায়ু সংকুচিত হলে পায়ে ব্যথা, ঝিমঝিম বা অসাড়তা অনুভূত হতে পারে।

পেটে অতিরিক্ত চাপ পড়লে অ্যাসিড রিফ্লাক্স, পেট ফাঁপা এবং বদহজম হতে পারে।

আঁটসাঁট পোশাকের কারণে যৌনাঙ্গ এলাকায় বাতাস চলাচল কমে গেলে ভ্যাজাইনাল ইনফেকশন, ইস্ট সংক্রমণ বা মূত্রনালীর সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মাঝে মাঝে টাইট পোশাক পরা ক্ষতিকর নয়, তবে প্রতিদিনের ব্যবহারের জন্য ঢিলেঢালা ও আরামদায়ক পোশাক বেছে নেওয়া উচিত।

অস্বস্তিকর ও সিনথেটিক অন্তর্বাস

সিনথেটিক অন্তর্বাস ত্বকের সঙ্গে ঘষা লেগে জ্বালা, অ্যালার্জি এবং সংক্রমণের কারণ হতে পারে। খারাপ ফিটিং এর ব্রা কাঁধ ও ঘাড়ে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে ব্যথা ও অস্বস্তি সৃষ্টি করে। তাই সুতির মতো প্রাকৃতিক উপাদানের তৈরি এবং সঠিক মাপের অন্তর্বাস পরিধান করা উচিত।

কন্টাক্ট লেন্সের ভুল ব্যবহার

কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহারের ক্ষেত্রে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং সঠিক নিয়ম মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি। লেন্স বেশি সময় ধরে পরা, সঠিকভাবে পরিষ্কার না করা বা লেন্স পরে গোসল করলে চোখের সংক্রমণ, শুষ্কতা এমনকি কর্নিয়ার ক্ষতিও হতে পারে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত