টেলিভিশন পর্দায় দৌড় শেষে একটু হতাশই দেখা গেল ইমরানুর রহমানকে। ১০০ মিটার স্প্রিন্টের শেষ ২৫ মিটার সাধারণত দৌড়ের গতি বাড়িয়ে দেন স্প্রিন্টাররা। কিন্তু ইমরানুর শেষ দিকে এসে যেন হাল ছেড়ে দিলেন দৌড়ের।
আর এতেই নিজের স্বাভাবিক পারফরম্যান্সটা করতে পারেননি বাংলাদেশের দ্রুততম মানব। ১০.৭৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে নিজের হিটে হয়েছেন ষষ্ঠ। সব মিলিয়ে প্রিলিমিনারি রাউন্ডের ৪৫ জনের মধ্যে হয়েছেন ২৫তম।
এমন পারফরম্যান্স তিনি নিজেও আশা করেননি। চোটের কারণে নাকি এবারের অলিম্পিক গেমসে অংশ নিতে প্যারিস যেতেই চাননি ইমরানুর। অলিম্পিক থেকে বিদায়ের পর মিক্সড জোনে থাকা বাংলাদেশি গণমাধ্যমে এমন কথা বলেছেন তিনি।
গত মার্চে এশিয়ান ইনডোর অ্যাথলেটিকসে চোট পান ইমরানুর। এপ্রিলে ইমরানুর অনুশীলন করতে গেলে তলপেটের পেশি ছিড়ে যায় তার। তখনই বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনকে অলিম্পিকে না খেলার ইচ্ছার কথা বলেন। কিন্তু ঢাকা থেকে তাকে খেলায় অংশ নিতে বলা হয়। এরপর থেকে ইমরানুর ছিলেন পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে। গত তিন সপ্তাহ ধরে অনুশীলন করে ট্র্যাকে শনিবার বেশ খারাপ টাইমিং করেছেন।
ইমরানুর দৌড় শেষ করে মিক্সড জোনে দাঁড়িয়ে ৫ জন বাংলাদেশি সাংবাদিকের সামনে বলেছেন, “আমি তো আগেই খেলতে চাইনি। ব্রিটিশ কোচ স্টিফেন হাওয়ার্ডও আগেই খেলতে না করেছিলেন। আজ যে টাইমিং করেছি তা আগে কখনও করেছি কিনা মনে করতে পারছি না। খারাপ টাইমিং করে খারাপ লাগছে।”
ইমরানুর দাবি করেন, তিনি প্রতি মাসেই নিজের চোটের ‘আপডেট’ ফেডারেশনকে জানিয়েছেন এবং নিজের অলিম্পিক স্বপ্ন বিসর্জন দিয়ে বলেছেন, অন্য কাউকে যেন নেওয়া হয়। কিন্তু ফেডারেশন থেকে বারবারই তাকে বাধ্য করা হয়েছে চোট গোপন করতে এবং এই কথা কোনওভাবেই প্রকাশ না করতে বা সংবাদমাধ্যমকে না জানাতে।
যদিও পুরো বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ইমরানুরের সঙ্গে প্যারিস যাওয়া বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রকিব মন্টু। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ““জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের সময় (জানুয়ারিতে) সে একটা চোটের কথা বলেছিল। এরপর আর কোনও কিছু কখনও বলেনি। তার চোটের অবস্থা ভালো নয় বা সে লড়তে চায় না, এসব আমরা কিছুই জানি না। সামান্য ইঙ্গিতও দেওয়া হয়নি আমাদের। ইমরানুর না দৌড়ালে জহির (জহির রায়হান) বা অন্যরা তো ছিলই। আমাদের তো অ্যাথলেটের অভাব নেই। ইনজুরড অ্যাথলেটকে কেন আমরা অলিম্পিকে আনব। আমরা এসবের কিছুই জানি না।”