নোয়াখালী জেলা শহরের একটি বাড়ি থেকে বাবা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
তারা হলেন– নোয়াখালী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের উকিল পাড়ার নরেশ চন্দ্র দে (৫০) ও তার মেয়ে তিশা দে (১৯)।
বুধবার রাতে উকিল পাড়ার একটি বাড়ি থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন নোয়াখালী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোর্তাহীন বিল্লাহ।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, নরেশ চন্দ্রের মেয়ে তিশা ফেনীতে এলএলবি পড়ছিলেন। সেখানে এক মুসলিম ছেলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তিশার বাবা-মা বিষয়টি জানার পর মঙ্গলবার তাকে ফেনী থেকে নোয়াখালীর বাসায় নিয়ে আসে।
তিনি জানান, মঙ্গলবার রাতে বাবা নরেশ চন্দ্র মেয়েকে বোঝানোর অনেক চেষ্টা করেন। এরপর বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নিজ কক্ষে নরেশ চন্দ্রের নিথর দেহ পড়ে থাকে দেখেন পরিবারের সদস্যরা। নরেশ নিয়মিত কিডনি ডায়ালাইসিস করতেন। তার ডায়ালাইসিসের ফিস্টুলার স্থান থেকে রক্ত বের হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
নরেশ চন্দ্রকে মৃত অবস্থায় পাওয়ার কিছুক্ষণ পর আলাদা একটি কক্ষে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তিশার ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায় জানিয়ে মোর্তাহীন বিল্লাহ বলেন, মেয়েকে সারারাত বোঝানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ভোররাতের দিকে স্ট্রোক করে নরেশ চন্দ্র দে মারা যান বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আর বাবার মৃত্যুতে নিজেকে অপরাধী ভেবে মেয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, দুটি মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে অধিকতর তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।