একবার নয়, দুবার হ্যাটট্রিকের দ্বারপ্রান্তে ছিলেন ফজলহক ফারুকি। উগান্ডার বিপক্ষে প্রথম ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে পান দুই উইকেট। এরপর ১৩তম ওভারের প্রথম ও দ্বিতীয় বলে আবারও জোড়া উইকেট। তবে হ্যাটট্রিক হয়নি একবারও।
এ নিয়ে ম্যাচ শেষে অবশ্য আফসোস করেননি আফগানিস্তানের এই পেসার, ‘‘আমি ক্যারিয়ারে ৭-৮ বার হ্যাটট্রিক মিস করেছি। এটা এমনি কিছু যা নিজের নিয়ন্ত্রণে নেই।’’
বিশ্বকাপের সেরা বোলিং
বোলার | দেশ | বিশ্বকাপ | বোলিং | বিপক্ষ |
অজন্থা মেন্ডিস | শ্রীলঙ্কা | ২০১২ | ৬/৮ | জিম্বাবুয়ে |
রঙ্গনা হেরাথ | শ্রীলঙ্কা | ২০১৪ | ৫/৩ | নিউজিল্যান্ড |
উমর গুল | পাকিস্তান | ২০০৯ | ৫/৬ | নিউজিল্যান্ড |
ফজলহক ফারুকি | আফগানিস্তান | ২০২৪ | ৫/৯ | উগান্ডা |
স্যাম কারান | ইংল্যান্ড | ২০২২ | ৫/১০ | আফগানিস্তান |
হ্যাটট্রিক না হলেও ৪ ওভারে মাত্র ৯ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন ফারুকি। আফগানিস্তানের এই ফাস্ট বোলার ক্যারিয়ারে প্রথমবার পেলেন ৫ উইকেটের স্বাদ। এটা বিশ্বকাপের চতুর্থ সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড। ২০১২ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার অজন্থা মেন্ডিসের ৮ রানে ৬ উইকেট বিশ্বকাপের সেরা।
রেকর্ড না হলেও নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তুষ্ট ফারুকি, ‘‘আমি উইকেট বরাবর বল করতে চেয়েছি আর দেখতে চেয়েছি কি হয়। শুরু থেকেই সুইং করছিল। যখন ব্যাটারের ব্যাটে বল ঠিকভাবে যাচ্ছিল না তখন স্লোয়ার করেছি। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খেলাটা সাহায্য করেছে আমাকে। বড় খেলোয়াড়দের সঙ্গে বড় ম্যাচ খেললে সাহায্য পাওয়া যায় এ ধরনের টুর্নামেন্টে।’’
১২৫ রানের বড় ব্যবধানে হারাটা অবশ্যই কষ্টের। তারপরও উগান্ডার অধিনায়ক ব্রায়ান মাসাবা ম্যাচ শেষে বললেন, ‘‘বিশ্বকাপে আমাদের জাতীয় সঙ্গীত শোনা আর জাতীয় পতাকা দেখাটা গর্ব করার মতো। ওরা ভালো শুরু করলেও বল হাতে আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম। তবে ভালো খেলার কৃতিত্বটা আফগানদের। ওদের পেসার আর স্পিনাররা অসাধারণ। আমরা চেষ্টা করব পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়াতে।’’