বার্সেলোনার একাডেমি লা মাসিয়ায় তার বেড়ে ওঠা। তবে মূল দলে খেলার সুযোগ হয়নি। একাডেমি থেকেই পাড়ি দিয়েছিলেন ক্রোয়েশিয়ার ক্লাব দিনামো জাগরেবে। পরে ঠিকানা গড়েন জার্মান ক্লাব আরবি লাইপজিগে। এই পথচলার মধ্যে কয়েক দফা তার বার্সেলোনায় ফেরার গুঞ্জন উঠেছিল। এবার সত্যিই কাতালান ক্লাবটিতে ফিরলেন দানি ওলমো।
এবারের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে নজরকাড়া পারফরম্যান্সে আলোচনায় চলে আসেন ওলমো। মোহিত ফুটবলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন স্পেনের ইউরো জয়ের পথে। বার্সেলোনা চলমান গ্রীষ্মের দলবদলে উঠেপড়ে লাগে পুরনো ‘ছাত্র’কে ঘরে ফেরানোর। অবশেষে কাতালান ক্লাবটি সফল হয়েছে। ৬০ মিলিয়ন ইউরোতে লাইপজিগ থেকে বার্সেলোনায় ফিরেছেন ওলমো।
এস্পানিওলের একাডেমি দিয়ে ফুটবল-দীক্ষা শুরু এই উইঙ্গারের। এক বছর কাতালুনিয়ার ক্লাবে শিক্ষা নিয়ে ২০০৭ সালে যোগ দেন বার্সেলোনার একাডেমিতে। লা মাসিয়ায় তার ফুটবলার হয়ে বেড়ে ওঠার কাজ চলতে থাকে। ৭ বছর ছিলেন লা মাসিয়ায়। বার্সেলোনার মূল দলে যাওয়ার আগেই দিনামো জাগরেবের নজর পড়েন তিনি। ২০১৪ সালে দলটির ‘বি’ দল দিয়ে অন্য যাত্রা শুরু ওলমোর। ওই বছরই জাগরেবের মূল দলে অভিষেক তার।
ছয় বছর ক্রোয়েট ক্লাবে কাটানোর পর ২০২০ সালে যোগ দেন লাইপজিগে। সেখান থেকেই ছয় বছরের চুক্তিতে বার্সেলোনায় যোগ দিলেন ওলমো। ২০৩০ সাল পর্যন্ত হওয়া চুক্তিতে এই উইঙ্গারের বাইআউট ক্লজ ধরা হয়েছে ৫০০ মিলিয়ন ইউরো।
শুধু বার্সেলোনা নয়, ওলমোও চাইতেন শৈশবের ক্লাবে ফিরতে। সেটি সত্যি হওয়ায় ভীষণ খুশি এই স্প্যানিয়ার্ড। বার্সেলোনা তার কাছে ‘বাড়ি’র মতো।
স্পেনের ইউরো সাফল্যে অগ্রগামী ভূমিকা ছিল নিকো উইলিয়ামসের। এই ফরোয়ার্ডের দিকেও নজর দিয়েছে বার্সেলোনা। ওলমোকে ঘরে ফেরানোর পর নিশ্চিতভাবেই উইলিয়ামসকে আনার চেষ্টায় থাকবে কাতালানরা।
ক্লাবটির ওয়েবসাইটে ওলমো বলেছেন, “বাড়ি ফিরতে পেরে আমি ভীষণ খুশি। এফসি বার্সেলোনার সাফল্যে অবদান রাখতে চাই।”