স্কোয়াশে আন্তর্জাতিক পদক নেই দীর্ঘদিন। সর্বশেষ এসএ গেমসে পদক এসেছিল ২০১৬ সালে। এরপর ২০১৯ সালে কাঠমান্ডুতে ব্রোঞ্জ পদক হারাতে হয়েছে।
মাঝে এই ফেডারেশনে নেমে আসে স্থবিরতা। ৩ বছর ধরে বর্তমান কমিটি সেটা কাটানোর চেষ্টা করছে। ২০২৮ অলিম্পিক গেমস সামনে রেখে এগিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা তাদের।
রবিবার ঢাকা ক্লাবে বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ) ও স্কোয়াশ ফেডারেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছে বিশেষ কর্মশালা। সেখানে প্রশ্ন-উত্তর পর্বে এমন আশার কথা শুনিয়েছেন তারা।
সাধারণত অভিজাত ক্লাবগুলোতে স্কোয়াশ চর্চা বেশি হয়ে থাকে। সেখানে কোর্ট থাকায় খেলাটা নিয়মিত। এর বাইরে বিভিন্ন জায়গায় কোর্ট থাকলেও খেলা নানা কারণে অনিয়মিত। তবে বর্তমান কমিটি দায়িত্ব নিয়ে জাতীয় আসর সহ একাডেমির মাধ্যমে নতুন খেলোয়াড় তুলে আনছে। যেসব জায়গায় কোর্ট আছে সেখানে খেলাটাকে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন তারা।
স্কোয়াশ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) কামরুল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘স্কোয়াশ একসময় নিয়মিত হলেও অনেক দিন ধরে স্থবিরতা চলছিল। আমরা এসে নতুন রূপে সাজানোর চেষ্টা করছি। নানান প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছি। যেন খেলাটা সারা বছর ঘুরে ফিরে হয়। যেসব জায়গায় কোর্ট আছে। কিন্তু জীর্ণ দশা। সেখানে সংস্কার করার চেষ্টা করছি। এছাড়া ব্যক্তিগত একাডেমিতে সারাবছর চর্চা হয়ে থাকে।’
আপাতত স্কোয়াশের ঘরোয়া প্রোগ্রামের দিকে দৃষ্টি। তাই এখনই নতুন করে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় যাওয়ার লক্ষ্য নেই। তাদের স্বপ্ন বড়-২০২৮ অলিম্পিক। কামরুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা আস্তে আস্তে এগিয়ে যেতে চাই। নতুন করে খেলোয়াড় তৈরি করছি। তাদেরকে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় খেলানোর জন্য সেভাবে তৈরি করা হচ্ছে। যেন দেশের বাইরে গিয়ে সাফল্য আনতে পারে। আমাদের লক্ষ্য ২০২৮ অলিম্পিক। যদিও বড় স্বপ্ন দেখছি। তবে হাতে সময় আছে। ঠিকমতো কাজ করতে পারলে তখন অলিম্পিকে খেলতে পারবো আমরা।’
স্কোয়াশের নিজস্ব ভেন্যু নেই। মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে এক রুমই ভরসা। তবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মাধ্যমে বনানীর ২২ নম্বরে ১২ দশমিক ৬ কাঠা বরাদ্দ পেলেও তার দখল বুঝে পায়নি। সেখানে স্কোয়াশ কমপ্লেক্স হওয়ার কথা। অথচ ২০২০ সালে এর প্রজেক্টও জমা দেওয়া হয়েছে। সেখানে সুউচ্চ ভবনে একাধিক কোর্টসহ খেলোয়াড়দের হোস্টেল থাকবে। কামরুল ইসলাম আক্ষেপ করে বলেছেন, ‘আমাদের জন্য জায়গা বরাদ্দ হয়েছে ঠিকই। তবে এখনও তা বুঝে পাইনি। ওটা দখল করে আছে অন্যরা। এরই মধ্যে আমরা সেখানে কী করবো তার প্রজেক্টও জমা দিয়েছি। এখন সেখানে কমপ্লেক্স হলে স্কোয়াশের জন্য চিন্তা করতে হবে না।’
কর্মশালায় বিএসপিএ উপস্থিত ছিলেন বিএসপিএর সভাপতি রেজওয়ান উজ্জামান রাজীব ও স্কোয়াশ ফেডারেশনের কর্মকর্তারা।