বাংলাদেশের নারী ভলিবল দলের অন্যতম পথিকৃত হোসনে আরা খান নেই। সোমবার রাজধানীর এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
সত্তর-আশির দশকে বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় খেলা ছিল ভলিবল। কালের বিবর্তনে ভলিবলের সেই জৌলুস আর নেই। অন্য সব খেলার মতো ভলিবলেও নারীদের বেশ লড়াই করে, সবার চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে খেলতে আসতে হতো। সেই দলেই ছিলেন হোসনে আরা।
তিনি একই সঙ্গে কাবাডি, হ্যান্ডবল ও ভলিবল খেলেছেন। খেলোয়াড়ী জীবনের চেয়ে তিনি কোচিং এবং সংগঠক হিসেবে ছিলেন অনন্য পর্যায়ের। বাংলাদেশ মহিলা ভলিবল দলের প্রথম কোচ ছিলেন হোসনে আরা খান। খুলনা জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদিকা ছিলেন দীর্ঘদিন। মৃত্যুকালেও তিনি সহ-সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। খুলনা অঞ্চলে নারীদের খেলাধূলার আসার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা ছিল তার।
বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে তার বিশেষ এক জায়গা রয়েছে। তার তিন মেয়ে হেলেনা খান, ইভা ও নিভা তিনজনই জাতীয় ভলিবল দলে খেলেন। তিন বোন একই খেলায় জাতীয় দলে খেলার কৃত্তিত্ব অন্য কোনো খেলাতেও নেই বাংলাদেশে। হোসনে আরা খানের স্বামী আয়াজ খানও ছিলেন ভলিবল খেলোয়াড়। স্বামীর আগ্রহেই মূলত কাবাডি থেকে তিনি ভলিবলে আসেন। পরবর্তীতে ভলিবলে কোচ ও সংগঠক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। ক্রীড়াঙ্গনে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি পেয়েছিলেন জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার।
হোসনে আরার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে বাংলাদেশ ভলিবল ফেডারেশন।