ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেওয়ার পর ২৪১ ম্যাচে ৪৫টি হলুদ কার্ড দেখেছিলেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ। লাল কার্ড দেখলেন রবিবারই প্রথম। টটেনহামের বিপক্ষে সেই লাল কার্ডটা দেখেছেন পা পিছলে জেমস মেডিসনের উপর পড়ায়!
এ নিয়ে রেফারিকে একহাত নিয়েছেন স্কাই স্পোর্টসের ধারাভাষ্যে থাকা জেমি রেডন্যাপ, অ্যাশলি ইয়ং ও ড্যারেন বেন্ট। অধিনায়ক ফার্নান্দেজকে ছাড়া ওল্ড ট্রাফোর্ডে ৪ বছর পর টটেনহামের কাছে ৩-০ গোলে হারল ম্যানইউ।
৪২ মিনিটে ফার্নান্দেজের লাল কার্ডের সময় রেডন্যাপ বলছিলেন, ‘‘ও পা পিছলে পড়ে গিয়েছিল। এটা সর্বোচ্চ হলুদ কার্ড হতে পারে।’’ তাতে সায় দিয়ে অ্যাশলি ইয়ং বলছিলেন, ‘‘আমারও মনে হয় না, এটা জঘন্য কোনো ফাউল ছিল। ও নিয়ন্ত্রন হারিয়েছিল পা পিছলে যাওয়ায়। ‘’ অপর ভাষ্যকার ড্যারেন বেন্ট একহাত নেন রেফারিকে, ‘‘এই লাল কার্ডটা বাজে সিদ্ধান্ত। খুবই বাজে।’’
ম্যাচ শেষে ফার্নান্দেজও মানছিলেন না লাল কার্ডটা, ‘‘আমি তো ম্যাডিসনের উপরই পড়েছি। সে পর্যন্ত বলেছে এটা লাল কার্ড ছিল না। বুঝতে পারছি না, ভিএআর কেন ভূমিকা রাখল না।’’
৬ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে ম্যানইউ এখন প্রিমিয়ার লিগের ১২ নম্বরে। তাই আবারও চাকরি নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে কোচ এরিক টেন হাগের। তবে ম্যাচ শেষে নির্ভার ছিলেন তিনি, ‘‘আমরা ১০০ শতাংশ দিতে পারিনি। শুরুতেই গোল হজম করেছি যা আশা করিনি। পরের ম্যাচে আরও ভালো করতে হবে। বরখাস্ত হওয়া নিয়ে ভাবছি না। মোটেও না। আমরা সবই একতাবদ্ধ থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’
তৃতীয় মিনিটে ব্রেনান জনসন এগিয়ে দিয়েছিলেন টটেনহামকে। ৪২ মিনিটে ম্যানইউ ১০ জনের দলে পরিণত হওয়ার পর ৪৭ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দেইয়ান কুলুসেভস্কি। ৭৭ মিনিটে তৃতীয় গোলটি করেন ডমিনিক সোলাঙ্কি।
সর্বশেষ ২০২০ সালের অক্টোবরে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচেই ওল্ড ট্রাফোর্ডে জিতেছিল টটেনহাম। সেবার ইউনাইটেডকে ৬–১ গোলে বিধ্বস্ত করেছিলেন হ্যারি কেইন–সন হিয়ুং মিনরা।