Beta
শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Beta
শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

উদ্ধার করে তীরে ভেড়ানো হলো ফেরি রজনীগন্ধা

বুধবার রাতে উদ্ধারের পর ফেরি রজনীগন্ধাকে টেনে নদীর তীরে নেওয়া হয়। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
বুধবার রাতে উদ্ধারের পর ফেরি রজনীগন্ধাকে টেনে নদীর তীরে নেওয়া হয়। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
Picture of আঞ্চলিক প্রতিবেদক, মাদারীপুর

আঞ্চলিক প্রতিবেদক, মাদারীপুর

আট দিনের চেষ্টায় নদীর নিচ থেকে টেনে তোলা হয়েছে ফেরি রজনীগন্ধাকে। বুধবার রাতে ফেরিটি টেনে তুলে সোজা করার পর নদীর তীরে নেওয়া হয়। ফেরির সঙ্গে ডুবে যাওয়া আরও দুটি ট্রাকও বুধবার উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে ডুবে যাওয়া ছোট-বড় নয়টি ট্রাকের সবগুলোই উদ্ধার হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসি’র আরিচা অঞ্চলের উপ-মহাব্যবস্থাপক শাহ খালেদ নেওয়াজ সকাল সন্ধ্যাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, উদ্ধারকারী জাহাজ ‘প্রত্যয়’ বুধবার দিনব্যাপী অভিযান চালায়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফেরিটিকে পুরোপুরি টেনে তোলার পর সোজা করে পাটুরিয়া ঘাটে ভেড়ানো হয়। এর আগে উদ্ধারকারী জাহাজ ‘রুস্তম’ ও ‘হামজা’ দিয়ে ডুবে থাকা ট্রাকগুলো উদ্ধার করা হয়।

এর আগে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়ের সাহায্যে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফেরিটি আংশিক ভাসিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন উদ্ধারকারীরা।

উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়া নৌ-বাহিনীর ডুবুরি দলের প্রধান লেফটেন্যান্ট শাহ পরান ইমন জানান, “নৌ-বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএর ডুবুরি দলের সদস্যরা যৌথভাবে কাজ করে প্রায় ৫০ ফুট পানির নিচে তলিয়ে থাকা ফেরিটি উঠিয়ে ভাসমান অবস্থায় ইয়ার লিফটিং ব্যাগ এবং ওয়্যার রোপ (শক্তিশালী তামার তার) দিয়ে ধরে রাখা হয়। পরে রাত সাড়ে ১০টায় ফেরিটি সোজা করে প্রত্যয়ের (উদ্ধারকারী জাহাজ) মাধ্যমে টেনে পদ্মা নদীর পাটুরিয়া ঘাটে ভেড়ানো হয়। এখন নদীর তীরের সেখানেই ফেরিটি নোঙর করে রাখা হবে।”

তিনি বলেন, “ফেরিটি উদ্ধার করে নদীর তীরে আনার মধ্য দিয়ে উদ্ধার অভিযান পুরোপুরি শেষ হয়েছে।”

গত ১৭ জানুয়ারি রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাট থেকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে আসার পথে পদ্মা নদীতে ডুবে যায় ফেরি রজনীগন্ধা। ঘন কুয়াশার কারণে এটি তখন নদীতে নোঙর করে ছিল। ফেরির সঙ্গে ছোট-বড় নয়টি ট্রাকও ডুবে যায়, যার সবগুলোই উদ্ধার করা হয়েছে।

ফেরিডুবির পর এতে থাকা ট্রাকের চালক, সহকারী ও ফেরির স্টাফসহ ২১ জনের মধ্যে ২০ জনকে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা জীবিত উদ্ধার করে।

তবে নিখোঁজ থাকেন ফেরির সহকারী ইঞ্জিন চালক হুমায়ুন কবির। ফেরিডুবির ছয়দিন পর পাটুরিয়া ফেরিঘাট থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার ভাটিতে হরিরামপুর উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকায় পদ্মায় ভাসমান অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত