বাংলাদেশের পাসপোর্ট হাতে পেয়েছেন হামজা চৌধুরী। ইংল্যান্ডের ফু্টবল নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনও (এফএ) বাংলাদেশের হয়ে খেলার ছাড়পত্র দিয়েছে তাকে। এখন অপেক্ষা শুধু ফিফা প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির অনুমতির। এখান থেকে অনুমোদন মিললেই বাংলাদেশের জার্সিতে খেলতে আর বাধা থাকবে না হামজার।
এই কমিটি থেকে আনুষ্ঠানিক চিঠি এখনও বাফুফের কাছে পৌঁছায়নি। তবে ফিফা থেকে ইতিবাচক সংকেত পাওয়া গেল। ফুটবেলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা এরইমধ্যে হামজাকে ‘বাংলাদেশের খেলোয়াড়’ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে।
ফিফার ফেরিভায়েড ফেসবুক পেজ ‘ফিফা বিশ্বকাপ’ থেকে দেওয়া হয়েছে একটি পোস্ট। সেখানে বাংলাদেশের খেলোয়াড় হিসেবে স্বাগত জানানো হয়েছে হামজাকে। লিস্টার সিটির জার্সি গায়ে হামজার ছবি পোস্ট করে ক্যাপশন লেখা হয়েছে বাংলায়, “নতুন বাংলাদেশে আগামীর গর্ব হামজা।”
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা একমাত্র ব্রিটিশ-বাংলাদেশি ফুটবলার হামজা। তার বর্তমান ক্লাব লিস্টার সিটি। ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত ক্লাবটির সঙ্গে তার চুক্তি রয়েছে। এর আগে ধারে খেলেছিলেন ওয়াটফোর্ডে। ইংল্যান্ডে জন্ম হলেও তার মা বাংলাদেশি। পরিবার ও নিজের ইচ্ছায় বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে খেলতে চান তিনি।
২০২২ সালের অক্টোবরে স্কাই স্পোর্টসে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লাল-সবুজের জার্সিতে খেলার আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন রক্ষণাত্মক মিডফিল্ডার হিসেবে খেলা হামজা। সেটি বাস্তবায়ন হতে বেশ কয়েক বছর লেগে গেল।
ট্রান্সফার মার্কেট অনুযায়ী, বর্তমানে হামজার বাজার মূল্য রয়েছে ৪ দশমিক ৫০ মিলিয়ন ইউরো। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটি ৫৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকার ওপরে। লিস্টারের হয়ে এখন পর্যন্ত দুটি শিরোপা জিতেছেন হামজা।
হামজা চৌধুরীর বাংলাদেশে খেলার ব্যাপারে বড় এক ধাপ অগ্রগতি হয় এফএ’র অনুমোদনে। এফএ’র কাছে হামজার জন্য অনাপত্তিপত্র চেয়েছিল বাফুফে। সপ্তাহ তিনেক অপেক্ষার পর সেই অনাপত্তিপত্র মেলে। বাফুফে এখন হামজাকে বাংলাদেশে খেলানোর জন্য ফিফার প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির কাছে আবেদন করেছে।
পাসপোর্ট ও এএফ’র অনাপত্তিপত্র চিঠিসহ আরও কিছু কাগজপত্র নিয়ে এই আবেদন করা হয়েছে। ফিফা প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটি সবুজ সংকেত দিলেই হামজা বাংলাদেশের হয়ে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবেন।