Beta
শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
Beta
শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

রাজবেরি অ্যাওয়ার্ডস: চলচ্চিত্রের সব বাজে ব্যাপার নিয়ে যে পুরস্কার!

razzyaward-lead-picture
[publishpress_authors_box]

নোবেলকে ব্যঙ্গ করে যেমন ‘ইগ নোবেল’ পুরস্কার দেওয়া হয়, তেমনি অস্কারকে তাচ্ছিল্য করে চলচ্চিত্রে ‘গোল্ডেন রাজবেরি অ্যাওয়ার্ডস’ দেওয়া হয়। একটি বিশাল পার্থক্য অবশ্য রয়েছে, ‘ইগ নোবেল’ সম্মাননা মূলত আজব, মজাদার তবে সত্যিকার অর্থেই উদ্ভাবনী আবিষ্কারের জন্য দেয়া হয়। তাই ব্যঙ্গাত্মক হলেও এটি আবিষ্কারকদের কাছে গ্রহণযোগ্য এবং স্বীকৃতি হিসেবে সম্মানজনক। অন্যদিকে রাজবেরি, যেটি ‘র‌্যাজি অ্যাওয়ার্ডস‘ নামেই বেশি পরিচিত- তারা কেবল চলচ্চিত্র জগতের খারাপ দিকগুলোকেই সামনে নিয়ে আসে।

এতে দর্শকরা মজা পেলেও, চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের খোশ-দিল থাকার তেমন কোনও কারণ নেই। অবশ্য, নিজের জীবন থেকে মূল্যবান সময় বের করে গাঁটের পয়সা খরচ করে টিকেট কেটে বিনোদন নিতে গিয়ে যদি দেখা যায় সিনেমাটি ট্র্যাশ, তখন দর্শকের ক্ষোভ তো হতেই পারে!  

যেভাবে চালু হলো

১৯৮১ সালে মার্কিন পাবলিসিস্ট, সাংবাদিক এবং চলচ্চিত্র সমালোচক জন জে. বি. উইলসন ‘র‌্যাজি অ্যাওয়ার্ডস’ চালু করেন। তার আগের বছর দুইটি সিনেমা উইলসনের মনের খুবই বাজেভাবে চাপ তৈরি করেছিল। এই ব্যাঙ্গাত্মক পুরস্কার চালুর পেছনে সেই দুইটি সিনেমা- ‘জ্যানাডু’ এবং ‘ক্যান্ট স্টপ মিউজিক’ এর ভূমিকা একেবারেই এড়ানো অসম্ভব।

উইলসন তার স্মৃতিচারণে বলেছেন, ‘জ্যানাডু’ দেখার পর অনুভব করেছিলেন এটি অদ্ভুত, হতাশাজনক, এবং দর্শকদের জন্য খুবই দুর্বোধ্য ছিল। এরপর ‘ক্যান্ট স্টপ দ্য মিউজিক’ ছিল আরও একটি একই ধরনের সিনেমা। এই দুটি সিনেমাই বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছিল। অথচ দর্শকবিমুখতা থাকলেও সিনেমা দুইটি কিছু পুরস্কার জিতেছিল। যে বিষয়টি উইলসনকে ‘র‌্যাজবেরি অ্যাওয়ার্ডস’ চালু করার ব্যাপারে মরীয়া করে তোলে।

প্রথমবারের অনুষ্ঠান

‘র‌্যাজি অ্যাওয়ার্ডস’ প্রচলনের জন্য আলোচিত ‘জ্যানাডু’ সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন অলিভিয়া নিউটন-জন, জিন কেলি এবং মাইকেল বেক। রোলার স্কেট এবং ডিস্কো কেন্দ্রিক এই সিনেমাটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল ২ কোটি ডলার। দর্শক বিমুখতায় আয় হয়েছিল মোটে ২ কোটি ৩০ লাখ ডলার। বিশাল বিনিয়োগের বিপরীতে অতি সামান্য আয়। সিনেমাটির গল্প অসংলগ্ন ছিল এবং অভিনয়ও ছিল দুর্বল। যদিও এই সিনেমার সাউন্ডট্র্যাকে ‘ম্যাজিক’ গানটি যথেষ্ট জনপ্রিয়তা পায় এবং যুক্তরাষ্ট্রে দুইবার প্লাটিনাম ডিস্ক পুরস্কারের সম্মাননাও পায়।

অন্যদিকে, ‘ক্যান্ট স্টপ দ্য মিউজিক’ সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন ভ্যালেরি পেরিন এবং কেটলিন জেনার। গানের দল গঠনকে কেন্দ্র করে এর গল্প। ২ কোটি ডলার খরচের বিপরীতে বক্স অফিসে এটি আয় করেছিল মাত্র ২০ লাখ ডলার। ১৯৮১ সালে প্রথম র‌্যাজি অ্যাওয়ার্ডসে ‘ক্যান্ট স্টপ দ্য মিউজিক’ সবচেয়ে বাজে সিনেমার অ্যাওয়ার্ডটি জিতে (!) নেয়।

‘জ্যানাডু’র নায়িকা অলিভিয়া নিউটন-জনও সবচেয়ে বাজে অভিনেত্রীর তালিকায় মনোনয়ন পেলেও, ওই বছর খেতাবটি দুর্ভাগ্যক্রমে (!) ‘দ্য ব্লু লাগুন’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য ব্রুক শিল্ডস এর কপালে জোটে। কৈশোরের যৌনতা শেখার সময়টিকে ব্লু লেগুনে খুব একঘেঁয়ে ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল।

সিনেমার কাহিনী, থিম এবং ব্রুক শিল্ডসের অভিনয়ের ধরন নিয়েও খুব সমালোচনা হয়েছিল। অভিনয়ে জীবন ছিল না তার। সেই সময়ে মাত্র ১৪ বছর বয়সী ব্রুক শিল্ডসকে সবচেয়ে বাজে অভিনেত্রীর পুরস্কার দিয়ে অবশ্য ‘র‌্যাজি অ্যাওয়ার্ডস’ শুরুতেই খুব সমালোচনার মুখে পড়েছিল। কেননা ব্রুক শিল্ডস যে তখনও সংজ্ঞানুযায়ী শিশু!

১৯৮১ সালে বাজে অভিনেতার পুরস্কারটি জিতেছিলেন নিল ডায়মন্ড। ‘দ্য জ্যাজ সিঙ্গার’ সিনেমায় তার অভিনয়ের জন্য এই ‘সম্মান’ অর্জন করেন। এই সিনেমাটি একটি সংগীত-নির্ভর গল্প কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল।

পুরস্কারের প্রবক্তা মার্কিন পাবলিসিস্ট, সাংবাদিক এবং চলচ্চিত্র সমালোচক জন জে. বি. উইলসন।

পুরস্কারের বিভাগ ও প্রক্রিয়া

‘র‌্যাজি অ্যাওয়ার্ড’ বিভিন্ন বিভাগে সিনেমার নিম্নমানের কাজকে ‘সম্মানিত’ করে, যেমন- সবচেয়ে বাজে সিনেমা, অভিনেতা, অভিনেত্রী, পার্শ্ব অভিনেতা, পার্শ্ব অভিনেত্রী, পরিচালক, চিত্রনাট্য, রিমেক-কপি বা সিক্যুয়েল, পর্দা জুটি ইত্যাদি বিভাগ।

কখনো কখনো বিশেষ বিভাগও যুক্ত করা হয়, যেমন সবচেয়ে বাজে মিউজিক্যাল স্কোর বা সবচেয়ে বাজে হরর ফিল্ম। মনোনয়ন নির্বাচন করেন গোল্ডেন র‌্যাজবেরি ফাউন্ডেশনের সদস্যরা। এই সদস্যপদ সারা বিশ্বের সিনেমাপ্রেমীদের জন্য একটি ছোট ফি-এর মাধ্যমে উন্মুক্ত। সদস্যরা ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়ে মনোনয়ন ও বিজয়ীদের নির্বাচন করেন। সমালোচকদের নেতিবাচক মতামত পাওয়া সিনেমা এবং অভিনয়কে সাধারণত মনোনয়নের জন্য বাছাই করা হয়। বর্তমানে খারাপ সিনেমার নির্বাচনে বিচারক হতে চাইলে ফি ৪০ ডলার ফি দিয়ে সদস্য হতে হবে।

র‌্যাজি অস্কারের মতো বিশাল বাজেটের নয়। এর বড় কোনও স্পন্সর নেই। এটি মূলত সদস্যপদ ফি, পণ্য বিক্রির আয় এবং সীমিত ব্যক্তিগত অর্থায়নের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। কখনো কখনো ছোট স্থানীয় প্রতিষ্ঠান বা মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের সহায়তায় এটি আয়োজন করা হয়।

অভিনেতা, অভিনেত্রী ও পরিচালকদের অংশগ্রহণ

এই সম্মাননা অনুষ্ঠানটি সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস-এ ছোট এবং অনানুষ্ঠানিক স্থান যেমন থিয়েটার, ব্যাঙ্কুয়েট হল, বা কমেডি ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়। এই পুরস্কার অনুষ্ঠান অস্কারের আগের রাতে আয়োজন করা হয়।

যদিও র‌্যাজি মজার এবং হালকা ধাঁচের, অনেক অভিনেতা এবং পরিচালক এই অনুষ্ঠান এড়িয়ে যান। তবে, কিছু স্মরণীয় মুহূর্ত রয়েছে। যেমন- হ্যালি বেরি ২০০৫ সালে ক্যাটউম্যান চলচ্চিত্রের জন্য সেরা বাজে অভিনেত্রী হিসেবে পুরস্কার গ্রহণ করতে এসে নিজের অস্কার বক্তৃতা হাস্যরসাত্মক ভাবে এই অ্যাওয়ার্ডে পারফর্ম করেছিলেন।

পুরস্কার নিতে এসে অস্কারে তার নিজেরই দেওয়া বক্তব্যের ব্যাঙ্গাত্মক বক্তব্য দিচ্ছেন হ্যালি বেরি।

স্যান্ড্রা বুলক ২০১০ সালে অল ‘অ্যাবাউট স্টিভ’ চলচ্চিত্রের জন্য র‌্যাজি গ্রহণ করেন এবং দর্শকদের মাঝে সিনেমার ডিভিডি বিতরণ করেন।

টম গ্রিন ২০০২ সালে ‘ফ্রেডি গট ফিঙ্গারড’ সিনেমার জন্য পুরস্কার গ্রহণ করতে নিজস্ব রেড কার্পেট নিয়ে আসেন।তবে বেশিরভাগ বিজয়ী এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন না। কারণ এটি নেতিবাচক প্রচারণা হিসেবে দেখা হয়।

সবচেয়ে বেশি পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা, অভিনেত্রী ও পরিচালক

অভিনেতাদের মধ্যে সিলভেস্টার স্ট্যালোন ১০ বার বাজে অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন, বিশেষত ৮০ এবং ৯০-এর দশকে তার সিনেমাগুলোর জন্য। অভিনেতা অ্যাডাম স্যান্ডলারও ‘জ্যাক অ্যান্ড জিল’ এর মতো সিনেমার জন্য বহুবার পুরস্কার জিতেছেন।

অভিনেত্রীদের মধ্যে গায়িকা থেকে নায়িকা হওয়া ম্যাডোনা সর্বাধিক সেরা বাজে অভিনেত্রী হিসেবে ৫টি শিরোপা ঘরে তুলেছেন। ‘শাংহাই সারপ্রাইজ’ এবং ‘সুইপ্ট অ্যাওয়ে’ সিনেমা দুইটিতে অভিনয় করার জন্যও তিনি সেরা বাজে অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন বৈকি!

‘ট্রান্সফর্মার’খ্যাত পরিচালক মাইকেল বে ‘র‌্যাজি অ্যাওয়ার্ডস’ বেশ কয়েকবার। র‌্যাম্পেজ সিনেমার পরিচালক উয়ে বোলের ভাগ্যেও অনেকবারই এই পুরস্কার জুটেছে।

মজার ব্যাপার হলো ২০১১ সালে ‘জ্যাক অ্যান্ড জিল’ সিনেমাটি র‌্যাজির সব কয়টি পুরস্কারই জিতে ইতিহাসের এক অদ্ভুত অবস্থান তৈরি করে। ২০২০ সালে র‌্যাজি ‘রিডিমার অ্যাওয়ার্ড’ চালু করে, যা অতীতের বাজে কাজ থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য অভিনেতা-অভিনেত্রীদের দেওয়া হয়।

২০২৫ সালে কোন সিনেমা ও কার ভাগ্যে জুটবে

অস্কারের সাধারণত আগের রাতে র‌্যাজি অ্যাওয়ার্ডস দেয়া হয়। সেই হিসেবে সামনের বছর মার্চের শেষ সপ্তাহে এটি দেয়া হবে। ২০২৪ সাল শেষ না হলেও বাজে সিনেমা এবং অভিনেত্রীদের বেশ কিছু নাম ইতিমধ্যে ‘র‌্যাজি সম্মাননা’র জন্য আলোচনায় এসেছে। 

বাজে সিনেমার তালিকায় অ্যাকোয়াম্যান অ্যান্ড দ্য লস্ট কিংডম, দ্য ফ্ল্যাশ এবং মার্ভেলস এর মতো বড় বাজেটের সিনেমা রয়েছে। অ্যাকোয়াম্যান এর পরিচালক জেমস ওয়ান এবং দ্য ফ্ল্যাশ এর পরিচালক অ্যান্ডি মুসচেতি বিশেষভাবে আলোচিত হচ্ছেন।

‘দ্য মার্ভেলস’ এ অভিনয়ের জন্য ব্রাই লার্সন এবং ‘অ্যাকোয়াম্যান টু’-তে অ্যাম্বার হেয়ার্ডের বাজে পারফর্মেন্স তাদেরকে পুরস্কারের তালিকায় উপরে রেখেছে। ‘দ্য ফ্ল্যাশ’ এর অভিনেতা ইজরা মিলারও ঝুঁকিমুক্ত নন। তার পারফরম্যান্সও সম্ভাব্য মনোনয়নের জন্য আলোচিত।

মজার ব্যাপার হলো, কখনো কখনো দেড়-দুই বছর আগে মুক্তি পাওয়া সিনেমাও র‌্যাজি অ্যাওয়ার্ডস এর জন্য বিবেচনায় আনা হয়। অর্থাৎ ২০২৩ সালে মুক্তি পাওয়া সিনেমা যদি ২০২৪ সালের শেষে কোনো কারণে আরও বেশি সমালোচিত হয়, তবে তারা ২০২৫ সালের র‌্যাজি তালিকায় স্থান পেতে পারে। যেমন অ্যাকোয়াম্যানের পরের পর্বটি ২০২৩ সালের শেষ দিকে মুক্তি পেলেও সামনের অ্যাওয়ার্ডসে এটি বিচারাধীন রয়েছে। সিনেমাটি এর বাজে অভিনয় এবং সিজিআই ইফেক্টসের কারণে দারুণ সমালোচনার শিকার হয়।

২০২৫ সালে মেগান ফক্সের আবারও খারাপ অভিনেত্রীর তালিকায় শীর্ষে থাকার শঙ্কা রয়েছে। তিনি ২০২৪ সালে ‘জনি অ্যান্ড ক্লাইড’ এবং ‘এক্সপেন্ডেবলস ফোর’ সিনেমার জন্য একই পুরস্কার পান। এছাড়া, সিলভেস্টার স্ট্যালোন এবং গুইনেথ প্যালট্রোও সম্ভাব্য বাজে অভিনেতার তালিকায় রয়েছেন।

২০২৪ সালে মুক্তি পাওয়া হলিউডের বিখ্যাত ডিরেক্টর ফ্র্যান্সিস ফোর্ড ক্যাপোলোর বিগ বাজেটের ফিল্ম মেট্রোপলিস নিয়েও খুব সমালোচনা হচ্ছে। ১২ কোটি ডলার ব্যয়ে তৈরি সিনেমাটির আয় হয়েছে মাত্র সাড়ে ১১ কোটি ডলার। অথচ মুনাফা করতে হলে সায়েন্স ফিকশন এই সিনেমাকে আয় করতে হতো কমপক্ষে ৩০ কোটি ডলার।

তবে ‘ম্যাডাম ওয়েব’ সিনেমাটিকে কেউ হার মানাতে পারবে বলে মনে হয় না। মুভি রিভিউয়ারদের সাইট রটেন টমেটোজ-এ সিনেমাটি মাত্র ১২ শতাংশ স্কোর নিয়ে করুন অবস্থানে রয়েছে। ম্যাডাম ওয়েব (২০২৪) সনি পিকচার্স প্রযোজিত একটি সুপারহিরো চলচ্চিত্র, যা স্পাইডার-ম্যান ইউনিভার্সকে প্রসারিত করার একটি চেষ্টা ছিল। এটি মার্ভেলের চরিত্র ক্যাসান্দ্রা ‘ক্যাসি’ ওয়েবকে কেন্দ্র করে, যিনি একটি দুর্ঘটনার পর মানসিক ক্ষমতা অর্জন করেন। এই ক্ষমতা তাকে ভবিষ্যতের ঘটনা পূর্বাভাস দিতে সাহায্য করে এবং তাকে স্পাইডার-ভার্সের ইতিহাসের সঙ্গে যুক্ত করে।

২০২৪ সালে সবচেয়ে বাজে সিনেমার অ্যাওয়ার্ড জিতেছিল ‘উইনি-দ্য-পুহ: ব্লাড অ্যান্ড হানি’। এটি রটেন টমেটোজে স্কোর তুলতে পেরেছিল মাত্র ৩ শতাংশ।

সমালোচনা

যদিও র‌্যাজি মজা করে উদযাপন করা হয় তবু এটি নিয়ে রয়েছে সমালোচনা। তার মধ্যে রয়েছে, কম বাজেটের সিনেমার প্রতি তীর্যক হওয়া, অ্যাডাম স্যান্ডলার বা সিলভেস্টার স্ট্যালোনের মতো কিছু অভিনেতাকে টার্গেট করে পচানো, নারী এবং সংখ্যালঘুদের প্রতি বেশি কঠোর হওয়া এবং অভিনেতা-অভিনেত্রী-পরিচালকদের উপহাসের পাত্রে পরিণত করে ক্যারিয়ার ক্ষতিগ্রস্তের সম্ভাবনা তৈরি করা।

যদিও হলিউডের ব্যর্থতাগুলো নিয়ে মজা করার জন্য, ‘র‌্যাজি অ্যাওয়ার্ডস’ মূল চলচ্চিত্র শিল্পে ততটা গ্রহণযোগ্য নয়। বেশিরভাগ একে মজা হিসেবেই দেখেন। এমন অনেক সুপারস্টার অভিনেতা-অভিনেত্রী রয়েছেন যারা অস্কার এবং র‌্যাজি- দুটোই জিতেছেন। এ তালিকায় টম হ্যাংকস, জ্যারেড লেটো, কিম বেসিঞ্জার, মেল গিবসন, বেন অ্যাফ্লেক, লিওনার্দো দ্য ক্যাপ্রিও, আল পাচিনো, লরেন্স অলিভিয়ের আর অনেক অনেক নাম রয়েছে।

সামনের বছর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে টানা ৪৫তম অনুষ্ঠান করতে যাচ্ছে র‌্যাজি। অর্থাৎ মাঝখানে কোভিড মহামারীও একে থামাতে পারেনি। মজা করে হলেও এই ধারাবাহিকতার মূল্য কিন্তু কম নয়!

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত