হামজা চৌধুরীকে বাংলাদেশের জার্সিতে দেখতে যাওয়ার আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। বেশ কিছুদিন ধরেই ইংল্যান্ড প্রবাসী হামজা চৌধুরীর বাংলাদেশের জার্সিতে খেলা ফুটবল অঙ্গনে আলোচনায়। বাংলাদেশের হয়ে খেলতে হলে পাসপোর্ট প্রয়োজন তার। সেই পাসপোর্ট হাতে পেতে বুধবার লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশনে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছেন হামজা দেওয়ান চৌধুরী।
বিষয়টি সকাল সন্ধ্যাকে নিশ্চিত করেছেন লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের একটি সূত্র, ‘হামজা চৌধুরী আজ পাসপোর্ট আবেদনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। আমাদের জন্য সুসংবাদ যে খুব শিগগিরই হামজা চৌধুরী বাংলাদেশ জাতীয় দলে যোগ দেবেন। আজ সকালে তার সঙ্গে আমাদের এসব বিষয় নিয়ে অনেক গঠনমূলক কথা হয়েছে।”
পাসপোর্ট করতে হামজার জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন। বাফুফে হামজার জন্ম নিবন্ধন প্রক্রিয়াতে এর আগে সহায়তা করেছে।
হামজা তার মাকে নিয়ে দুই সপ্তাহ আগে পাসপোর্ট আবেদন করতে গিয়েছিলেন। ওই সময় বিড়ম্বনার শিকার হয়ে কাজ শেষ না করেই ফিরে যান লেস্টার সিটির এই ফুটবলার। বিষয়টি বাফুফে জানার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ইংল্যান্ডের দূতাবাসে যোগাযোগ করেন জাতীয় দল কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ। বাফুফের এই সহ-সভাপতি জাতীয় সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য।
বাফুফে যোগাযোগ করার পরপরই হামজার পরিবারের সঙ্গে ইংল্যান্ড দূতাবাস আলোচনা করে। হামজা ব্যক্তিগত সফরে তুরস্কে যাওয়ায় বেশ কিছুদিন পর আবার আবেদনে আগ্রহী হন। ইংল্যান্ডে ফিরে হামজা বুধবার লন্ডন দূতাবাসে গিয়েছিলেন। এদিন অবশ্য বিপরীত চিত্র দেখেছেন তিনি। হাইকমিশন সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও গুরুত্ব দিয়েছে হামজাকে।
হামজার বাংলাদেশের পাসপোর্ট হওয়ার পরই তিনি জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়াতে পারবেন না। আরও কিছু আনুষ্ঠানিকতা ও শর্ত পূরণ করতে হবে। হামজা ইংল্যান্ড যুব দলের হয়ে খেলায় বাফুফেকে ইংল্যান্ডের অনাপত্তিপত্র সংগ্রহ করতে হবে। ইংল্যান্ডের অনাপত্তিপত্র পাওয়ার পর আবেদন করতে হবে ফিফার প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটির কাছে। ফিফার প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটির সবুজ সংকেত মিললেই তবেই হামজা চৌধুরী বাংলাদেশের হয়ে খেলার জন্য যোগ্য হবেন।