বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নিহত আবু সাঈদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শুক্রবার সকালে রংপুরের পীরগঞ্জে আবু সাঈদের বাবা-মায়ের হাতে সাড়ে সাত লাখ টাকার চেক তুলে দেয় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিনিধি দল।
আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন জানান, শুরু থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তাদের খোঁজখবর রাখছেন। প্রতিদিনই বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ না কেউ তাদের ফোন করছেন, খোঁজ নিচ্ছেন। এছাড়া পরিচিত-অপরিচিত অনেকেই সাহায্য-সহায়তা করছেন।
তিনি বলেন, “আমি ভিসি স্যারকে বলেছিলাম আমাদের পরিবারের একজনকে যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়া হয়। ভিসি স্যার আশ্বস্ত করেছেন। সন্তানকে তো আর ফিরে পাবোনা। আমাদের পরিবারের একজনকে একটা চাকরি দিলে আমরা হয়ত একটু ভালোভাবে চলতে পারব শেষ সময়ে।”
সন্তানের জন্য সবার কাছে দোয়াও চান এই বৃদ্ধ বাবা।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক তুহিন ওয়াদুদ, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মন্ডল আসাদ, কর্মকর্তা অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফিরোজুল ইসলাম।
প্রক্টর শরিফুল ইসলাম বলেন, “ভিসি স্যারের নির্দেশে সাঈদের বাবা মায়ের সাথে সবসময় যোগাযোগ রাখছে বিশ্বিবদ্যালয় প্রশাসন। ভিসি স্যার নিজেও সাঈদের পরিবারের খোঁজ রাখছেন, পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে আজকে সাড়ে সাত লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এ সহযোগিতার ধারা অব্যাহত থাকবে।”
সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে চলা আন্দোলনে গত ১৬ জুলাই পুলিশের গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ তম ব্যাচের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাইদ। তার গুলিতে আহত হওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৭ জুলাই থেকে আবাসিক হল ও ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।