বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে যেসব সমস্যা আছে তা বোঝার চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছেন নতুন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
তিনি বলেন, “সমস্যা আছে দেখছি, বোঝার চেষ্টা করছি, সমাধানেরও চেষ্টা করব; বসে থাকার মানুষ আমি নই।”
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) অর্থমন্ত্রী হিসেবে প্রথম অফিস করেন আবুল হাসান মাহমুদ আলী। সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
অগ্রাধিকার হিসেবে আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
সাধারণত বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বাজার মনিটরিং করে উল্লেখ করে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, এক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাণিজ্যের সমন্বয় কীভাবে হবে?
জবাবে মাহমুদ আলী বলেন, “মিলেমিশে কাজ করতে হবে; অর্থ মন্ত্রণালয় একা পারবে না।”
অর্থ পাচার রোধ ও টাকার মূল্য কমে যাওয়া প্রসঙ্গেও প্রশ্ন আসে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, “অনেক দেশেই মুদ্রার বড় ধরনের অবনমন হয়েছে; আমাদের অতটা হয়নি। তবে এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সময় লাগবে; দায়িত্ব নিয়েই সব সমস্যার সমাধান করে ফেলব, তা তো আর হয় না।”
এ সময় মন্ত্রণালয়ের কাজ করার ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের সহায়তা চান তিনি।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ের চার সচিব, সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে মতবিনিময় করেন নতুন অর্থমন্ত্রী। বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার বক্তব্য শোনার পর নিজে প্রায় ২৫ মিনিট বক্তব্য দেন।
কূটনীতিক হিসাবে নিজের দীর্ঘ কর্মজীবন এবং বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে মাহমুদ আলী বলেন, “চ্যালেঞ্জ ছিল, চ্যালেঞ্জ আছে। এই চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলা করেই আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে। অনেক চ্যালেঞ্জ আছে, তা সমাধান করতে হবে। রাতারাতি সব সংকট দূর করা যাবে না। বিষয়গুলো বুঝতে একটু সময় দিন।”
অর্থনীতির ছাত্র মাহমুদ আলী রাজনীতিতে আসার আগে ছিলেন পেশাদার কূটনীতিক। তার আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিষয়ে শিক্ষকতাও করেছেন কিছুদিন।
এমন এক সময়ে তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ের হাল ধরলেন যখন উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রভাব পড়েছে সাধারণ মানুষের জীবনে, ডলারের দর আর রিজার্ভ সংকট হয়ে উঠেছে বড় মাথাব্যথার কারণ।