কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় পালংখালী ইউনিয়নের ১৩ নম্বর তানজিমারখোলা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এ ঘটনায় হতাহতের কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীদের সোয়া এক ঘণ্টার চেষ্টায় দুপুর পৌনে ১টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে।
তবে আগুনে অর্ধশতাধিক বসত ঘর ও বেশ কিছু দোকানপাটসহ অন্তত ৮০টির বেশি স্থাপনা পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা নয়ন।
তিনি জানান, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উখিয়ার ১৩ নম্বর তানজিমারখোলা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-ব্লকের কাঁঠাল গাছতলাস্থ বাজারে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। তবে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত তা নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।
সামছু-দ্দৌজা বলেন, “সকাল সাড়ে ১১টায় উখিয়ার ১৩ নম্বর তানজিমারখোলা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কাঁঠাল গাছতলাস্থ বাজারে হঠাৎ আগুনে লাগে। মুহূর্তেই তা বাজারের অন্য দোকানপাটসহ আশপাশে ক্যাম্পের বসত ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে উখিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে খবর দেওয়া হলে প্রথমে তাদের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। পরে স্টেশনটির আরও একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে অগ্নিনির্বাপনী কাজে যোগ দেয়।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের পাশাপাশি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সহায়তা করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগুন লাগার পর কক্সবাজারের পাশাপাশি টেকনাফ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনেও খবর দেওয়া হয়েছিল। তবে টেকনাফ থেকে দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এলেও তার আগেই নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন।
ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে সামছু-দ্দৌজা বলেন, “প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্যে আগুন লাগার ঘটনায় অর্ধশতাধিক বসত ঘর ও বেশ কিছু দোকানপাটসহ অন্তত ৮০টির বেশি স্থাপনা সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। এছাড়া আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২০ থেকে ৩০টির বেশি বসত ঘর ও অন্যান্য স্থাপনা। তবে এখনও আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।”
এটি দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা তা খতিয়ে দেখতে ফায়ার সার্ভিস ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
আগুন লাগার কেউ হতাহত হয়েছে কিনা এ ব্যাপারে এখনো কোন তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।