পাঁচ বছর বয়সী সাকিবের বাবা দিনমজুর আর মা কাজ করেন মানুষের বাসায়। ছোট্ট শিশুটিকে তাই ঘরে তালাবদ্ধ রেখে কাজে যান তারা। সেই তালাবদ্ধ ঘরেই আগুন লেগে প্রাণ হারালো শিশু সাকিব।
রবিবার দুপুরে সাভারের পাথালিয়া ইউনিয়নের পানধোয়া এলাকায় বাবু মুন্সীর টিনশেড বাসায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে ছাই হয়ে গেছে পুরো ঘরটিও। ছোট্ট শিশুর এমন মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নিহত আবু বকর সিদ্দিক ওরফে সাকিব ওই এলাকার বাসিন্দা নিজাম উদ্দিনের ছেলে। তারা ওই বাসায় ভাড়া থাকত। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস সাকিবের পুড়ে যাওয়া মরদেহ উদ্ধার করে।
প্রত্যক্ষদর্শী দেওয়ান সাজেদুর রহমান জানান, রবিবার আনুমানিক বেলা এগারোটার দিকে আগুনের সূত্রপাত। হয়তো বিদ্যুতের লাইন থেকেই আগুন লেগেছে। কারণ ঘরের ভিতরে একটি এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
জিরাবো মডার্ন ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু সায়েম মাসুম বলেন, “যে ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত সেটা বাইরে থেকে তালাবদ্ধ ছিল। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করি। আশেপাশের ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়লেও সবকিছু পুড়ে যায়নি। কিন্তু তালাবদ্ধ ঘরটি ভস্মীভূত হয়ে যায়। পরে ওই ঘর থেকে শিশুর পুড়ে যাওয়া মরদেহ উদ্ধার করি।”
তবে আগুনের সূত্রপাত কীভাবে তা এখনও নিশ্চিত নন বলে জানান তিনি।
পাথালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোজাফফর হোসেন বলেন, “ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি অনেক দরিদ্র। শিশুটির শরীরের ৪ ভাগের প্রায় ৩ ভাগ অংশই নেই। এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।”
আশুলিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নূর আলম মিয়া বলেন, “আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। ফায়ার সার্ভিস নিহতের লাশ উদ্ধার করে আমাদের কাছে দিয়েছে। ঘরের সবকিছুই পুড়ে ছাই। পরে এলাকাবাসীর দাবিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশের পুড়ে যাওয়া যে অংশটুকু পেয়েছি সেটুকুই রেখে এসেছি।”