বিসিবির নতুন পরিচালনা পর্ষদের প্রথম বোর্ড সভা হতে যাচ্ছে বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট)। আগের পরিচালনা পর্ষদের হিসাব অনুযায়ী ১২তম সভা এটি। নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়েই এই সভায় আলোচনা হতো। কিন্তু এখন সাধারণ বোর্ড সভাটি হয়ে উঠেছে মহাগুরুত্বপূর্ণ।
শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর বিসিবির কাজের গতি ফিরিয়ে আনার সভা হতে যাচ্ছে এটি। যাতে নতুন এক অধ্যায়েরও শুরু হচ্ছে- বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব পাওয়া ফারুক আহমেদের প্রথম বোর্ড সভা। এই সভায় আগামী বছরের অক্টোবরের নির্বাচনের আগ পর্যন্ত বিসিবি কিভাবে চলবে তার রূপরেখা ঠিক করা হবে। পরিচালনা পরিষদে মাত্র দুটি পদে বদল এসেছে। বাকি ২৩ পদের সব পরিচালকরা বহাল আছেন।
কিন্তু তাদের বেশিরভাগই দেশের বাইরে আত্মগোপনে। তাদের ছাড়া ৯ জনের কোরাম পূর্ণ করে বৃহস্পতিবারের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্য দিয়ে আত্মগোপনে থাকা বিসিবি পরিচালকদের অনুপস্থিতিও গণনা শুরু হবে। প্রতিষ্ঠানটির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী টানা তিন সভায় অনুপস্থিত থাকলে পরিচালক পদ বাতিল হবে।
এই সভায় নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদ উপস্থিত পরিচালকদের মাঝে দায়িত্ব বন্টন করবেন বলে জানা গেছে। একাধিক বিভাগের দায়িত্ব নিতে হতে পারে একাধিক জনকে। এরপরই বিসিবির বিভিন্ন বিভাগের কাজের গতি আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যেমন এ বছরের শেষদিকে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা বিপিএলের। তার জন্য আগস্ট থেকেই তোড়জোড় শুরু হওয়ার কথা। প্লেয়ার্স ড্রাফট হওয়ার কথা সেপ্টেম্বরে। কিন্তু বিপিএলের চেয়ারম্যান ইসমাঈল হায়দার মল্লিক আত্মগোপনে থাকায় কাজ এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
এছাড়া আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ঘরোয়া টুর্নামেন্ট। ১২ সেপ্টেম্বর থেকেই ঘরোয়া টুর্নামেন্ট জাতীয় লিগের অনুশীলন শুরু হওয়ার কথা। সেই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে টুর্নামেন্ট কমিটির প্রধানকে। কিন্তু এনএসসির ক্ষমতা বলে টুর্নামেন্ট কমিটির প্রধান হিসেবে বাধ্যতামূলক পদত্যাগ করতে হয়েছে সাজ্জাদুল আলম ববিকে।
বৃহস্পতিবার আরও একটি বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে বিসিবি। তা হলো ২০৩১ বিশ্বকাপের অন্যতম ভেন্যু শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম ‘দ্য বোট’ এর কী হবে?
জানা গেছে এই স্টেডিয়াম হলেও নাম ও নকশা বদলে যাবে। পাশাপাশি স্টেডিয়ামটির দরপত্র এখনই হবে না আরও পেছাবে, সে ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
স্টেডিয়ামটি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আগামী বছর অক্টোবরে বিসিবি নির্বাচন পর্যন্ত পিছিয়ে যাওয়ারও সম্ভাবনা আছে।