Beta
মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৫

কক্সবাজার উপকূলে জলদস্যুদের গুলিতে জেলে নিহত, অপহৃত ১৯  

জলদস্যুদের গুলিতে বুধবার রাতে প্রাণ হারান  মোকাররম হোসেন।
জলদস্যুদের গুলিতে বুধবার রাতে প্রাণ হারান মোকাররম হোসেন।
[publishpress_authors_box]

কক্সবাজারের সমুদ্র উপকূলে ট্রলারসহ ১৯ জেলেকে অপহরণের ঘটনার সময় জলদস্যুদের গুলিতে মোকাররম হোসেন নামে এক জেলে নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।  

বুধবার রাত ২টার দিকে বঙ্গোপসাগরে মহেশখালীর সোনাদিয়া চ্যানেলে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান কুতুবদিয়ার উত্তর ধুরুং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম।

নিহত মোকাররম হোসেন (৪৫) কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের আজিমুদ্দিন সিকদারপাড়ার মৃত জাফর আলমের ছেলে এবং উত্তর ধুরুং ইউপির মহিলা সদস্য রহিমা বেগমের স্বামী।

কুতুবদিয়ার উত্তর ধুরুং ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম বলেন, “বুধবার রাতে মাছ ধরতে গিয়ে বঙ্গোপসাগরের সোনাদিয়ার পশ্চিমে জলদস্যুদের কবলে পড়ে একটি মাছ ধরার ট্রলার। এসময় তাদের গুলিতে মোকাররম নিহত হন। ট্রলারে থাকা অন্য জেলেরা নিখোঁজ রয়েছে।”

ঘটনার দিন ট্রলার থেকে অক্ষত অবস্থায় ফিরে আসতে সক্ষম হন জয়নাল উদ্দিন নামে আরেক জেলে।

তিনি বলেন, “চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার মুহাম্মদ ইসমাইলের ট্রলারটি ২১ জন জেলে নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যায়। মাছ ধরার সময় অস্ত্রধারী জলদস্যুরা হামলা চালায় ট্রলারে। এতে মোকাররম গুলিবিদ্ধ হয়।

“এরপর জলদস্যুরা আমাকে ও গুলিবিদ্ধ মোকাররমকে আরেকটি ট্রলারে তুলে দেয়। পরে প্রথম ট্রলারসহ অন্য জেলেদের অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা।”

জয়নাল উদ্দিন জানান, চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়ার পথে বাঁশখালী এলাকায় মোকাররম মারা যায়। নিহতের মরদেহ বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আছে।

বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, “বঙ্গোপসাগরে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত একজনের লাশ বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

“এতে নিহতের শরীরের বুকের ডান পাশে বগলের নিচে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পাঠানো হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত