Beta
শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৪
Beta
শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৪

সিলেটে নতুন এলাকা প্লাবিত, বাড়ছে দুর্ভোগ 

ss-flood-21-6-24
Picture of আঞ্চলিক প্রতিবেদক, সিলেট

আঞ্চলিক প্রতিবেদক, সিলেট

উজানের ঢল কমছে। বৃষ্টি হচ্ছে না সিলেট অঞ্চলে। কমছে এ অঞ্চলের নদ-নদীর পানি। ফলে উন্নতি হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতির। তবে ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে পানি নামলেও প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। ফলে বাড়ছে বন্যাদুর্গতের সংখ্যা। আর বন্যা কবলিত এলাকায় খাদ্য সংকটের সঙ্গে দেখা দিয়েছে নানা ধরনের রোগ-ব্যাধি।

সিলেটের সুরমা কুশিয়ারাসহ সব নদীর পানি কমলেও বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। সিলেট নগর ও সুনামগঞ্জ শহর থেকে পানি নেমেছে, তবে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে বিভিন্ন উপজেলায়। সিলেটের কিছু উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও নতুন কিছু উপজেলায় বেড়েছে পানি। একই অবস্থা সুনামগঞ্জ জেলায়ও। মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলাতেও নতুন করে প্লাবিত হয়েছে বেশ কিছু এলাকা।

সিলেট

সিলেট নগরে মোট ৪২টি ওয়ার্ড। এর মধ্যে উঁচু এলাকাগুলো থেকে পানি নামতে শুরু করলেও ২৩ টি ওয়ার্ডে এখনও বন্যা কবলিত ৫৫ হাজার মানুষ।

পানি উন্নয়ন বোর্ড, সিলেটের শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার তথ্য অনুযায়ী, সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে যা বৃহস্পতিবার ছিল ৭৮ সেন্টিমিটার ওপরে। সিলেট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে যা বৃহস্পতিবার ছিল ২৪ সেন্টিমিটার উপরে।

এছাড়া কুশিয়ারা নদীর পানি ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১০৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে যা সকাল ৬টায় ছিল ১০২ সেন্টিমিটার উপরে। জকিগঞ্জের অমলসিদে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে যা বৃহস্পতিবার ছিল ৮৪ সেন্টিমিটার উপরে।

বিয়ানীবাজারের শেওলায় কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে যা এদিনই সকাল ৬টায় ছিল বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার উপরে। শেরপুরে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা শুক্রবার সকাল ছয়টায় ছিল ২৪ সেন্টিমিটার উপরে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সিলেটে বৃষ্টি হয়েছে ২০ মিলিমিটার। তার আগের একই সময়ে হয়েছিল ১০০ দশমিক ২ মিলিমিটার। শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেটে কোনও বৃষ্টিপাত হয়নি।

নগরের মাছুদিঘিরপাড়, তালতলা, জামতলা, মির্জাজাঙ্গাল, শামীমাবাদ, কালীঘাট, ছড়ারপাড়, মাছিমপুর, চালিবন্দর, কাষ্টঘর, সোবহানীঘাট, যতরপুর, উপশহর থেকে পানি নেমেছে। তবে সেসব জায়গায় ময়লা আর্বজনা পঁচে দুর্গন্ধ দেখা দিয়েছে।

শুক্রবার সকালে সিলেট নগরের চাঁদনীঘাট এলাকায় সুরমা নদীর পরিস্থিতি ও বরইকান্দি এলাকায় বিদ্যুতের সাব স্টেশন এলাকা পরিদর্শন করেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। এদিন তিনি  দক্ষিণ সুরমা উপজেলার খালেরমুখ ও মোগলগাঁও এলাকায় বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন।

সেখানে উপস্থিত সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী জানান, নগরের অধিকাংশ এলাকা থেকে বন্যার পানি নেমে যাচ্ছে। এখন পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেছে সিটি করপোরেশনের কর্মীরা।

তিনি বলেন, “আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে রান্না করা খাবার পরিবেশন করছে সিটি করপোরেশন। আমাদের ৫টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইন ও ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে।”

এদিকে সিলেটে বন্যা কবলিত এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনায় হাইটেক পার্ক, কোম্পানীগঞ্জ এবং সারীঘাট, জৈন্তাপুর এলাকায় ঘণ্টায় ৬০০ লিটার ক্যাপাসিটি সম্পন্ন দুটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে। এ প্লান্টের মাধ্যমে গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, সদর উপজেলায় বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।

জেলা প্রশাসনের সর্বশেষ তথ্য বলছে, নগরের ৫৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন ৭ হাজার ৯৫০ জন। জেলার ১৩ উপজেলার ১ হাজার ৫৫২টি গ্রামে বন্যা আক্রান্ত জনসংখ্যা ১০ লাখ ৪৩ হাজার ১৬১ জন। সিলেট নগরে মোট ৩৮৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে বর্তমানে রয়েছেন ২৫ হাজার ২৭৫ জন। বৃহস্পতিবার রাতে আশ্রয়কেন্দ্রে ছিলেন ২৮ হাজার ৯২৫ জন।

সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “একদিনে প্রায় ৩ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে নিজ বাড়িতে ফিরে গেছেন। তবে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় নতুন মানুষও আশ্রয়কেন্দ্রে উঠছেন।”

তিনি জানান, শুক্রবার রাতে গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, সদর ও বিশ্বনাথ উপজেলায় ১৫০০ প্যাকেট রান্না করা খাবার এবং ৫০০ প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করা হবে।

সুনামগঞ্জ

সুনামগঞ্জের শহর এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও উপজেলাগুলোতে অপরিবর্তিত রয়েছে। সুরমা নদীর পানি কমায় শহরের বেশিরভাগ এলাকা থেকে পানি নেমেছে। তবে শহরের সাব বাড়ী ঘাট, বড়পাড়া, পশ্চিম হাজিপাড়া, পূর্ব নতুন পাড়া, নবীনগর, নতুন হাছনগর, গুদারগাঁও এলাকায় এখনও পানি রয়েছে।

সুনামগঞ্জ শহরের বিলপাড়, ষোলঘর, কাজিরপয়েন্ট, হাছননগর, আরপিননগর ও তেঘরিয়া এলাকায় বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর দেখা দিয়েছে চরম দুর্গন্ধ। এতে বাসা বাড়িতে থাকতে কষ্ট হচ্ছে এমন অভিযোগ করেছেন অনেকে। 

তেঘরিয়া এলাকার বাসিন্দা আশিকুর রহমান বলেন, পানি নেমে যাওয়ার পর দুর্গন্ধে এখন টিকা যাচ্ছে না। তাছাড়া বন্যার পানিতে জ্বর ও ডায়রিয়ায় অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে খাদ্য সংকট। বন্যার কারণে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হলেও বাড়িঘরে পানিবন্দি থাকারা কোনও ধরণের ত্রাণ সহায়তা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ অনেকে। এমনকি আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা মানুষরাও ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন।

জগন্নাথপুর উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সদরুল ইসলাম বলেন, “এবারের বন্যায় সরকারি সহযোগিতা খুব কম পাচ্ছি। বাড়িঘরে যারা পানিবন্দি হয়ে আছেন তাদেরকে কোনও সহযোগিতা করতে পারছি না।”

সুনামগঞ্জ পৌরসভার ষোলঘর সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন শহরের বনানী পাড়ার জহুর আলী। চারদিন থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন তিনি। এর মধ্যে দুইবার খিচুড়ি পেয়েছেন, এর বাইরে কোনও সহযোগিতা পাননি।

একই আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা নবীনগরের মিনতি রাণী এই প্রতিবেদককে জানান, গত দুই দিন ধরে কোনও খাবার তিনি পাননি। অসুস্থ স্বামী ও এক সন্তান নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন। তার ঘরে কোমড়পানি থাকায় বাড়িতেও ফিরতে পারছেন না।

এই আশ্রয়কেন্দ্রের দোতলার একটি ঘরে গাদাগাদি করে থাকছেন প্রায় ২০/২৫ জন নারী পুরুষ। এরমধ্যে কয়েকজন শিশুও আছে।

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, জেলার ১২টি উপজেলার মধ্যে ১১টি বন্যা কবলিত হয়েছে। বন্যা আক্রান্তের সংখ্যা ৮ লাখ ৫৫ হাজার ৭৮০ জন। জেলায় মোট ৭০০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আশ্রয়কেন্দ্রে ছিলেন ২৩ হাজার ৮৪৯ জন। শুক্রবার আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন ২২ হাজার ৬৩৭ জন।

সুনামগঞ্জে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ছাতক উপজেলা। এই উপজেলার ৩ লাখ ৯৭ হাজার মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার এই উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্রে ছিলেন ১০ হাজার ৫১১ জন। শুক্রবার ছিলেন ৬ হাজার ১১৫ জন। দিরাই ও জগন্নাথপুর উপজেলায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষের সংখ্যা বেড়েছে।

জেলার জগন্নাথপুর, দিরাই, শাল্লা, শান্তিগঞ্জ, জামালগঞ্জ ও ধর্মপাশা উপজেলায় নতুন করে কিছু  গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ছাতক-সুনামগঞ্জ, দোয়ারাজার-সুনামগঞ্জ সড়ক প্লাবিত থাকায় সরাসরি যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। পাগলা-জগন্নাথপুর-আউশকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্ন স্থান পানি নিমজ্জিত হয়েছে। জগন্নাথপুর ও দিরাই উপজেলার সবকটি ইউনিয়ন সড়ক পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। তাহিরপুর-বিশ্বম্ভরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের অনেক স্থানে এখনও পানি রয়েছে। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোর বেশিরভাগই প্লাবিত রয়েছে।

সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ রেজাউল করিম সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “বন্যা দুর্গত উপজেলাগুলোতে ৯৫০ মেট্রিক টন চাল ও ১৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। জেলার প্রতিটি ইউনিয়নে আলাদা মেডিকেল টিম কাজ করছে।” 

সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক রাশেদ ইকবাল চৌধুরী সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে বাড়ি ফিরছেন। কোথাও যেন মানুষ খাদ্য সংকটে না পড়ে এজন্য উপজেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারে বন্যার আরো বিস্তৃতি ঘটেছে। জেলার সাত উপজেলার সবকটি এখন বন্যা কবলিত। জুড়ি, বড়লেখা কুলাউড়া, রাজনগর, মৌলভীবাজার সদর, কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৪৯ টি ইউনিয়নে ৫৫৮ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড, মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.জাবেদ ইকবাল সকাল সন্ধ্যাকে জানান, শুক্রবার সকাল থেকে ধলাই ও মনু নদীর পানি বিপৎসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।  কুশিয়ারা নদীর পানি শেরপুরে বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার এবং জুড়ি নদীর পানি জুড়ি পয়েন্টে বিপৎসীমার  ২০৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, বড়লেখা উপজেলার ২৫২টি গ্রামে ৯৩ হাজার ৫০০ জন মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই উপজেলায় ৩৩টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২১০০ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন।

মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো.আব্দুস সালাম চৌধুরী সকাল সন্ধ্যাকে জানান, জেলার ৫৫৮টি গ্রামে ৩ লাখ ৪৭ হাজার ৪০২ জন বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন। সারা জেলায় ২৩০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হলেও কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলায় কেউ আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেননি। ৫টি উপজেলায় ৯ হাজার ৯৭৭ জন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণ করেছেন।

তিনি বলেন, “আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার ও রান্না করা খাবার দেওয়া হচ্ছে। সমগ্র জেলায় ৭১টি মেডিকেল টিম কাজ করছে।” 

হবিগঞ্জ

হবিগঞ্জের সবকটি নদীর পানি কমলেও কুশিয়ারা নদীর পানি তিনটি পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর  দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা নদীর বাঁধ উপচে নবীগঞ্জ উপজেলার ১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। হবিগঞ্জ সদর ও মাধবপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল কিছুটা প্লাবিত হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড, হবিগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন চৌধুরী সকাল সন্ধ্যাকে জানান,  হবিগঞ্জে প্রায় সবকটি নদীর পানি কমছে। কেবলমাত্র নবীগঞ্জ উপজেলায় কুশিয়ারা নদীর পানি ঢুকে কয়কটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আমরা জিও ব্যাগ ও সিনথেটিক ব্যাগ দিয়ে পানি আটকানোর চেষ্টা করেছিলাম।

হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক প্রভাংশু সোম মহান সকাল সন্ধ্যাকে জানান, জেলার নবীগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা খারাপ। নবীগঞ্জের ৩টি আশ্রয়কেন্দ্রে কয়েক শতাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।  

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত