Beta
শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৪
Beta
শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৪

লালমনিরহাট কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

কুড়িগ্রামে বন্যা। ছবি : বাসস
কুড়িগ্রামে বন্যা। ছবি : বাসস
Picture of সকাল সন্ধ্যা প্রতিবেদন

সকাল সন্ধ্যা প্রতিবেদন

উজান থেকে নেমে আসা ঢল আর টানা বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত হয়ে পড়েছে দেশের উত্তরাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকা।

নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে প্লাবিত হয়েছে লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চল।

বাসস জানিয়েছে, কুড়িগ্রামের ধরলা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তাসহ ১৬টি নদ নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি বাড়ায় সেখানকার চর ও নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে পড়েছে। ফলে কিছু কিছু এলাকায় ধান, বাদাম ও মরিচ ক্ষেত তলিয়ে গেছে। হঠাৎ পানি বেড়ে যাওয়ায় নদী ভাঙন ও ফসল নিয়ে আতঙ্কে আছে মানুষজন।

এছাড়া তিস্তার পানি বেড়ে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম, হাতিবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পানি প্রবেশ করছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের সকাল ৯টার তথ্য বলছে, ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার নদীর পানি বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

লালমনিরহাটের পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য বলছে, রবিবার সকাল ৬টায় তিস্তা নদী ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ বেড়ে বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। যদিও সন্ধ্যা ৬টায় ডালিয়া পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ৫১ দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটার ও কাউনিয়া পয়েন্টে ২৯ দশমিক ৬২ নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।

নদীর পানি বাড়ায় জেলার লালমনিরহাটের তিস্তা তীরবর্তী পাঁচটি উপজেলার নিম্নাঞ্চলের ২৫-৩০ গ্রামে পানি ঢুকে পড়ে। চরাঞ্চলগুলোর ঘরবাড়ি ও ফসলি জমিতে পানি ঢুকে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এসব গ্রামের মানুষ।

এরই মধ্যে পানির চাপ কমাতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে নীলফামারীতে রবিবার সকাল থেকে তিস্তার পানি কমতে শুরু করেছে। রবিবার ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে সকাল ছয়টা থেকে কমতে শুরু করলে বেলা তিনটা পর্যন্ত পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচে নামে। এতে করে সেখানকার তিস্তা তীরবর্তী এলাকাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত