দেশে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়েছে। তবে বন্যাকবলিত হয়ে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা বেড়েছে।
শনিবার দুপুরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৯ জনে পৌঁছেছে। এদের মধ্যে পুরুষ ৪১ জন, নারী ৬ জন ও শিশু ১২ জন।
বন্যাকবলিত ১১ জেলার মধ্যে ৫টিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম, হবিগঞ্জ সিলেট, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজার জেলার বন্যা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। মৌলভীবাজার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে এবং কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।
দেশের ৬৮টি উপজেলা বন্যাকবলিত হয়েছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়ন/পৌরসভার সংখ্যা ৫০৪টি। বর্তমানে মোট ৬ লাখ ৯৬ হাজার ৯৯৫টি পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৫৪ লাখ ৫৭ হাজার ৭০২ জন।
মারা যাওয়া ৫৯ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে ফেনীতে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ জন মারা গেছে কুমিল্লায়। এর বাইরে নোয়াখালীতে ৯, চট্টগ্রামে ৬, কক্সবাজারে ৩ এবং খাগড়াছড়ি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর ও মৌলভীবাজারে ১ জন করে মারা গেছে।
পানিবন্দি বা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের আশ্রয় প্রদানের জন্য ৩ হাজার ৯২৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মোট ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৩০৫ জন মানুষ এবং ৩৬ হাজার ১৩৯টি গবাদি পশুকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, দেশের সকল প্রধান নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে শনিবার নিয়মিত বুলেটিনে জানিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্যের বরাতে বুলেটিনে বলা হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। ফলে এ সময়ে সুরমা, কুশিয়ারা, মনু, খোয়াই, ফেনী, মুহুরি, গোমতী, তিতাস, সাঙ্গু, মাতামুহুরি, কর্ণফুলী, হালদা ও অন্যান্য প্রধান নদীসমূহের পানি কমতে পারে।