Beta
বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪
Beta
বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪

এখন পানি বাড়ছে নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুরে

flood-lakshmipur-280824
Picture of সকাল সন্ধ্যা প্রতিবেদন

সকাল সন্ধ্যা প্রতিবেদন

উজানে ভারি বৃষ্টি না থাকায় ফেনীর ছাগলনাইয়া, পরশুরামে পানি খানিকটা কমলেও পানি বাড়ছে এখন নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে। নেমে আসার পানির সঙ্গে বৃষ্টি হওয়ায় সেখানে পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে।

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যসহ এর লাগোয়া বাংলাদেশের এলাকাগুলোতে অতি ভারি বৃষ্টিতে আগস্টেরে মাঝামাঝিতে দেখা দিয়েছে বন্যা। আকস্মিক এই বন্যার তলিয়ে যায় ফেনী, কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলা।

দুই সপ্তাহ ধরে এই বন্যা চলছে। এরমধ্যে ফেনীর ছাগলনাইয়া ও পরশুরাম পুরোটাই তলিয়ে যায়।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বুধবার সকালের তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজারে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃষ্টি হয়নি। ফলে ওই অঞ্চলের নদীগুলোতে পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে।

আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারি বৃষ্টির আভাস না থাকায় ফেনী, মুহুরী, গোমতী, তিতাস, খোয়াই, মনু নদীর পানির সমতল আরও কমতে পারে বলে আভাস দেওয়া হয়েছে।

উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং এর সংলগ্ন বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে থাকা লঘুচাপটি দুর্বল হয়ে পড়ায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির সম্ভাবনা কমিয়ে দিচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

তবে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৬৪ সেন্টি মিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে নোয়াখালীর মাইজদীতে।

কুমিল্লা ও ফেনীর দিক থেকে নেমে আসার পানির সঙ্গে এই বৃষ্টি নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে পানি বাড়িয়ে দিয়েছে।   

নোয়াখালী জেলা শহরে যাদের বাড়ি একটি উঁচু, যেখানে এতদিন পানি ঢোকেনি, মঙ্গলবার রাতে সেখানেও পানি উঠে গেছে। জেলার প্রধান সড়কটি বাদে সব রাস্তাই এখন পানির নিচে।

নোয়াখালীর পাশের জেলা লক্ষ্মীপুরে সোমবার সন্ধ্যায়ও যেখানে পানি ছিল না, মঙ্গলবার সেখানে কোমর সমান পানি উঠে গেছে বলে জানান ঢাকার একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সাংবাদিক বেলায়েত, যিনি এখন নিজের বাড়িতে রয়েছেন।

তিনি সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “ভারি বৃষ্টি ও নোয়াখালী থেকে আসা পানির ঢলে এখন উঁচু সড়কগুলোও ডুবে গেছে।

ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী বন্যাক্রান্ত ১১টি জেলায় (ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজার) ৭৪টি উপজেলার ৫৪১টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ১২ লাখের বেশি পরিবার এখন পানিবন্দি। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৫৬ লাখ ১৯ হাজার ৩৭৫ জন।

সরকারি হিসাবে বন্যায় এই পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তারমধ্যে কুমিল্লায় ১০ জন, চট্টগ্রামে ৫ জন, নোয়াখালীতে ৫ জন, ফেনীতে ১ জন, খাগড়াছড়িতে ১ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১ জন, লক্ষ্মীপুরে ১ জন ও কক্সবাজার ৩ জন।

বন্যাদুর্গত এলাকায় মোট ৩ হাজার ৮৮৬ টি আশ্রয় কেন্দ্র খুলেছে সরকার।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যে মঙ্গলবার পর্যন্ত ৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে বলে ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। এছাড়া ২০ হাজার মেট্রিক টন চাল ও ১৫ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিলি করা হয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে কন্ট্রোল রুম সার্বক্ষণিক খোলা রয়েছে। তথ্য ও সহযোগিতার জন্য ২৫৫১০১১১৫ নম্বর চালু রয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত