সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। অনেক এলাকা থেকেই পানি নামতে শুরু করেছে, নদীগুলোর বেশিরভাগ পয়েন্টে পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ সকাল সন্ধ্যাকে জানান, সুরমা নদীর পানি সিলেট নগর এলাকায় কমতে থাকায় শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। উপজেলাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার তথ্য অনুযায়ী, সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, যা সকাল ৬টায় ছিল ৫৩ সেন্টিমিটার। সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, যা সকাল ৬টায় বইছিল ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে।
কুশিয়ারা নদীর পানি জকিগঞ্জের অমলসিদে পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, যা সকাল ৬টার চেয়ে চার সেন্টিমিটার কম। ফেঞ্চুগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে, সকাল ৬টায় যা বইছিল ২৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে।
দুপুর থেকে সিলেটে বন্যা না হলে পরিস্থিতি আরও দ্রুত উন্নতির দিকে যেত বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সিলেটে বৃষ্টি হয়েছে ৬০ দশমিক ৪ মিলিমিটার।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম সকাল সন্ধ্যাকে জানান, নগরীর আশ্রয়কেন্দ্রগুলোয় দুটি মেডিকেল টিম কাজ করছে। একটি আশ্রয় কেন্দ্রে কয়েকজন জ্বরে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও ওষুধ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, “নগরের কিছু এলাকা থেকে পানি নেমে যাওয়ায় পচা দুর্গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এজন্য ব্লিচিং পাউডার ও অন্যান্য জীবানুনাশক ছিটিয়ে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করেছে সিসিক।”