সেঞ্চুরিয়নে রান উৎসবই করেছে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতের ২১৯ রানের জবাবে প্রোটিয়ারা করে ২০৮। এমন উপভোগ্য টি-টোয়েন্টিতে বাগড়া দিয়েছিল পিঁপড়ে! উড়ন্ত পিঁপড়ের তাণ্ডবে ম্যাচ বন্ধও ছিল প্রায় ১৮ মিনিট।
ভারতের ইনিংস শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাটিংয়ে নামার পর প্রথম ওভার শেষেই মাঠ ছেয়ে যায় হাজার হাজার উড়ন্ত পিঁপড়েতে। বাধ্য হয়ে খেলা বন্ধ করেন আম্পায়াররা।
পিঁপড়ে দমনে প্রথমে ড্রোনের মাধ্যমে কীটনাশক ছড়ানো হয় মাঠ জুড়ে। তাতে কমে তাদের দাপট। তবে ভিজে যায় মাঠ। সুপার সপার দিয়ে গোটা মাঠ শুকানোর পর ডাকা হয় দুই দলের ক্রিকেটারদের।
দক্ষিণ আফ্রিকায় বছরের এই সময় এমন ঘটনা স্বাভাবিক। এজন্য আগে থেকে প্রস্তুতি ছিল মাঠ কর্মীদের।
বর্ষার পরেই এই পিঁপড়ের মিলনের সময়। বৃষ্টি হওয়ার ৩-৫ দিনের মধ্যেই মহিলা পিঁপড়েরা পুরুষ সঙ্গীদের খোঁজে উড়ে বেড়ায়। অনেক সময় নতুন এলাকাতেও পৌঁছে যায় তারা।
সাধারণত বসন্তের সময়েই পিপঁড়ের এমন আচরণ লক্ষ্য করা যায়। তবে পিঁপড়ের একেক প্রজাতির মিলনের সময় একেক রকম।
শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা পণ্ড হয়নি, এটাই যা স্বস্তির।