বাফুফে নির্বাচন নিয়ে যত মানুষের আগ্রহ-উৎসাহ ওসব লোকজন মাঠে খেলা দেখতে গেলেও কিন্তু স্টেডিয়াম অতো ফাঁকা থাকে না। এদেশে নির্বাচনকে ঘিরে সবসময় আলাদা আকর্ষণ কাজ করে। সেখানে দেনা-পাওনার ইস্যু থাকে। তাই বাফুফে কাউন্সিলর সংখ্যা ১৩৩ জন হলেও শনিবার (২৬ অক্টোবর) বাফুফে নির্বাচনকে ঘিরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল হয়ে গেছে লোকে লোকারণ্য।
ভোট শেষ হবে সন্ধ্যা ৬টায়। তার আগে যে বাফুফের নির্বাচনী সাধারণ সভা হয়েছে যেখানে মঞ্চে বসা নিয়ে বেশ হট্টগোল হয়েছে। মঞ্চে বাফুফের বিদায়ী সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের পাশে সদস্য মাহফুজা আক্তার কিরণকে দেখে কাউন্সিলর মোজাম্মেল হক চঞ্চল প্রশ্ন তোলেন- কেন একজন সাধারণ সদস্যের আসন থাকবে সভাপতির পাশে? এ নিয়ে দুই পক্ষে বেশ তর্ক-বিতর্ক হয়।
এরপর বার্ষিক সাধারণ সভায় ২০২৪-২৫ সালের বাজেট উপস্থাপন করে বিদায়ী নির্বাহী কমিটি। বাজেটের পরিমাণ ৬১ কোটি টাকার, তার মধ্যে ঘাটতি আছে ১৪ কোটি টাকার। যদিও এই বাজেট অনুমোদন করেনি বাফুফের সাধারণ পরিষদ। এক পাতার এই লিখিত বাজেট উপস্থাপনে খাতগুলো স্পষ্ট করা ছিল না। বড় বড় কোনও খাতই পরিষ্কার ছিল না ওই এক পাতায়। তাই কাউন্সিলরদের আপত্তির মুখে এটা বাতিল হয়ে যায়। বাফুফের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সাধারণ পরিষদে বাতিল হয়ে যায় বাজেট।
এই সাধারণ সভায় উপস্থিত ছিলেন ফিফা-এএফসির প্রতিনিধিরা, তারা এসেছেন নির্বাচন দেখতে। প্রথমবারের মতো এবার সাধরণ সভায় আরও ছিলেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব আমিনুল ইসলাম, যিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বক্তব্যও রেখেছেন। এই নির্বাচনে ভোটাভুটির আগে একমাত্র বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত সিনিয়র সহ-সভাপতি ইমরুল হাসান বলেছেন, “প্রথমবারের মতো ক্রীড়া পরিষদের প্রতিনিধি ছিলেন সাধারণ সভায়। তিনি সরকারের তরফ থেকে কিছু দিক-নির্দেশনা উপস্থাপন করেছেন।”