এক সময় দেশের ফুটবলে ভরা যৌবন ছিল। তখন খেলা হতো সারা দেশে, প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা ফুটবলাররা ঢাকার মাঠ মাতিয়ে হয়ে উঠতেন জাতীয় তারকা। এই পরম্পরায় চিড় ধরেছে ঝিমিয়ে পড়া জেলা ফুটবলের কারণে। এর মধ্যে আবার বিশেষ কিছু জায়গা বা অঞ্চল ছিল খুবই ফুটবল উর্বরা, তাদের ফুটবলার ছাড়া জাতীয় দলও কল্পনা করা যেতো না। ফুটবলের সেই আঁতুড়ঘরগুলোর ছন্নছাড়া রূপ ধরা পড়েছে সকাল সন্ধ্যার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক বদিউজ্জামান মিলনের তদন্তে। দ্বিতীয় কিস্তি খুলনার ফুটবল নিয়ে
খুলনায় গেলে অন্তত একবার হলেও গোবরচাকা পল্লীমঙ্গল স্কুল মাঠে যান শেখ মোহাম্মদ আসলাম। এই মাঠ থেকেই তো ফুটবলার হয়ে ওঠা জাতীয় দলের সাবেক স্ট্রাইকারের। ফুটবলের সোনালী অতীত আঁকড়ে সময় কাটানো এই ফুটবলার এখন খুলনার ফুটবল নিয়ে প্রচন্ড হতাশ।
একটা সময় খুলনা থেকে উঠে এসেছেন নামকরা অনেক ফুটবলার। শুধু খুলনার লিগ নয়, ঢাকা, চট্টগ্রামের মাঠ মাতিয়েছেন তারা। চাপিয়েছেন জাতীয় দলের জার্সি। কিন্তু সেই খুলনা যেন দিনকে দিন ফুটবলের মরুভূমি হয়ে উঠেছে।
১০ বছরে মাত্র ৩ লিগ
খুলনার ফুটবলের সবচেয়ে বড় সমস্যা, অনিয়মিত লিগ। গত ১০ বছরে সিনিয়র ডিভিশন ফুটবল লিগ হয়েছে মাত্র ৩ বার! সর্বশেষ লিগ হয়েছিল ২০২২ সালে। এর আগের লিগ হয়েছিল ২০১৪ ও ‘১৮ সালে। খুলনার ক্লাবগুলো ভুগছে অর্থ সঙ্কটে। জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের (ডিএফএ) টাকা-পয়সা যোগাড় করার সামর্থ্য নেই। যে কারণেই ফুটবল লিগ ও অন্য টুর্নামেন্ট অনিয়মিত হয়ে পড়েছে খুলনায়।
খুলনায় ২০২২ সালে প্রিমিয়ার বিভাগে অংশ নেয় ৮টি ক্লাব- উইনার্স ক্লাব, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, মহেশ্বরপাশা ক্লাব, খুলনা আবাহনী ক্রীড়াচক্র, টাউন ক্লাব, ব্রাদার্স ইউনিয়ন, বলাকা স্পোর্টিং ক্লাব। প্রথম বিভাগে খেলে ৭টি দল-উল্কা ক্লাব, মৌসুমী একাদশ, ডুমুরিয়া তরুণ সংঘ, সাবেক খেলোয়াড় সংঘ, এসবি আলী ফুটবল একাডেমি, শেখ কামাল স্মৃতি সংসদ ও দিঘলীয়া ওয়াইএমএ।
লিগ অনিয়মিত হওয়ার পেছনের কারণ উল্লেখ করে খুলনা ডিএফএর সহ-সভাপতি ও ফিফা রেফারি মনসুর আজাদ বলেন, “এখানে গত দুই বছর তো কোনও লিগ হয় না। কারণ ক্লাবগুলোর অর্থ সঙ্কট প্রচন্ড। আগে তো ক্লাবের জন্য স্পনসর আসতো। এখন নেশা আর জুয়া ছাড়া কিছুই হয় না। খেলার পরিবেশে নেই। তাছাড়া যাদের যোগ্যতা নেই স্পনসর আনার তারা ডিএফএর বড় পদ আঁকড়ে বসে আছে, এদের কারণেই লিগটা সময়মতো মাঠে গড়াচ্ছে না। এখন আমাদের কিছু করার নেই। আগে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সঙ্গে জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের দ্বন্দ্ব ছিল, যে কারণে মাঠ দেওয়া নিয়ে জেলা ক্রীড়া সংস্থা সমস্যা তৈরি করতো। আর এ কারণে স্টেডিয়ামে খেলাধুলা নেই। এদিক ওদিকে গিয়ে ছোট লিগগুলো চালানো হতো। কিন্তু প্রথম বিভাগ লিগ তো স্টেডিয়াম ছাড়া চালানো যায় না। “
হাউজি বন্ধে ক্লাবের অনীহা
খুলনার ক্লাবগুলোতে বছরের পর বছর খোলামেলাভাবে চলে এসেছে ওয়ান-টেনসহ নানা রকমের জুয়ার আয়োজন। কিন্তু ঢাকার বিভিন্ন ক্লাবে ক্যাসিনো, জুয়া ও মাদকের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযানের পর খুলনার ক্লাবপাড়ায়ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর মতিঝিল ক্লাবপাড়ায় ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় ক্লাবে ক্যাসিনো চালানো ফকিরেরপুল ইয়ংমেনস, ভিক্টোরিয়া, ওয়ান্ডারার্স, দিলকুশা, আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ ও মোহামেডানের একাংশে। সেই ধারাবাহিকতায় ওই সময় খুলনার ক্লাবগুলোও বন্ধ করে দেয় সরকার।
খুলনার ৭টি ক্লাবে ক্রীড়া উন্নয়নের নামে বছরের পর বছর ধরে চলে আসতো জুয়ার আসর। খুলনার সার্কিট হাউজ মাঠ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, আবাহনী ক্রীড়া চক্র, ইয়ং বয়েজ ক্লাব, ব্রাদার্স ইউনিয়ন, উইনার্স ক্লাবসহ বেশ কয়েকটি ক্লাবে তাস, হাউজিসহ নানা ধরনের খেলা চলত।
এসব ক্লাবের হাউজি, জুয়া থেকে পাওয়া টাকা দিয়ে ফুটবল দল গড়া হতো। কিন্তু জুয়া বন্ধ হওয়ার পর ক্লাবগুলো দল গড়াও বন্ধ করে দিয়েছে।
জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার জাহাঙ্গীর (ছোট) বলছেন, “এখানকার বেশিরভাগ ক্লাবই আর্থিকভাবে জুয়ার টাকার ওপর নির্ভর। ক্লাবগুলো হাউজি, ওয়ান-টেন এগুলো বন্ধ করতে চায় না। ঢাকায় যখন ক্যাসিনো কান্ডে ক্লাব বন্ধ হয়ে যায় তখন খুলনাতেও ক্লাব বন্ধ হয়ে যায়। সাবেক ফুটবলারদের কাছ থেকে ২০ হাজার, ১০ হাজার করে টাকা নিয়ে দল গড়েছিল কিছু ক্লাব। কিন্তু এভাবে দল গঠন করা অসম্ভব। আর এখনকার ফুটবলাররা টাকা ছাড়া খেলতে চায় না। “
ডিএফএ সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউসুফও হাউজি বন্ধে ফুটবলে প্রভাবের কথা স্বীকার করেছেন, “হাউজি বন্ধ হওয়ায় ক্লাবের আয় কমেছে, তারা দল গড়তে গড়িমসি করে। এটা অনেক ক্ষেত্রে সত্য।”
ক্রিকেটের পেটে ফুটবল
আশি-নব্বইয়ের দশকে খুলনায় ফুটবলের যে দামামা ছিল, সেটা পরবর্তীকালে ক্রিকেটের জোয়ারে ভেসে গেছে। খুলনা স্টেডিয়ামে বেশিরভাগ সময় আচ্ছাদিত থাকে ক্রিকেট পিচ। ওই মাঠে ক্রিকেট পিচ সরিয়ে ফুটবল চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাছাড়া ফুটবল ম্যাচ চালানোর জন্য জেলা ক্রীড়া সংস্থা অনুমতি দিতে চায় না বলে অভিযোগ রয়েছে।
গত ১৬ বছর ধরে খুলনা ডিএফএর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন ইউসুফ আলী। ক্রিকেট ও ফুটবলের এই রেষারেষিতে ত্যক্ত বিরক্ত ইউসুফ বলেন, “ডিএফএ ও ডিএসএর এই দ্বন্দ্ব এখনও আছে। মাঠ তো ওদের (ডিএসএ)। আমাদের না। ফুটবল চালানোর জন্য মাঠ চাইলে তাই ওরা দিতে চায় না। আমরা এটা নিয়ে অনেক ভুগছি। সিনিয়র ডিভিশন ফুটবল একবার বাধ্য হয়ে সার্কিট হাউজ মাঠে আয়োজন করেছিলাম। এসব অনিয়মের জন্য ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনও প্রতিকার পাইনি। এখানে ফুটবলের খারাপ অবস্থার জন্য এসবও দায়ী। আসলে ডিএফএ তৈরিই হয়েছে ভুল ধারনা নিয়ে। মাঠ নেই, অফিস নেই। বসার জায়গা নেই। এভাবে ফুটবল হয় না।”
এই ফুটবল কর্তার কাছে ডিএফএ’র ধারণাটাই ভুল! ফুটবল খেলার মাঠ জোগাড় করে দেওয়ারই ক্ষমতা নেই তার। অথচ দিনের পর দিন ডিএফএ’র ওই পদ আকড়ে বসে আছেন।
খুলনার ফুটবলের দৈন্যদশার জন্য জেলা ক্রীড়া সংস্থা (ডিএসএ) ও জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (ডিএফএ) দ্বন্দ্বকে দায়ী করেন সাবেক তারকা শেখ মোহাম্মদ আসলাম, “ডিএফএ ও ডিএসএ তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু অথর্ব লোকেরা নেতৃত্ব দিচ্ছে এসব সংগঠনে। সমাজে তাদের কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। ওরা যে কারো কাছ থেকে স্পনসর এনে খেলা চালাবে সেই সক্ষমতা নেই। ওদের সামর্থ্য নেই লিগ বা জমজমাট কোনও টুর্নামেন্ট করার। যার ফলে ফুটবলটা একদম অতল গহবরে তলিয়ে গেছে।”
অন্যভাবে দেখলে ব্যাপারটা দাঁড়ায়, ক্রিকেটের উল্লম্ফনের কাছে হার মেনেছে ফুটবল। জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার জাহাঙ্গীর দেখছেন, “খুলনার ছেলেপুলেরাও এখন ক্রিকেটে ঝুঁকছে বেশি। প্রায় সব মাঠেই হয় ক্রিকেট খেলা। বলতে গেলে, এখন ফুটবল খেলার জন্য কোনো মাঠ অবশিষ্ট নেই।”
মিল-কারখানায় তৈরি ঝলমলে অতীত
খুলনার ফুটবলে এক সময় ছিল ঝলমলে অতীত। খুলনার ফুটবলাররা বিভিন্ন সময়ে ঢাকার মাঠ মাতিয়েছেন। স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে মোহামেডানে খেলেছেন খুলনার ফুটবলার বলাই দে। এরপর ভারতে পাড়ি জমান তিনি। খেলেছেন ভারতের জার্সিতে ইস্ট বেঙ্গল ও মোহনবাগানে।
জাতীয় দল মাতিয়েছেন রঘু, শেখ মোহাম্মদ আসলাম, সালাম মুর্শেদী, জসীম উদ্দিন জোসি, নিরা।
আশির দশকের শেষ থেকে শুরু করে নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত রিজভী করিম ছিলেন বাংলাদেশের ফুটবলে সত্যিকারের এক বরপুত্র। ঝাঁকড়া চুল দুলিয়ে বল নিয়ে রুমি যখন এগিয়ে যেতেন, তা ছিল দেখার মতো এক দৃশ্য।
রুমি ছাড়াও বড় জাহাঙ্গীর, ছোট জাহাঙ্গীর, লুৎফর রহমান নয়ন, প্রদীপ পোদ্দার, পার্থ প্রতীম কুন্ডুরা খেলেছেন ঢাকার ফুটবলে। কিন্তু দিনকে দিন ঢাকার ফুটবলে কমতে শুরু করে খুলনার ফুটবলারদের প্রতিনিধিত্ব। বর্তমানে জাতীয় দলে খুলনার একমাত্র প্রতিনিধি শাহরিয়ার ইমন।
একটা সময় খুলনা ছিল শিল্পাঞ্চলের জন্য খ্যাত। বিভিন্ন কাগজকল, পাটকলগুলো গড়ে উঠেছিল খুলনা অঞ্চলে। ওয়াপদা ক্লাব, প্লাটিনাম জুট মিল ফুটবল ক্লাব, নিউজপ্রিন্ট ক্লাব ছিল নামকরা। যে কারণে খুলনা থেকে বিভিন্ন সময়ে ফুটবলার বেরিয়ে এসেছে বলে মনে করেন সাবেক তারকা ফুটবলার শেখ মোহাম্মদ আসলাম, “খুলনার একটা বৈশিষ্ট্য ছিল, আমাদের যারা অগ্রজ বা বড় ভাই তারা ফুটবলে স্বনামধন্য ছিলেন। তাছাড়া খুলনা জেলা ছিল শিল্পাঞ্চল। জুট মিল, ওয়াপদা, পেপার্স মিল ফুটবলে দল গড়ত। তারা ফুটবলারদের মাসিক বেতন দিত। যেটা একজন ফুটবলার উঠে আসার জন্য বিরাট ভূমিকা পালন করত। এগুলো বন্ধ হয়ে এখন ফুটবলার উঠে আসার পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। “
হারিয়ে গেছে আবাহনী-মোহামেডানের উন্মাদনা
আশি-নব্বয়ের দশকে ঢাকার মতো খুলনার ফুটবলেও ছিল আবাহনী-মোহামেডান উন্মাদনা। যেটা ধীরে ধীরে ফুটবলের ভাটার টানের সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে গেছে। শেখ মোহাম্মদ আসলাম স্মৃতিচারণা করে সেই দিনে ফিরে গেলেন, “তখন আবাহনী-মোহামেডানের সেকি উন্মাদনা। আমি আবাহনীতে, সালাম মুর্শেদী মোহামেডানে খেলত। একবার লিগ নিষ্পত্তির ম্যাচে পুলিশ এসে মাইকিং করে দর্শকদের বলে আপনারা গ্যালারি থেকে নেমে যান। না হলে গ্যালারি ভেঙে পড়বে। তখন ক্রেজ ছিল কারণ আমাদের ক্রীড়া নৈপুণ্য দেখতে আসত।”
বন্ধ হয়ে গেছে ফুটবল টুর্নামেন্ট
লিগের বাইরে খুলনায় এক সময় অনেক রকমের ফুটবল টুর্নামেন্ট হতো। ফেডারেশন কাপ, বয়সভিত্তিক ফুটবল, আন্তঃস্কুল ফুটবল, আন্তঃ থানা, সোহরাওয়ার্দী কাপ, অনূর্ধ্ব- ১৬ ফুটবল টুর্নামেন্ট নিয়মিত মাঠে গড়াতো। কিন্তু সেই প্রতিযোগিতা এখন হারিয়ে গেছে।
শেখ মোহাম্মদ আসলাম আক্ষেপ করে বলেন, “আমি যখন বেড়ে উঠি তখন প্রথমে তৃতীয় বিভাগ, এরপর দ্বিতীয় বিভাগ, প্রথম বিভাগ খেলেছি। বিভিন্ন বয়সভিত্তি টুর্নামেন্টে খেলেছি। এই যে ধাপে ধাপে উঠে আসা, আমি যে পরিপক্ক ফুটবলার হয়ে উপরের দিকে এসেছি সেই সিস্টেম আমাকে বলেছিল তুমি এভাবে বেড়ে উঠলে ভালো ফুটবলার হতে পারবে। এই জায়গাগুলো উবে গেছে। নেই বললে চলে। যে কারণে খুলনার ফুটবলের এমন দৈন্যদশা।”
আছে বয়সচুরির অভিযোগ
বর্তমানে স্থানীয় একটি ফুটবল একাডেমির কোচ হিসেবে আছেন ছোট জাহাঙ্গীর। তার দাবি, খুলনায় বয়সভিত্তিক ফুটবলে বয়সচুরির ঘটনা অহরহ ঘটে। তিনি বলেন, “এখানে একেকজন ফুটবলারের ৭-৮টা জন্ম নিবন্ধন সনদ। এরার বাবার নাম বদল করে স্থানীয় বিভিন্ন বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে একাধিকবার খেলে। এখানে বয়স চুরি ধরার লোক নেই।”
তবুও স্বপ্ন দেখা
খুলনার ফুটবলার শাজাহান আলী এবারের প্রিমিয়ার লিগে খেলছে ফর্টিস এফসিতে। খুলনার ফুটবলের দৈন্যদশায় হৃদয় পোড়ে শাজাহানের। জাতীয় দলে আবারও ফিরবে খুলনার দাপট সেই স্বপ্ন দেখেন তিনি, “এটা সত্যি খুলনার ফুটবলের ঐতিহ্য হারিয়ে গেছে। তবে যদি আবারও ফুটবল লিগ নিয়মিত হয় খুলনায়, প্রচুর ফুটবলার উঠে আসবে আমাদের এলাকা থেকে। হয়তো নতুন কোনও আসলাম ভাই, রুমি ভাই তৈরি হতে পারে খুলনা থেকেই।”