ব্যাংকগুলোকে বিদেশি মুদ্রা লেনদেনের তথ্য ৮ কর্মঘণ্টার মধ্যে ফরেন এক্সচেঞ্জ ড্যাশবোর্ডে দিতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ অপারেশন ডিপার্টমেন্ট এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে। সার্কুলারটি ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
‘ফরেন এক্সচেঞ্জ ড্যাশবোর্ডে যথাসময়ে সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টিং নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক সার্কুলারে বলা হয়েছে, গাইডলাইন্স ফর ফরেন এক্সচেঞ্জ ট্রানজেকশন্স, ২০১৮ এবং সময়ে সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জারি করা সার্কুলারের লেটারের নির্দেশনার আলোকে অনুমোদিত ডিলার তথা তফসিলি ব্যাংকগুলো কর্তৃক অনলাইন ফরেন এক্সচেঞ্জ ট্রানজ্যাকশন মনিটরিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ফরেন এক্সচেঞ্জ ড্যাশবোর্ড)-এ নিয়মিত ভিত্তিতে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন রিপোর্ট করার নির্দেশনা রয়েছে।
“কিন্তু ড্যাশবোর্ডে ভুল ও বিলম্বে রিপোর্টিংয়ের কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ব্যালেন্স অব পেমেন্ট হিসাবায়ন এবং মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নে নানাবিধ সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।”
এমন পরিস্থিতিতে ফরেন এক্সচেঞ্জ ড্যাশবোর্ডে বৈদেশিক মুদ্রার সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টিং নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ব্যাংকগুলোকে কয়েকটি নির্দেশনা প্রদান করা হলো-
আমদানির ক্ষেত্রে কন্ট্রাক্টএলসি স্থাপন ও রপ্তানির ক্ষেত্রে কন্ট্রাক্টএলসি প্রাপ্তি এবং বৈদেশিক মুদ্রায় যেকোনো মূল্য পরিশোধ ও প্রাপ্তির ৮ (আট) কর্মঘণ্টার মধ্যে ড্যাশবোর্ডে তথ্য প্রদান করতে হবে।
ড্যাশবোর্ডের বিভিন্ন মডিউলের নির্ধারিত টেমপ্লেটে সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রদান করতে হবে।
আগে জারি করা এ সংক্রান্ত সার্কুলারের আলোকে আমদানি সংক্রান্ত পর্যাপ্ত তথ্য ড্যাশবোর্ডের নির্ধারিত টেমপ্লেটে প্রদান করতে হবে।
এবং
ড্যাশবোর্ডে রিপোর্টিং তদারকির জন্য ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের মাধ্যমে কার্যকর তদারকি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
ফরেন এক্সচেঞ্জ ড্যাশবোর্ডে রিপোর্টিং বিষয়ে আগের জারি করা সব নির্দেশনা যথারীতি বলবৎ থাকবে এবং পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে।
পাশাপাশি নতুন এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে সার্কুলারে বলা হয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত রপ্তানি তথ্যের গরমিল সংশোধনের পর মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই-মে) বাংলাদেশের রপ্তানি আগের বছরের চেয়ে ৪ দশমিক ২৮ শতাংশ কমেছে।
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম এগারো মাসে রপ্তানির পরিমাণ দেখানো হয়েছে ৫১ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংক তথ্য সংশোধন করে দেখিয়েছে, এই সময়ে প্রকৃত রপ্তানির পরিমাণ ৪০ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ ১০ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি কম হয়েছে।
এর আগে ২০১৮ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি সার্কুলারে, অনলাইন ফরন এক্সচেঞ্জ ট্রাঞ্জেকশন মনিটরিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বা ফরেন এক্সচেঞ্জ ড্যাশবোর্ডে নিয়মিত বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেনের তথ্য রিপোর্ট করার নির্দেশনা ছিল। তবে নির্দিষ্ট সময় উল্লেখ না থাকায় অনেক ব্যাংক যথাসময়ে রিপোর্ট করেনি।