Beta
রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫

বিদেশি ঋণ ৮ মাসে ৫ বিলিয়ন ডলার

[publishpress_authors_box]

চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) বিভিন্ন দাতা দেশ ও সংস্থার কাছ থেকে ৪৯৯ কোটি ৭৫ লাখ ২০ হাজার (৫ বিলিয়ন) ডলারের ঋণ-সহায়তা পেয়েছে বাংলাদেশ। এই অঙ্ক গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২ দশমিক ৪৮ শতাংশ বেশি।

এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৩০ কোটি ১৬ লাখ (১.৩০ বিলিয়ন) ডলার দিয়েছে ম্যানিলাভিত্তিক উন্নয়ন সংস্থা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। মোট ঋণ-সহায়তার ২৬ দশমিক শূন্য চার শতাংশই দিয়েছে সংস্থাটি।

আরেক উন্নয়ন সংস্থা জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) দিয়েছে ১০৪ কোটি ২১ লাখ ৪০ হাজার (১.০৪ বিলিয়ন) ডলার।

বিশ্বব্যাংক দিয়েছে ৮৭ কোটি ৭৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) রবিবার বিদেশি ঋণের হালনাগাদ এই তথ্য প্রকাশ করেছে।

এতে দেখা যায়, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে বিভিন্ন দাতা দেশ ও সংস্থা বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অনুকুলে ৫০০ কোটি ডলারের যে ঋণ-সহায়তা ছাড় করেছে, তার মধ্যে ২০৩ কোটি (২.০৩ বিলিয়ন) ডলার চলে গেছে আগের নেওয়া ঋণের সুদ-আসল পরিশোধে।

হিসাব বলছে, মোট ঋণ-সহায়তার ৪০ দশমিক ৬২ শতাংশ চলে গেছে আগের নেওয়া ঋণের সুদ-আসল পরিশোধে। এর মধ্যে আসল ১ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার।

সুদ ৮০ কোটি ৫৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের এই আট মাসে মোট ৪৮৭ কোটি ৬৫ লাখ (৪.৮৭ বিলিয়ন) ডলার ঋণ-সহায়তা পেয়েছিল বাংলাদেশ।

এরমধ্যে সুদ পরিশোধ করতে হয়েছিল ৪০ কোটি ২৯ লাখ ডলার। আসল বাবদ শোধ করা হয়েছিল ১০২ কোটি ১১ লাখ (১.০২ বিলিয়ন) ডলার।

গত বছরের শুরু থেকে সরকারের বিদেশি ঋণ গ্রহণ বাড়তে শুরু করেছিল। তবে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে এসে তা কিছুটা কমে যায়।

তবে ডিসেম্বরে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার ঋণ ছাড় করে দাতারা। এতে আট মাসের (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) হিসাবে প্রবৃদ্ধিতে ফিরেছে বিদেশি ঋণ-সহায়তা।

ইআরডির কর্মকর্তারা বলছেন, বেশ কিছু বড় প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ শুরু হওয়ায় সার্বিকভাবে ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বেড়েছে।

যেমন মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঋণ পরিশোধ শুরু হয়েছে। তবে ঋণ পরিশোধের পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক অবস্থায় আছে।

প্রতিশ্রুতি বেড়েছে ৪ গুণ  

ইআরডির তথ্যে দেখা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে ৭২০ কোটি ১২ লাখ (৭.২০বিলিয়ন) ডলার ঋণ-সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিভিন্ন দাতা দেশ ও সংস্থা।

গত অর্থবছরের একই সময়ে এই প্রতিশ্রুতির অঙ্ক ছিল মাত্র ১৭৮ কোটি ৩৩ লাখ (১.৭৮ বিলিয়ন) ডলার।

এ হিসাবে দেখা যাচ্ছে, এই আট মাসে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে দাতাদের ঋণের প্রতিশ্রুতি বেড়েছে ৪ গুণের বেশি।

চলতি অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে ৫ বিলিয়ন ডলারের যে বিদেশি ঋণ-সহায়তা এসেছে, তারমধ্যে ৪৬৩ কোটি ৩২ লাখ (৪.৬৩ বিলিয়ন) ডলার প্রকল্প ঋণ। আর ২৪ কোটি ৩৩ লাখ ডলার অনুদান। অনুদানের মধ্যে ২১ কোটি ৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার প্রকল্প সহায়তা। আর ১ কোটি ৫ লাখ ডলার খাদ্য সহায়তা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত