Beta
শনিবার, ১৭ মে, ২০২৫
Beta
শনিবার, ১৭ মে, ২০২৫

বিদেশি ঋণ পরিশোধ বেড়েছে ২৫%

ডলার
ডলার
[publishpress_authors_box]

চলতি অর্থ বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রথম আট মাসে দাতাদের কাছে পুঞ্জীভূত পাওনা পরিশোধ গত অর্থ বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ২৫ শতাংশ বেড়েছে।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আট মাসে বাংলাদেশ দাতাদের পুঞ্জীভূত পাওনা পরিশোধ করেছে ৩২১ কোটি ২০ লাখ ডলার।

এই পরিশোধ গত অর্থ বছরের তুলনায় প্রায় ২৫ শতাংশ বেশি। গত অর্থ বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দাতাসংস্থাগুলোর পাওনা পরিশোধ করা হয়েছিল ২৫৭ কোটি ১৫ লাখ ডলার।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত দাতাদের কাছ থেকে বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প ও বাজেট সহায়তাসহ সবমিলে ৪৭৭ কোটি ৩৮ লাখ ডলার ছাড় করেছে।

এ সময় পর্যন্ত বাংলাদেশ বিশ্ব ব্যাংক, এডিবি ও জাইকাসহ বিভিন্ন দাতাসংস্থার কাছে ৭ হাজার কোটি বা ৭০ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি ঋণ রয়েছে।

গত দশকে দাতাদের কাছ থেকে বেশি অর্থ নেওয়ায় এখন সেসব পরিশোধ করতে গিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার চাপে পড়ছে বাংলাদেশ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইআরডির সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা সকাল সন্ধ্যাকে জানান, “বিগত এক দশকে রূপপুর পারমাণকিব বিদ্যুৎকেন্দ্র, পদ্মা রেল সংযোগ, মেট্রোরেল, মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ, গভীর সমুদ্রবন্দর এবং কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পসহ অনেকগুলো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সেই বিদেশি ঋণগুলো এখন রেয়াতকাল পেরিয়ে পুরোদমে পরিশোধকাল শুরু হয়েছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই এখন পরিশোধের চাপ বাড়বে।”

তিনি জানান, ইআরডির একটি বিশ্লেষণে ২০৩০ সালের পর পাওনা পরিশোধের চাপ কিছুটা কমবে বলে ধারণা দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ আরও ৫ থেকে ৬ বছর বেশি পরিশোধের চাপ থাকবে। এরপর ক্রমান্বয়ে চাপ কিছুটা কমে আসতে পারে।

এই চাপের কারণেই মূলত গত অর্থ বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি ঋণ পরিশোধ করতে হয়েছে বলে জানান ইআরডির ওই কর্মকর্তা।

ইআরডির সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আট মাসে দাতাসংস্থাগুলোর কাছ থেকে নতুন ঋণ প্রতিশ্রুতি কমেছে প্রায় ৫৯ শতাংশ। এই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নতুন ঋণের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে মাত্র ৩০৩ কোটি ৫০ লাখ ডলারের।

২০২৩-২৪ অর্থ বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নতুন ঋণের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গিয়েছিল ৭২৪ কোটি ডলারের।

ইআরডির ওই কর্মকর্তা জানান, অর্থ বছরের বাকি সময়ে নতুন ঋণের প্রতিশ্রুতি ইতিবাচক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, “মার্চ মাসে বিশেষ করে বিশ্ব ব্যাংকের সাথে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের বিপরীতে বড় ধরনের ঋণ চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। এপ্রিল মাসে আরও বেশ কয়েকটি চুক্তি হতে পারে। তখন নতুন ঋণ পাওয়ার পাইপলাইন বড় হবে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত